1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:৫৭ অপরাহ্ন

জ্ঞান

  • সময় বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১
  • ৮৭৬ বার দেখা হয়েছে

জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক বিশ্বাসী নরনারীর জন্যে ফরজ।
—আনাস ইবনে মালেক (রা); মেশকাত

জ্ঞানী তারাই, যারা জ্ঞান অনুসারে কাজ করে।
—কাব (রা); মেশকাত

জান্নাতে না পৌঁছা পর্যন্ত একজন বিশ্বাসীর জ্ঞানের তৃষ্ণা কখনো নিবৃত্ত হয় না।
—আবু সাঈদ খুদরী (রা); তিরমিজী

জ্ঞান তোমাদের হারানো ধন, যেখানে পাও সেখান থেকেই কুড়িয়ে নাও।
—আবু হুরায়রা (রা); তিরমিজী, মেশকাত

রাতে একঘণ্টা জ্ঞানচর্চা বা ধ্যান সারারাত ইবাদতের চেয়ে উত্তম।
—আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা); মেশকাত

জ্ঞান অর্জন ও জ্ঞান বিতরণে যার জীবন উৎসর্গিত—সে শহিদ, সে অমর।
—আনাস ইবনে মালেক (রা); মেশকাত

জ্ঞান অর্জন করো ও জ্ঞান বিতরণ করো। এটাই সর্বোত্তম কাজ।
—আনাস ইবনে মালেক (রা), আয়েশা (রা), আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা); মেশকাত

জ্ঞান দান করো যোগ্যতা বিবেচনা করে। অপাত্রে জ্ঞান দান করা শুকরের গলায় মুক্তোর মালা পরানোর সমতুল্য।
—আনাস ইবনে মালেক (রা); ইবনে মাজাহ

যে ব্যক্তি জ্ঞান অর্জনের জন্যে ঘর থেকে বের হয়, সে ঘরে না ফেরা পর্যন্ত আল্লাহর পথে (জেহাদের মধ্যে) থাকে।
—আনাস ইবনে মালেক (রা); তিরমিজী

শুধু জ্ঞান আহরণ বা বিতরণের উদ্দেশ্যে কেউ যদি সকালে ঘর থেকে বের হয়, তবে সে একবার হজ সম্পাদনের সমান পুরস্কার লাভ করবে।
—আবু উমামা (রা); তাবারানী

যে জ্ঞান মানুষের কোনো উপকারে আসে না, তা অর্থহীন।
—আবু হুরায়রা (রা); দারিমি, মেশকাত

কোনো বিষয় যদি জানা না থাকে, তবে যে জানে তাকে জিজ্ঞেস করো।
—জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা); আবু দাউদ, মেশকাত

সত্যজ্ঞান তুমি যা জানো তা অন্যকে বলা বা জানানো তোমার কর্তব্য। আর কোনো বিষয়ে কিছু জানা না থাকলে তোমার বলা উচিত ‘আল্লাহই এ বিষয়ে সবচেয়ে ভালো জানেন’। কারণ যে বিষয়ে মানুষের কোনো জ্ঞান নেই, সে বিষয়ে ‘আল্লাহ সবচেয়ে ভালো জানেন’ বলতে পারাটাও একটা জ্ঞান। (কখনো জানার ভান করা বা মিথ্যা দাবি করা উচিত নয়)
—মাশরুক (র); বোখারী

যে ব্যক্তি সত্যজ্ঞানের পথে বিচরণ করে, আল্লাহ তার জন্যে জান্নাতের পথ সহজ করে দেন।
—আবু হুরায়রা (রা); মুসলিম

তোমরা আল্লাহর কাছে তোমার জন্যে কল্যাণকর জ্ঞান প্রার্থনা করো। আর কল্যাণহীন জ্ঞান থেকে তাঁর আশ্রয় প্রার্থনা করো।
—জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা); ইবনে মাজাহ

(জানার জন্যে আন্তরিকভাবে প্রশ্ন করো।) উত্তম প্রশ্ন জ্ঞানের অর্ধেক।
—আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা); বায়হাকি

অজ্ঞতার একমাত্র ওষুধ—জানার উদ্দেশ্যে আন্তরিক প্রশ্ন করা।
—জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা); আবু দাউদ

কোনো কোনো কবিতায় গভীর জ্ঞান আছে। কবিতা কথার মতোই। ভালো কবিতা ভালো কথার মতো। মন্দ কবিতা মন্দ কথার মতো।
—উবাই ইবনে কাব (রা), আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা); মুফরাদ, দারাকুতনি

ইব্রাহিমের (আ) ওপর নাজিল হওয়া গ্রন্থের শিক্ষা অনুসারে জ্ঞানী ব্যক্তির কর্তব্য হচ্ছে সময়কে ভাগ করে নেয়া :
১. কিছু সময় প্রার্থনার জন্যে
২. কিছু সময় গভীর ধ্যানের জন্যে
৩. কিছু সময় আত্মপর্যালোচনার জন্যে
৪. কিছু সময় জীবিকা আহরণে।
—আবু যর গিফারী (রা); ইবনে হিব্বান

যে জ্ঞানের সাহায্যে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়, সে জ্ঞানকে যদি কেউ পার্থিব স্বার্থসিদ্ধির জন্যে অর্জন ও ব্যবহার করে, তবে তা আখেরাতে কোনো কাজে লাগবে না। সে জান্নাতের সুঘ্রাণ থেকেও বঞ্চিত হবে।
—আবু হুরায়রা (রা); আবু দাউদ

