1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৭:৫২ পূর্বাহ্ন

ইতিহাসে জুন ২৬- একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক কামাল লোহানী জন্মগ্রহণ করেন

  • সময় শনিবার, ২৬ জুন, ২০২১
  • ১০৫৬ বার দেখা হয়েছে

সাংবাদিক ও সাহিত্যজন, শিল্পকলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক কামাল লোহানী জন্মগ্রহণ করেন ২৬ জুন

গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ১৭৭ তম (অধিবর্ষে ১৭৮ তম)দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।

ঘটনাবলি

১৮১৯ : বাইসাইকেল এর পেটেন্ট করা হয়।
১৮৪৮ : আমেরিকায় খাদ্য আইন চালু হয়।
১৯৩৬ : প্রথমবারের মতো ব্যবহারিক হেলিকপ্টার ফক উল্‌ফ এফডাব্লিউ-৬১ (Focke-Wulf Fw 61) আকাশে ওড়ে।
১৯৭৬ : কানাডার টরেন্টোতে সিএন টাওয়ার (তৎকালীন পৃথিবীর উঁচুতম ভবন)খুলে দেয়া হয়।
১৯৯২ : বাংলাদেশের কাছে ভারতের তিন বিঘা করিডর হস্তান্তর।
২০০০ : এই দিনে দশম টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে আইসিসি’র সদস্যপদ লাভ করে বাংলাদেশ।

জন্ম

১৮৭৩ : গওহর জান, ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতশিল্পী
১৮৮৭ : যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত, বাংলা ভাষার অন্যতম কবি
১৮৯২ : পার্ল এস. বাক, মার্কিন লেখিকা ও ঔপন্যাসিক
১৯১২ : জীবন ঘোষাল, বাঙালি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী
১৯৩৪ : কামাল লোহানী, বাংলাদেশি সাংবাদিক ও সাহিত্যজন, শিল্পকলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক

মৃত্যু

১৯৩৭ : প্রখ্যাত বাঙালি শিশুসাহিত্যিক যোগীন্দ্রনাথ সরকার
১৯৩৯ : ইংরেজ ঔপন্যাসিক, কবি, সমালোচক ও সম্পাদক ফোর্ড ম্যাডক্স ফোর্ড
১৯৪৩ : ১৯৩০ সালে নোবেলজয়ী অষ্ট্রীয় জীববিজ্ঞানী ও চিকিৎসক কার্ল লান্ডস্টাইনার
১৯৯৪ : বাংলাদেশি লেখিকা জাহানারা ইমাম
২০০৪ : ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযুদ্ধের চরমপত্রখ্যাত এম আর আখতার মুকুল

দিবস

আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস

কামাল লোহানী

কামাল লোহানী ছিলেন বাংলাদেশের বরেণ্য সাংবাদিক ও জাতীয় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন প্রগতিশীল ছাত্রনেতা, ভাষাসংগ্রামী, বিপ্লবী রাজবন্দী, তেজোদীপ্ত সাংবাদিক। এদেশের সাংবাদিকতা, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তিনি শুধু একটি নাম নয়, একটি ইতিহাস। চির বিদ্রোহের অধ্যায়। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধ; স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আন্দোলন- সর্বক্ষেত্রে সর্বাগ্রে থাকা মানুষ।
জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৪ সালের ২৬ জুন সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার সনতলা গ্রামে। তার পুরো নাম আবু নঈম মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খান লোহানী। বাবা আবু ইউসুফ মোহাম্মদ মুসা খান লোহানী। মায়ের নাম রোকেয়া খান লোহানী। শৈশবেই তিনি মাকে হারান তিনি। এরপর কলকাতায় ফুপুমা-র বাড়িতে এবং পরবর্তীকালে পাবনায় চাচার কাছে বেড়ে ওঠেন। সহধর্মিণী প্রয়াত দীপ্তি লোহানীও ছিলেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের একজন শব্দসৈনিক। এক ছেলে সাগর লোহানী এবং দুই মেয়ে বন্যা লোহানী, ঊর্মি লোহানী।

শিক্ষাজীবন

পড়াশোনার হাতেখড়ি কলকাতায় শিশু বিদ্যাপীঠে। দেশভাগের পর ১৯৪৮ সালে ১৪ বছর বয়সে পাবনা চলে আসেন কামাল লোহানী। ভর্তি হন পাবনা জিলা স্কুলের সপ্তম শ্রেণিতে। ১৯৫২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হন পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে। এই কলেজ থেকেই উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন তিনি।

বর্ণাঢ্য কর্মজীবন

ঢাকায় ১৯৫৫ সালে দৈনিক মিল্লাত-এ সাংবাদিকতার মধ্য দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন কামাল লোহানী। পরবর্তীকালে তিনি বিভিন্ন সময়ে দৈনিক আজাদ, দৈনিক সংবাদ, দৈনিক পূর্বদেশ, দৈনিক বার্তাসহ বিভিন্ন সংবাদপত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন।

