বাংলাদেশের গুণী চিত্রশিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার এর জন্মদিন
গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ২৪৪তম (অধিবর্ষে ২৪৫তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।
১৮৫৩ : উত্তমাশা অন্তরীণ থেকে পৃথিবীর প্রথম ত্রিকোণ ডাকটিকিট ইস্যু করা হয়।
১৯৮৫ : ১৯১২ সালে ডুবে যাওয়া টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার।
১৯৯১ : উজবেকিস্তান সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করে।
১৮৫৬ : সার্গেই উইনোগার্ডস্কি, রুশ অণুজীব বিজ্ঞানী।
১৮৭৭ : ফ্র্যান্সিস অ্যাস্টন, নোবেলজয়ী ইংরেজ রসায়নবিদ।
১৯১৪ : মৈত্রেয়ী দেবী, সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত বাঙালি কবি, লেখক ও ঔপন্যাসিক।
১৯৩৫ : ড. সরোজ ঘোষ, বাঙালি সংগ্রহালয় সংস্থাপক ও বিজ্ঞানকে জনসাধারণ্যে লোকায়িতকরণের অন্যতম ব্যক্তিত্ব।
১৯৩৫ : মুস্তাফা মনোয়ার, বাংলাদেশি চিত্রশিল্পী।
১৯৬২ : কফিল আহমেদ, বাংলাদেশি কবি, গায়ক এবং চিত্রশিল্পী।
১৯৬৫ : নচিকেতা চক্রবর্তী, ভারতীয় গায়ক, গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক।
১৫৫৭ : ফরাসি অভিযাত্রী জ্যাকস কার্টিয়ার, যাকে কানাডার অন্যতম আবিষ্কারক মনে করা হয়।
১৯৩০ : বাঙালি, ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের শহীদ বিপ্লবী জীবন ঘোষাল।
মুস্তাফা মনোয়ার বাংলাদেশের একজন গুণী চিত্রশিল্পী। চিত্রশিল্পে তার স্বতঃস্ফুর্ত পদচারণা, বাংলাদেশে নতুন শিল্প আঙ্গিক পাপেটের বিকাশ, টেলিভিশন নাটকে অতুলনীয় কৃতিত্ব প্রদর্শন, শিল্পকলার উদার ও মহত্ শিক্ষক হিসেবে নিজেকে মেলে ধরা, দ্বিতীয় সাফ গেমসের মিশুক নির্মাণ এবং ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পেছনের লালরঙের সূর্যের প্রতিরূপ স্থাপনাসহ শিল্পের নানা পরিকল্পনায় তিনি তার সৃজনী ও উদ্ভাবনী প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন।
জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর মাগুরার শ্রীপুর থানার অন্তর্গত নাকোল গ্রামে মাতুলালয়ে। তার পৈত্রিক নিবাস ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে। বাবা প্রয়াত কবি গোলাম মুস্তাফা এবং মায়ের নাম জমিলা খাতুন। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে মা মারা যান।
ছয় ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। ১৯৬৫ সালে মেরী মনোয়ারের সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের এক ছেলে সাদাত মনোয়ার এবং এক মেয়ে নন্দিনী মনোয়ার।
কলকাতার শিশু বিদ্যাপীঠে ভর্তি হয়েছিলেন। নারায়ণগঞ্জ গভর্নমেন্ট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস, কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজে ভর্তি হন সায়েন্সে। সেখানে তিনি পড়াশোনা না করে কলকাতা চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৫৯ সালে কলকাতা চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয় থেকে ফাইন আর্টসে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন।
কর্মজীবন শুরু করেন পূর্ব পাকিস্তান চারু ও কারুকলা মহাবিদ্যালয়ে প্রভাষক পদে। এরপর একে একে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপ-মহাপরিচালক, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক, এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন।
জনবিভাগ উন্নয়ন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান এবং এডুকেশনাল পাপেট ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ১৯৭২ সালে বিটিভিতে প্রচারিত শিশু প্রতিভা বিকাশের জনপ্রিয় ‘নতুন কুঁড়ির’ রূপকার তিনি।
১৯৫৭ : নিখিল ভারত চারু ও কারুকলা প্রদর্শনীতে গ্রাফিক্স শাখায় শ্রেষ্ঠ পুরস্কার।
১৯৫৮ : কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র চারুকলা প্রদর্শনীতে তেলচিত্র ও জলরঙ শাখায় শ্রেষ্ঠ পুরস্কার।
২০০৪ : শিল্পকলায় অবদানের জন্যে একুশে পদকে ভূষিত হন।
১৯৯০ : টিভি নাটকের জন্য টেনাশিনাস পদক লাভ।
১৯৯২ : চারুশিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ পুরস্কারে ভূষিত।
১৯৯৯ : শিশু শিল্পকলা কেন্দ্র কিডস কালচারাল ইনস্টিটিউট, চট্টগ্রাম কর্তৃক কিডস সম্মাননা পদক-১৯৯৯ লাভ।
২০০২ : চিত্রশিল্প, নাট্য নির্দেশক এবং পাপেট নির্মাণে অবদানের জন্যে শিশুকেন্দ্র থেকে বিশেষ সম্মাননা লাভসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনি।
সূত্র: সংগৃহীত