খ্যাতনামা বাঙালি কবি, গীতিকার ও চিত্র পরিচালক মোহিনী চৌধুরী এর জন্মদিন
গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ২৪৮তম (অধিবর্ষে ২৪৯তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।
১৯৬০ : রোম অলিম্পিক আসরে মোহাম্মদ আলী বক্সিংয়ে স্বর্ণপদক লাভ করেন।
২০০০ : জাতিসংঘে যোগ দেয় টাভালু।
১৮৮৮ : ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণ, আদর্শ শিক্ষক, দার্শনিক ও ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি ও দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি।
১৯২১ : রেবতীভূষণ ঘোষ, খ্যাতনামা ভারতীয় বাঙালি কার্টুনিস্ট।
১৯২৯ : মোহিনী চৌধুরী, খ্যাতনামা বাঙালি কবি, গীতিকার ও চিত্র পরিচালক।
১৯৭০ : মোহাম্মদ রফিক, বাংলাদেশি ক্রিকেটার।
১৯৭৯ : আয়ান আলি খান, ভারতীয় শাস্ত্রীয় যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পী (সরোদিয়া)।
১৯০৮ : বাঙালি অভিনেতা, নাট্য লেখক এবং মঞ্চ ব্যক্তিত্ব অর্ধেন্দুশেখর মুস্তফি।
১৯৭১ : বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ।
১৯৭৪ : বাংলাদেশের লোকসঙ্গীতের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী আব্দুল আলীম।
১৯৯৫ : খ্যাতনামা ভারতীয় সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকার, সুরকার এবং গল্পকার সলিল চৌধুরী।
১৯৯৭ : আলবেনীয় ভারতীয় মিশনারি শান্তিতে নোবেলজয়ী মাদার তেরেসা।
মোহিনী চৌধুরী ছিলেন একজন খ্যাতনামা বাঙালি কবি, গীতিকার ও চিত্র পরিচালক। তার অজস্র গান শ্রোতাদের ভেতর খুব জনপ্রিয় হয়েছিল। এখনও তার গান বাঙালির মুখে মুখে ফেরে। তার লেখা ভালোবাসা মোরে ভিখারি করেছে কিংবা ‘মুক্তির মন্দির সোপানতলে কত প্রাণ হলো বলিদান’ নামক দেশাত্মবোধক গানের জন্যে তিনি ব্যাপক খ্যাতি ও সুনামের অধিকারী হয়েছিলেন।
জন্মগ্রহণ করেন ১৯২০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বর্তমান বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায়। কলকাতার রিপন স্কুল (সুরেন্দ্রনাথ কলেজ) থেকে বিশেষ কৃতিত্বের সাথে ম্যাট্রিক পাশ করেন ও ওখান থেকেই আইএসসি পাশ করে বিএসসি-তে ভর্তি হন। গানের প্রতি নেশায় বিএসসি পরীক্ষা অসমাপ্ত রেখে গান লেখার সাথে যুক্ত হন। ১৯৪০ সালে কলকাতা জিপিওতে চাকরিতে যোগদান করেন। তবে মাত্র আট বছর ওই চাকরিতে ছিলেন।
কর্মজীবনের শুরু ১৯৪৩ খিষ্টাব্দ থেকে গ্রামোফোন রেডিও সিনেমার গীতিকার হিসেবে। মোহিনী চৌধুরীর প্রথম গানের রেকর্ড হলো ‘রাজকুমারী ওলো, নয়নপাতা খোলো, সোনার টিয়া ডাকছে গাছে ওই বুঝি ভোর হলো’। কুসুম গোস্বামীর কণ্ঠ দিলেন কমল দাশগুপ্তর সুরে। শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায়ের ‘অভিনয় নয়’ ছায়াছবিতে প্রথম গান লেখার সুযোগ পেলে তার সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। জিপিও’র চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে সর্বক্ষণের জন্যে গানের জগতে মনোনিবেশ করেন।
রায়চৌধুরী, ঘুমিয়ে আছে গ্রাম, রংবেরঙ, সন্ধ্যাবেলার রূপকথা, একই গ্রামের ছেলে, ব্লাইন্ড লেন ইত্যাদি ছবিতে সহকারী চিত্রপরিচালনার কাজ করেন এবং গান লেখেন। তার পরিচালিত ও প্রযোজিত ছবি সাধনা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হলে তিনি বিজ্ঞানী ও সাংসদ মেঘনাদ সাহার অধীনে সংসদীয় সচিবের চাকরি করেন কিছুকাল। ১৯৫৪ সালে শিল্পপতি ডি. এন ভট্টাচার্যের একান্ত সচিব হিসেবে কাজ করতে থাকেন। পরে প্রাইভেটে বিএ পাশ করেন। গায়ক জগন্ময় মিত্র ও সুরকার কমল দাশগুপ্তের সঙ্গে মোহিনীবাবুর কথায় তার জনপ্রিয় গান- ভুলি নাই ভুলি নাই, আমি যে দুরন্ত বৈশাখী ঝড় ইত্যাদি। মোহিনী চৌধুরী ১৯৮৭ খিষ্টাব্দের ২১ মে মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র: সংগৃহীত