গ্রামেই করোনা আক্রান্ত বেশি: স্বাস্থ্য ডিজি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত রোগীদের ৫০ শতাংশের বেশি গ্রামের। এসব রোগী রোগের তীব্রতা অনেক বেশি হওয়ার পর হাসপাতালে আসছেন।

আজ সোমবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরে অনুষ্ঠিত সভা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, গতকাল রবিবার (৪ জুলাই) ৪৫টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ও চিকিৎসকদের সঙ্গে দীর্ঘ তিন ঘণ্টার বেশি কথা বলেছি। তারা বলেছেন, রোগীর অধিকাংশের বেশি গ্রামের। রোগীরা হাসপাতালে আসছেন রোগে আক্রান্ত হওয়ার বেশ পরে যখন পরিস্থিতি অনেক খারাপ হয়ে পড়ছে।

তিনি আরো বলেন, এখন বর্ষার মৌসুম। অনেকেই করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলেও সাধারণ সর্দি-জ্বর বা কাশিতে আক্রান্ত বলে ধরে নিচ্ছেন। পরীক্ষা করাচ্ছেন না বা চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছেন না। আমরা মাঠ পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের গ্রামে গ্রামে মাইকিং করার পরামর্শ দিয়েছি। বাড়ি বাড়ি রোগীর খোঁজ রাখতে বলেছি।

এদিকে করোনাভাইরাসের টিকার জন্য নিবন্ধনের ন্যূনতম বয়সসীমা কমিয়ে ৩৫ বছর করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সোমবার অধিপ্তরের মহাপরিচালক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেছেন, নিবন্ধন চালু করে দিয়ে সারাদেশে আবারও গণটিকাদান কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছেন তারা।

তিনি বলেন, রবিবার সিদ্ধান্ত হয়েছে, তিন-চার দিনের মধ্যেই আবার নিবন্ধন শুরু হবে। টিকার জন্য নিবন্ধনের সময়সীমা ৪০ বছর পর্যন্ত ছিল। এটা ৩৫ বছর পর্যন্ত নামিয়ে আনার একটা সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগে যারা নিবন্ধন করেছেন তারা আগে টিকা পাবেন। এভাবেই আমরা ঠিক করেছি।

এর বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী এবং ঝুঁকিপূর্ণ কাজে থাকা কয়েকটি পেশার কর্মীদেরও টিকা পাওয়ার তালিকায় রাখা হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *