গত বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করে আইইডিসিআর। প্রতিবছর ১৮ থেকে ২৪ নভেম্বর বিশ্বব্যাপী এই সপ্তাহ পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দেশে যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে প্রচলিত অ্যান্টিবায়োটিকগুলো কার্যকারিতা হারাচ্ছে। যার কারণে এখন অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের ভয়াবহ সমস্যার মুখে পড়েছে মানবজাতি। অ্যান্টিবায়োটিক অকার্যকর হয়ে পড়লে সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে কোনও প্রতিরোধ ব্যবস্থা থাকবে না।
সেমিনারে জানানো হয়, আইইডিসিআর ৯টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার ও কার্যকারিতার প্রবণতার ওপর ২০১৭ সাল থেকে নজরদারি করছে। এসব হাসপাতাল থেকে তারা নিয়মিত তথ্য সংগ্রহ করে।
সেমিনারে গত ৬ বছরের নজরদারির তথ্য উপস্থাপন করেন আইইডিসিআরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অধ্যাপক ডা. জাকির হোসেন।
তিনি বলেন, ‘ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ বেশ কিছু রোগের জীবাণুর ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক ঠিকমতো কাজ করছে না। কাজ না করার প্রবণতা আগের চেয়ে বাড়তে দেখা যাচ্ছে। ৬ হাজার ৮৬৮ জন রোগীর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, ৮ শতাংশ জীবাণুর ক্ষেত্রে সব ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করার মতো ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।’
কোনও অ্যান্টিবায়োটিক কাজ না করার প্রবণতা হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নেওয়া রোগীর ক্ষেত্রে বেশি দেখা গেছে উল্লেখ করে অধ্যাপক জাকির বলেন, ‘নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউতে একই সমস্যা আছে। তুলনামূলকভাবে পরিমাণে কম হলেও সার্জারি ও মেডিসিন বিভাগে এ সমস্যা দেখা যাচ্ছে। শনাক্তকৃত জীবাণুগুলোর মধ্যে ‘অ্যাসিনিটোব্যাক্টর’ নামক যে জীবাণুটি পাওয়া গেছে, তার বিরুদ্ধে মোটামুটি সব ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকই অকার্যকর এবং আইসিইউ হতে সংগৃহীত নমুনাতে এ জীবাণুর উপস্থিতি সবচেয়ে বেশি।’
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন (২৪ নভেম্বর, ২০২২)