সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকায় দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। গত সপ্তাহে দেশের বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। তাছাড়া ভালো দাম পাওয়ায় দেশি পেঁয়াজ বিক্রি বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ কারণে বাজারে পেঁয়াজের দাম নিম্নমুখী রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্নিষ্টরা।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের আড়ত এবং বিভিন্ন খুচরা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আড়তে বস্তায় বস্তায় পেঁয়াজ স্তূপ করা আছে। পাইকারিতে দেশি পেঁয়াজ ৩২ থেকে ৩৪ টাকা কেজিতে এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ২৮ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কৃষি মার্কেটের বিক্রেতা আরিফ হোসেন বলেন, এবার দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ অনেক ভালো। দু’সপ্তাহ আগে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা কমে যায়। দেশটিতে করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় পেঁয়াজ আসা প্রায় বন্ধ ছিল। ফলে বাজারে দাম বেশি থাকায় দেশে সংরক্ষণ করা পেঁয়াজ বিক্রি বাড়িয়েছেন বিভিন্ন মোকামের ব্যবসায়ীরা। এতে বাজারে এখন সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। তুলনামূলক চাহিদা কম থাকায় বাজার নিম্নমুখী।
কারওয়ান বাজারের আড়তে বস্তাপ্রতি আরও কিছুটা কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এই বাজারের বিক্রেতা জিয়াউর রহমান বলেন, দেশি পেঁয়াজ এখন বেশি আসছে। গত সপ্তাহে ভারত থেকেও আমদানি করা পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। ভারতের পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমতে পারে।
খুচরা বাজারে পাইকারির চেয়ে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেশি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা যায়। সকালে মিরপুর ১ নম্বরের উত্তর পীরেরবাগ কাঁচাবাজারে দেখা যায়, দেখতে ভালো ও তুলনামূলকভাবে শুকনো দেশি পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি। মান একটু খারাপ, এমন পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। অন্যান্য বাজার ঘুরেও এই দামের মধ্যে বেচাকেনা হতে দেখা যায়। আগের সপ্তাহে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় এবং আমদানি করা পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় উঠেছিল।
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ শতাংশ দাম কমেছে।
তবে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে। গতকাল ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়, যা আগের সপ্তাহে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা ছিল। এখন লাল লেয়ার মুরগির কেজি ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা। আর সোনালি মুরগির কেজি ২১০ থেকে ২২০ টাকা। অন্যান্য পণ্যের দামে তেমন পরিবর্তন দেখা যায়নি।