কোয়ান্টাম ফর্মুলা হলো- সবকিছুই খাবেন। যা কিছু আপনার ধর্মবিশ্বাস ও আপনার রুচি অনুমোদন করে, তা সবই খাবেন। খাবারের ব্যাপারে বিশ্বের সচেতন মানুষেরা এখন প্রাকৃতিক খাবারের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছেন। পাশ্চাত্য স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ এখন টিনজাত, প্রক্রিয়াজাত ও পরিশোধিত খাবারের বদলে স্বাভাবিক প্রাকৃতিক খাবারের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন।
ধরুন একজনের অবকাঠামো হচ্ছে চিকন। সে যদি বেশি খায় তাহলে তার বডি স্ট্রাকচার বাড়বে না। কিন্তু মেদ বাড়বে। ওজন কমানোরও প্রসেস আছে। সিস্টেম আছে। বিশেষত ফিগার ঠিক রাখতে আপনাকে যত্ন নিতে হবে ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন।
উপরোক্ত ফর্মুলা প্রয়োগ করলে খাবারকে আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। খাবার আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করবে না।
সবসময় পরিমিত খাবার খান। বেশি খেলে রোগব্যাধি বেশি হবে।
এ ব্যাপারে নবীজী (স) বলেছেন, তুমি তোমার পাকস্থলীর এক-তৃতীয়াংশ খাবার ও এক-তৃতীয়াংশ পানীয় দ্বারা পূর্ণ করো। আর বাকি এক-তৃতীয়াংশ ফাঁকা রাখো। দীর্ঘ নিরীক্ষায় দেখা গেছে যে, এভাবে খাবার গ্রহণ করলে পাকস্থলীর ব্যাধি থেকে পুরোপুরি মুক্ত থাকা যায় এবং শরীরের ওজন সবসময় নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে।
সকালবেলা ভরপেট নাশতা করুন, দুপুরে তৃপ্তির সাথে খান এবং রাতে খুব হালকা খাবার গ্রহণ করুন।
অর্থাৎ এক্সট্রিম কোনোকিছু না। না ব্যায়ামে, না খাবারে, না পোশাকে, না চিন্তায়। সবসময় মধ্যপন্থায় কাজ করতে হবে। এই মধ্যপন্থাটাই হচ্ছে শুদ্ধ।
আসলে খাওয়ার জন্যে বাঁচতে চাইলে খাবার মৃত্যু ডেকে আনবে। আর বাঁচার জন্যে খেলে খাবার প্রাণশক্তিতে উজ্জীবিত করবে। তাই প্রতিদিন মনে মনে বলুন, আমি বাঁচার জন্যে খাব।