গেমিং ডিজ-অর্ডারকে আর দশটা মানসিক অসুস্থতার মতো গ্রহণ করুন। সন্তানকে দোষারোপ, বকাঝকা বা মারধর করবেন না। কারণ এই মুহূর্তে তার নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ নেই। আর নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা আবেগপ্রবণ বিধায় চাপ দিলে ঘটতে পারে অঘটন।
ভালো হয় যদি গেমিংয়ের দুষ্টচক্রে পড়ার আগেই তাকে নিবৃত্ত করেন। এ-জন্যে অনলাইন ক্লাসের বাইরের সময়টাতে তাকে ভালো কাজে সম্পৃক্ত করুন। তা হতে পারে বই পড়া, বাগান করা বা অন্য কোনো সৃজনশীল কাজ।
আর যদি ইতোমধ্যেই গেমিংয়ে আসক্ত হয়ে থাকে তাহলে আপনার কাজ হবে বিচক্ষণতার সাথে পদক্ষেপ নেয়া। জোর করে ডিভাইজ কেড়ে নিলে বা একাউন্ট ডিলিট করাতে গেলে হতে পারে হিতে বিপরীত। তাছাড়া হাতের জিনিসটি কেড়ে নিতে হলে তাকে তো অন্য কিছু হাতে ধরিয়ে দিতে হবে!
সন্তানকে নিয়ে সপরিবারে ঘুরতে যান, তাকে গুণগত সময় দিন। দাবা লুডু ক্যারাম ইত্যাদি ঘরোয়া খেলা শিখিয়ে দিন এবং সম্ভব হলে আপনিও তার সাথে খেলায় অংশ নিন। তবে সবচেয়ে ভালো হয় যদি বন্ধুদের সাথে মাঠের খেলায় সে অংশ নেয়।
সেই সাথে তাকে সাদাকায়নে নিয়ে আসুন। সৃষ্টির সেবামূলক কাজগুলোতে অংশ নিতে উদ্বুদ্ধ করুন। সঙ্ঘের ইতিবাচক আবহে থাকলে সে নিজেই তৎপর থাকবে অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর কাজ থেকে বিরত থাকতে।