গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের খবর জানানো হয়। চলতি বছরের মার্চে এসে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ দেখা দেয়। মাঝখানে কিছুদিন সংক্রমণ কমে এসেছিল। কিন্তু গত জুনের শেষে গিয়ে রোগী শনাক্তের হার ২০ শতাংশ ছাড়ায়। একপর্যায়ে রোগী শনাক্তের হার ৩০ শতাংশের ওপরে ওঠে। দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১০ থেকে ১৫ হাজার। দৈনিক মৃত্যুও দুই শতাধিক হয়েছিল। গত আগস্টের শুরুর দিক থেকে সংক্রমণে নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, দীর্ঘদিন সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর গত ২ থেকে ৮ আগস্ট—এ সপ্তাহ থেকে নতুন রোগী শনাক্ত কমতে শুরু করে। এখনো সে প্রবণতা অব্যাহত আছে। ১৮ থেকে ২৪ অক্টোবর—এ সপ্তাহে রোগী শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ২০৪ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫৫ জনের। তার আগের সপ্তাহে (১১–১৭ অক্টোবর) নতুন রোগী কমেছে ২৯ দশমিক ৬ শতাংশ। আর মৃত্যু কমেছে ৩১ দশমিক ৩০ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, গত রোববার সকাল ৮টা থেকে গতকাল সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট ২০ হাজার ৭৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ২৮৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক ৩৯ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। শুরু থেকে গতকাল পর্যন্ত দেশে মোট ১৫ লাখ ৬৭ হাজার ৯৮১ জনের দেহে সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এর মধ্যে ১৫ লাখ ৩১ হাজার ৭৪০ জন সুস্থ হয়েছেন। আর মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ৮২৮ জনের।
সূত্র : প্রথম আলো (২৬ অক্টোবর, ২০২১)