1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
সন্ধ্যার পরেই টের পাবেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ঈদ যাত্রায় রং-চং দিয়ে কোনো গাড়ি চলতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ১ জুলাই থেকে বিশেষ সুবিধা পাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা, প্রজ্ঞাপন জারি পুলিশের ছুটি বাতিল, ডাকাতি ঠেকাতে ছবি নেওয়া হবে যাত্রীদের ‘অপমানে’ কারাখানার ছাদ থেকে লাফিয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, রণক্ষেত্র গাজীপুর আবারো ঈদের আগে রাস্তা অবরোধ পোশাক শ্রমিকদের অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান অভিনেতা বাপ্পী ২০২৭ বিশ্বকাপে তরুণদের জন্য ওয়ানডে জায়গা ছেড়েছেন ম্যাক্সওয়েল মৃত্যুদণ্ড বহাল মেজর সিনহা হত্যায় ওসি প্রদীপ ও লিয়াকত আলীর জামায়াতের নিবন্ধনসহ অন্য বিষয় নিষ্পত্তি করবে ইসি

ওজন নিয়ন্ত্রণে কোয়ান্টাম ফর্মুলায় করণীয় বর্জনীয়…

  • সময় সোমবার, ১২ জুলাই, ২০২১
  • ৯২০ বার দেখা হয়েছে

কোয়ান্টাম ফর্মুলা হলো- সবকিছুই খাবেন। যা কিছু আপনার ধর্মবিশ্বাস ও আপনার রুচি অনুমোদন করে, তা সবই খাবেন। খাবারের ব্যাপারে বিশ্বের সচেতন মানুষেরা এখন প্রাকৃতিক খাবারের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছেন। পাশ্চাত্য স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ এখন টিনজাত, প্রক্রিয়াজাত ও পরিশোধিত খাবারের বদলে স্বাভাবিক প্রাকৃতিক খাবারের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন।

  • চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ও পুষ্টিবিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, ‘প্রক্রিয়াজাত খাবার বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি এমন কি ক্যান্সার সৃষ্টির কারণ হচ্ছে। তাই ময়দার পরিবর্তে লাল আটা খান। চিনির পরিবর্তে গুড়, দুধ-চায়ের পরিবর্তে গুড় দিয়ে হালকা রঙ-চা খান।
  • ফলের রসের পরিবর্তে টাটকা ফল খান। গুঁড়ো দুধ পুরোপুরি বর্জন করুন। গরুর খাঁটি দুধ প্রতিদিন এক গ্লাস করে খান।
  • হরলিক্স, ওভালটিন ইত্যাদি তথাকথিত পুষ্টিকর খাবার পুরোপুরি বর্জন করে পুষ্টির জন্যে নিয়মিত দুধ, কলা, ডিম খান।
  • মিষ্টির বদলে খেজুর খান। বিশেষত রঙিন মিষ্টি পুরোপুরি বর্জন করুন। কারণ খাবারে যে রঙ ব্যবহার করা হয়, তা ক্যান্সার সৃষ্টির কারণ হতে পারে।
  • তথাকথিত কোমল পানীয় এবং এনার্জি ড্রিংকস বর্জন করুন। কারণ এই পানীয়ের মধ্যে রয়েছে নেশাকারক উপাদান। আর এই তথাকথিত কোমল পানীয় ডায়াবেটিস এবং কিডনী ও মূত্রব্যাধির কারণ।
  • কোমল পানীয়ের পরিবর্তে সবসময় ডাব খান। ডাবের পানিতে ১৯টি প্রাকৃতিক খনিজ দ্রব্য রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্যে অত্যন্ত উপকারী। ডাব পাওয়া না গেলে লেবুপানি খান।
  • খাবার খান আপনার অবকাঠামো অনুসারে। আপনার অবকাঠামোর একটা পরিমিতি আছে। আপনার স্টমাকের সাইজ বলে দেবে যে আপনি কী পরিমাণ খাবেন! এবং কী পরিমাণ আপনার খাওয়া উচিৎ!

ধরুন একজনের অবকাঠামো হচ্ছে চিকন। সে যদি বেশি খায় তাহলে তার বডি স্ট্রাকচার বাড়বে না। কিন্তু মেদ বাড়বে। ওজন কমানোরও প্রসেস আছে। সিস্টেম আছে। বিশেষত ফিগার ঠিক রাখতে আপনাকে যত্ন নিতে হবে ধারাবাহিকভাবে প্রতিদিন।

  • খাবারে শাকসবজির পরিমাণ বেশি রাখন। চর্বি বা অধিক মশলাযুক্ত খাবার গ্রহণে বিরত থাকুন।
  • সপ্তাহে একদিন অথবা ১৫ দিনে একদিন সম্পূর্ণ উপবাস/রোজা রাখুন।

উপরোক্ত ফর্মুলা প্রয়োগ করলে খাবারকে আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। খাবার আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করবে না।

কতটুকু খাবেন ?

সবসময় পরিমিত খাবার খান। বেশি খেলে রোগব্যাধি বেশি হবে।

এ ব্যাপারে নবীজী (স) বলেছেন, তুমি তোমার পাকস্থলীর এক-তৃতীয়াংশ খাবার ও এক-তৃতীয়াংশ পানীয় দ্বারা পূর্ণ করো। আর বাকি এক-তৃতীয়াংশ ফাঁকা রাখো। দীর্ঘ নিরীক্ষায় দেখা গেছে যে, এভাবে খাবার গ্রহণ করলে পাকস্থলীর ব্যাধি থেকে পুরোপুরি মুক্ত থাকা যায় এবং শরীরের ওজন সবসময় নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে।

কখন খাবেন ?

সকালবেলা ভরপেট নাশতা করুন, দুপুরে তৃপ্তির সাথে খান এবং রাতে খুব হালকা খাবার গ্রহণ করুন।

অর্থাৎ এক্সট্রিম কোনোকিছু না। না ব্যায়ামে, না খাবারে, না পোশাকে, না চিন্তায়। সবসময় মধ্যপন্থায় কাজ করতে হবে। এই মধ্যপন্থাটাই হচ্ছে শুদ্ধ।

আসলে খাওয়ার জন্যে বাঁচতে চাইলে খাবার মৃত্যু ডেকে আনবে। আর বাঁচার জন্যে খেলে খাবার প্রাণশক্তিতে উজ্জীবিত করবে। তাই প্রতিদিন মনে মনে বলুন, আমি বাঁচার জন্যে খাব।

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com