স্বাধীনতার পর তিনি সাংবাদিক ইউনিয়নে দু-দফায় যুগ্ম-সম্পাদক এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি হন। ছিলেন গণশিল্পী সংস্থার সভাপতি। ১৯৬২ সালে স্বল্পকালীন কারাবাসের পর কামাল লোহানী সদ্যগঠিত সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানট’-এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। প্রায় সাড়ে চার বছর সাফল্যের সঙ্গে এ দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

তার জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল বাংলা ও বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা। পঞ্চাশের দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি সংসদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা গড়ে ওঠে তার। বুলবুল ললিতকলা একাডেমি, ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটি, ছায়ানট প্রভৃতি প্রথম সারির সাংস্কৃতিক উদ্যোগে সক্রিয় ও মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। নক্সী কাঁথার মাঠ, শ্যামা, ক্ষুধিত পাষাণ নৃত্যনাট্যে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। ১৯৬৭ সালে রাজনৈতিক আদর্শে গড়ে তোলেন সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ক্রান্তি’। ক্রান্তির সবচেয়ে বড় সম্পদ তার গণসঙ্গীত। ১৯৬৭ থেকে ১৯৭১ সালের তুমুল গণআন্দোলনের দিনগুলোতে ক্রান্তিসহ তিনি বাংলার হাটে-মাঠে গণসঙ্গীত গেয়ে উজ্জীবিত করেছেন এদেশের মানুষকে। এর উদ্দেশ্যই ছিল বাংলার নিপীড়িত মানুষকে অভয় দেয়া।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দেন। এরই ধারাবাহিকতায় দেশকে দখলদারমুক্ত ও মুক্তিফৌজকে সহযোগিতা এবং পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে উজ্জীবিত রাখতে ভারত সরকার, সংস্কৃতি ও বেতারকর্মীদের সম্মিলিত প্রয়াসে গঠিত হয় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র। শুরু থেকেই এ বেতার কেন্দ্রের সংবাদ বিভাগে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন কামাল লোহানী। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে এই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকেই প্রথমবারের মতো বাঙালি জাতির বিজয়ের সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেদিনের সেই চূড়ান্ত বিজয়ের ঘোষণা পাঠ করার সৌভাগ্য অর্জন করেন কামাল লোহানী।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের তৎপরতায় বাংলাদেশ বেতার কেন্দ্রের প্রথম পরিচালক হিসেবে ঢাকায় নিয়োগপ্রাপ্ত হন কামাল লোহানী। ১৯৭৩ সালে পুনরায় ফিরে আসেন সাংবাদিকতা পেশায়। ১৯৮১ সালে তিনি সংবাদপত্রের চাকরি থেকে ইস্তফা দেন। এরপর নব উদ্যমে সাংস্কৃতিক আন্দোলনে সম্পৃক্ত হন কামাল লোহানী। তিনি আমাদের দেশের আরেকজন প্রথিতযশা সাংবাদিক, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ফয়েজ আহমেদের সঙ্গে মিলে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। কামাল লোহানী বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতি ছিলেন চার বছর এবং কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন দুই দফায়। কামাল লোহানী উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের উপদেষ্টা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

লেখালেখি

কামাল লোহানীর লেখা বইগুলো মধ্যে রয়েছে- ‘আমরা হারবো না’, ‘সত্যি কথা বলতে কী’, ‘যেন ভুলে না যাই’, ‘মুক্তিসংগ্রামে স্বাধীন বাংলা বেতার’, ‘রাজনীতি মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীন বাংলা বেতার’, ‘মুক্তিযুদ্ধ আমার অহংকার’, ‘এ দেশ আমার গর্ব’, ‘আমাদের সংস্কৃতি ও সংগ্রাম’, ‘লড়াইয়ের গান’, ‘সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও নৃত্যশিল্পের বিস্তার’, ‘দ্রোহে প্রেমে কবিতার মত’ এবং কবিতার বই ‘শব্দের বিদ্রোহ’৷

সম্মাননা

কামাল লোহানী ২০১৫ সালে সাংবাদিকতায় একুশে পদক লাভ করেন৷ এছাড়াও তিনি কলকাতা পুরসভার দ্বিশতবর্ষ সম্মাননা, প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক সম্মাননা, রাজশাহী লেখক সংঘ সম্মাননা, ক্রান্তি স্মারক, ঋষিজ সম্মাননা ও স্মারক, জাহানারা ইমাম পদকসহ বহু পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন৷

