‘জ্ঞান ও ধ্যানের আলো নিয়ে তোমরা এগিয়ে যাও। যতদিন বেঁচে থাকবে আজকের এই পুনর্মিলনীর দিনটি স্মরণ রাখবে। কারণ তোমরা এমন একটি স্কুল থেকে পড়াশোনা করেছ যেখানে জ্ঞান ও ধ্যান উভয়ের চর্চা হয়।’ ১ জানুয়ারি ২০২২ কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের ২০ বছর পূর্তিতে কোয়ান্টামের লামা সেন্টারে অনুষ্ঠিত শিক্ষক-অভিভাবক-শিক্ষার্থী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে একথা বলেন বরেণ্য কথাসাহিত্যিক ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক। উপস্থিত সহস্রাধিক অতিথির সামনে আজ ও আগামীকাল ১ ও ২ জানুয়ারি দুদিনের বর্ণাঢ্য এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন তিনি সকাল ১১টায়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থী কোয়ান্টাদের উদ্দেশ্যে প্রধান অতিথি আরো বলেন, ‘এই দেশ, এই মাতৃভূমি ও এই স্কুলকে তোমরা কখনো ভুলে যাবে না। কারণ দেশের দূরতম একটি প্রান্তিক অঞ্চলে এমন একটি শিক্ষালয় গড়ে তোলার জন্যে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান গুরুজী শহীদ আল বোখারী মহাজাতক অনেক শ্রম দিয়েছেন। আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই। শুরুতে এই স্কুলটি স্বল্প পরিসরে থাকলেও এখন দেশের অন্যতম সেরা একটি স্কুল। আজকের দিনের এই আনন্দের সাথে থাকতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে। আমিও কখনো এই দিনটি ভুলতে পারব না।’
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোটিভেশন এম রেজাউল হাসান। এছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষকবৃন্দ ও পরিচালনা পর্ষদের ব্যক্তিবর্গ।
এরপর প্রধান অতিথি প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের শিক্ষা ও ক্রীড়ায় সাফল্যের মেডেল ও স্মারক নিয়ে সংগ্রহশালা ‘হল অব গ্রাটিচ্যুড’ প্রদর্শন করেন।
এছাড়াও শোভাযাত্রা, ব্যান্ড, ডিসপ্লে প্রদর্শিত হয়েছে কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের ক্যাম্পাসে। স্মৃতিচারণ, সম্মাননা-সংবর্ধনা ও উপহার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যার পর নবনির্মিত ‘কোয়ান্টা মঞ্চে’ পারফর্ম করবেন জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী এস আই টুটুল ও তার ব্যান্ড দল ধ্রুবতারা।
এই দুদিন কোয়ান্টামের লামা সেন্টারে মেলাও আয়োজিত হচ্ছে। দ্বিতীয় দিন বিকেলের পর আনুষ্ঠানিকভাবে এই আনন্দ উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে এই স্কুলটি যাত্রা শুরু করে মাত্র সাত জন ছাত্র নিয়ে। তখন প্রতিষ্ঠানটির নাম ছিল কোয়ান্টাম শিশুকানন। ২০ বছরের পরিক্রমায় শিশুকানন এখন কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজ, বর্তমানে যার ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা প্রায় আড়াই সহস্রাধিক। এ শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই শিশু বয়সে এখানে ভর্তি হয়। তারপর কারো ১২ বছর, কারো ১৩/ ১৪ বছর এই ক্যাম্পাসে কেটে যায়। তাই ২০ বছর পূর্তিতে স্কুলটির নতুন-পুরাতন সকল কোয়ান্টাকে নিয়েই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান ‘ঘরে ফেরার আনন্দ উৎসব ২০২২’-এর আয়োজন করা হয়েছে।