আখেরাতকে অবহেলা করে শুধু বৈষয়িক জ্ঞান নিয়ে (বা জ্ঞানকে শুধু অর্থ উপার্জনের জন্যে ব্যবহারে) ব্যস্ত থাকাকে আল্লাহ অপছন্দ করেন।
—আবু হুরায়রা (রা); হাকেম

জ্ঞানীদের কাছ থেকে বাহবা পাওয়ার জন্যে, মূর্খদের সাথে বিতর্ক করার জন্যে, আর মানুষের মনোযোগ আকর্ষণের উদ্দেশ্যে যে জ্ঞান অর্জন করবে, আল্লাহ তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।
—কাব ইবনে মালেক (রা); তিরমিজী

সে-ই অধম, যে শিক্ষিত কিন্তু অসৎ আর উত্তম সে, যে জ্ঞানী এবং সৎ।
—আহওয়াস ইবনে হাকিম (রা); মেশকাত

প্রকৃত জ্ঞানী ব্যক্তি কখনো আল্লাহর রহমত প্রাপ্তির বিষয়ে কাউকে নিরাশ করে না।
—আলী ইবনে আবু তালিব (রা); দারিমি

৪০টি হাদিসের জ্ঞান যে আত্মস্থ ও সংরক্ষণ করবে, মহাবিচার দিবসে একজন জ্ঞানী হিসেবে তার পুনরুত্থান হবে এবং আমি [নবীজী (স)] তার শাফায়াতকারী হবো।
—আবু দারদা (রা); মেশকাত

সত্যজ্ঞানীরা নবীদের উত্তরসূরি। নবীরা উত্তরাধিকার হিসেবে সোনাদানা রেখে যান নি। তারা রেখে গেছেন সত্যজ্ঞান। যারা এই সত্যজ্ঞান আহরণ করেছে, তারা যথার্থ উত্তরাধিকার লাভ করেছে।
—আবু দারদা (রা); আবু দাউদ, তিরমিজী

এক হাজার অজ্ঞ আবেদের চেয়ে একজন সত্যজ্ঞানী শয়তানের বিরুদ্ধে অনেক বেশি শক্তিশালী।
—আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা); তিরমিজী, ইবনে মাজাহ, মেশকাত

(একজন আবেদের অর্থাৎ ইবাদতকারীর চেয়ে একজন সত্যজ্ঞানী শ্রেষ্ঠ।) একজন সাধারণ বিশ্বাসীর ওপর আমার শ্রেষ্ঠত্ব যেমন প্রতিষ্ঠিত, একজন আবেদের ওপর একজন সত্যজ্ঞানীর শ্রেষ্ঠত্বও একই মাত্রার। যারা মানুষকে সত্যজ্ঞান দান করে তাদের জন্যে আল্লাহ, ফেরেশতাগণ এবং আকাশ ও পৃথিবীর সকল প্রাণী দোয়া করে।
—আবু উমামা (রা); তিরমিজী

সত্যজ্ঞানীর অনুপস্থিতিতে সাধারণ মানুষ মূর্খদেরই ইমাম বা নেতা বানিয়ে তাদের কাছ থেকে দিক-নির্দেশনা চাইবে। আর এই মূর্খরা জ্ঞান ছাড়াই ফতোয়া দিতে শুরু করবে। তারা নিজেরা উচ্ছন্নে যাবে,  সাধারণ মানুষকেও উচ্ছন্নে যাওয়ার পথে নেতৃত্ব দেবে।
—আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা); বোখারী, মুসলিম

(যে কল্যাণ অনুসন্ধান করে) আল্লাহও তার কল্যাণ চান, তাকে তিনি সত্যধর্মের জ্ঞানদান করেন।
—মোয়াবিয়া (রা); বোখারী, মুসলিম

আমি জিজ্ঞেস করলাম : হে আল্লাহর রসুল! দুনিয়াতে কারা সবচেয়ে বেশি  (দুঃখকষ্টের) পরীক্ষার সম্মুখীন হন?
তিনি বলেন, নবীরা!
: তারপর কারা?
: সত্যজ্ঞানীরা।
: তারপর কারা?
: সৎ মানুষেরা।
—আবু সাঈদ খুদরী (রা); হাকেম

সত্যধর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হয়ে কোনো জ্ঞানী ব্যক্তি যদিসে জ্ঞান গোপন করে, তবে মহাবিচার দিবসে তার মুখে আগুনের লাগাম পরানো হবে।
—আবু হুরায়রা (রা); আবু দাউদ, তিরমিজী

আমি [আবু হুরায়রা (রা)] নবীজীর (স) কাছ থেকে দুই ধরনের জ্ঞানলাভ করেছি। আমি শুধু এক ধরনের জ্ঞানই তোমাদের কাছে বর্ণনা করেছি। দ্বিতীয় পর্যায়ের জ্ঞান যদি বর্ণনা করি, তবে তোমরা আমার গলা কেটে ফেলবে। (ইলমে মারেফত, যা আসলে বিশেষ সাধনা ছাড়া উপলব্ধি করা যায় না। তাই তা সাধারণ্যে প্রকাশ শুধু ভুল বোঝাবুঝিই বাড়াবে।)
—আবু হুরায়রা (রা); বোখারী

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com