কোয়ান্টামে কামাল লোহানী

২০১২ সালে তিনি কোয়ান্টাম মেথড কোর্সের ৩৪৮ ব্যাচে অংশ নেন। তারও আগে থেকেই কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অংশ নেয়া এবং নানা সূত্রে তিনি ছিলেন ফাউন্ডেশনের একজন অভিভাবক ও সত্যিকার শুভানুধ্যায়ী। কোয়ান্টাম মেথড কোর্সের ৩৪৮ তম ব্যাচে কোর্সের চতুর্থ দিন প্রত্যয়ন অনুষ্ঠানে তিনি তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন— কোয়ান্টাম মেথড কোর্সে পুঁজিবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও ভোগবিলাসিতার ব্যাপারে সচেতন করা হয়েছে। ৪০ বছর আগে আমরা যদি ওই পথ পরিহার করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতাম, তাহলে আজ আমরা আরো উন্নত জাতিতে রূপান্তরিত হতে পারতাম। এখানে যে বিষয়টি আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে, সেটা হলো সময়ানুবর্তিতা। আমাদের দেশে সব কাজের মধ্যে এর খুব অভাব। কোয়ান্টাম মেথড কোর্সের এ শিক্ষা যদি আমরা আমাদের জীবনে অনুসরণ করতে পারি, তাহলেই সত্যিকার মানুষ হিসেবে নিজেদেরকে গণ্য করতে পারব।

আমাদের অধিকাংশের মধ্যে এখন আত্মবিশ্বাসের প্রকট অভাব। এ চার দিন কোর্সে বিভিন্ন বক্তব্যের মধ্য দিয়ে আমরা যা পেয়েছি সেটা হলো—আত্মবিশ্বাসকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। কথাগুলো শুনতে শুনতে আমার মনে হচ্ছিল, এখানে যারা উপস্থিত ছিলেন, অন্ততপক্ষে কিছু মানুষের মধ্যেও যদি এ শক্তিটি উপ্ত হয় তাহলে আমরা অনেক দূর এগিয়ে যাব। এ কোর্সের মধ্য দিয়ে সবার মাঝে পারিবারিক সম্পর্কের হৃদ্যতাপূর্ণ, সম্প্রীতিপূর্ণ একটা ভাব সৃষ্টি হয়েছে, একটা আশ্রয়স্থল সৃষ্টি হয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে একটা বড় পাওয়া। আমাদের প্রত্যেকের মনের ভেতরে এ আস্থাটি এসেছে যে, আমরা একটি পথ পেয়েছি। এই পথ ধরে এগোতে পারলে এবং আন্তরিকতার সাথে যদি এর সমস্ত নির্দেশ পালন করতে পারি তাহলে অবশ্যই আমাদের উত্তরণ ঘটবে।

আমরা বলি, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এই দেশ। রক্তের বিনিময়ে এ দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে ঠিকই কিন্তু আজ পর্যন্ত আমরা সুখের সন্ধান পাইনি। সুখী-সমৃদ্ধিশালী হতে হলে আমাদের সঙ্ঘবদ্ধ হতে হবে। কোয়ান্টামের এ কোর্সে গুরুজীর আলোচনার মূল বক্তব্যও ছিল সঙ্ঘ এবং সঙ্ঘশক্তি। মানুষ যদি সঙ্ঘবদ্ধ হয় তাহলে যে-কোনো চ্যালেঞ্জকে সে মোকাবেলা করতে পারে।

সত্যের পক্ষে প্রতিবাদী

আমৃত্যু তার গণগণে ও দৃপ্ত কণ্ঠ সোচ্চার ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে। সাম্রাজ্যবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। তিনি সবসময় ভেবেছেন দেশের সাধারণ মানুষের কথা, দেশের মঙ্গলের কথা। সত্য বলতে কখনো দ্বিধা করতেন না এবং বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার যে অঙ্গীকার গণতান্ত্রিক, সমাজতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ—তার জন্যে সবসময় সোচ্চার থেকেছেন।

বাংলা ভাষার অবমাননা তাকে সবসময় ব্যথিত করেছে এবং তিনি তা নিয়ে সর্বদা উদ্বিগ্ন থেকেছেন। বাংলা ভাষার অবহেলা ও বিকৃতিরোধ এবং সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালুর দাবিতে ছিলেন উচ্চকণ্ঠ।

সাদামাটা জীবনযাপন

জীবনযাপনে খুব সাদামাটা-সাধারণ একজন মানুষ ছিলেন কামাল লোহানী। তার পোশাক-পরিচ্ছদে কোনো বাহুল্য কখনোই ছিল না। একছাঁটের লম্বা ঝুলের সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি তার ছিল সবসময়ের পরিধেয়। স্যুট-কোট পরতে হবে বলে একবার রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে বিদেশে যেতেও অস্বীকৃতি জানান তিনি।

দেশের অত্যন্ত গুণী এই মানুষটি ২০২০ সালের ২০ জুন সকালে রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর আগে অসুস্থ শরীরেও অসম্ভব মনোবলের অধিকারী ছিলেন তিনি। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েও অসংখ্য কাজের পরামর্শ ও পরিকল্পনা বাতলে দিতেন। মৃত্যুর পর তার দাফনের দায়িত্ব পায় কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীরা। ঢাকাতে তার মরদেহ গোসলের পর তাকে গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার সনতলায় নেয়া হয়। প্রয়াত সহধর্মিণী দীপ্তি লোহানীর কবরে তাকে সমাহিত করেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবীরা।

সূত্র: সংগৃহীত

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com