1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০১:০৬ পূর্বাহ্ন

তাদের কোনো ভয় নেই, তারা কখনো চিন্তিত হবে না -আল কুরআন

  • সময় রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ৫৬০ বার দেখা হয়েছে

পবিত্র কুরআনে বারবার বলা হয়েছে, ‘তাদের কোনো ভয় নেই, তারা কখনো চিন্তিত হবে না’। যাদের ব্যাপারে বলা হয়েছে তারা কারা?

‘তাদের কোনো ভয় নেই, তারা কখনো চিন্তিত হবে না’

▪︎ এক. “যারা হিদায়াতের পূর্ণ অনুসরণ করে।”

(সুরা বাকারাহ: ৩৮)

▪︎ দুই. “যারা ঈমান আনে ও রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহ অনুযায়ী আমল করে।”

(সুরা বাকারাহ: ৬২)

▪︎ তিন. “যারা পরিপূর্ণভাবে আল্লাহর নিকট আত্নসমর্পন করে ও নেক আমল করে।”

(সুরা বাকারাহ: ১১২)

▪︎ চার. “যারা আল্লাহর রাস্তায় দান করার পর মানুষের নিকট বলে বেড়ায় না ও খোঁটা দিয়ে কষ্ট দেয় না।”

(সুরা বাকারাহ: ২৬২)

▪︎ পাঁচ. “যারা রাতে ও দিনে, প্রকাশ্যে ও গোপনে আল্লাহর রাস্তায় খরচ করে।”

(সুরা বাকারাহ: ২৪৭)

▪︎ ছয়. “যারা ঈমান আনে, নেক আমল করে, সলাত ও যাকাত কায়েম করে।”

(সুরা বাকারাহ: ২৭৭)

▪︎ সাত. “যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়।”

(সুরা আল-ই ইমরান: ১৭০)

▪︎ আট. “যারা ঈমান আনে ও নিজেকে সংশোধন করে।”

(সুরা আনআম: ৪৮)

▪︎ নয়. “যারা তাকওয়া অবলম্বন করে ও নিজেকে সংশোধন করে।”

(সুরা আরাফ: ৩৫)

▪︎ দশ. “যারা আল্লাহর বেলায়াত (বন্ধুত্ব) অর্জন করে।▪︎

(সুরা ইউনুস: ৬২)

▪︎ এগারো. “যারা বলে আল্লাহ আমার রব, অতপর এই কথার উপর অটল থাকে।”

(সুরা আহকাফ: ১৩)

“মনে রেখো যারা আল্লাহর বন্ধু,
তাদের না কোন ভয় ভীতি আছে, না তারা চিন্তান্বিত হবে।
যারা ঈমান এনেছে এবং ভয় করতে রয়েছে।
তাদের জন্য সুসংবাদ পার্থিব জীবনে ও পরকালীন জীবনে।
আল্লাহর কথার কখনো হের-ফের হয় না। এটাই হল মহা সফলতা।”
(সূরাঃ ইউনুস, আয়াতঃ ৬২,৬৩ ৬৪)
★সৎ আমলকারীগণের জন্য সব সময়েই রয়েছে উত্তম প্রতিদান।★”নিঃসন্দেহে যারা মুসলমান হয়েছে এবং যারা ইহুদী, নাসারা ও সাবেঈন, (তাদের মধ্য থেকে) যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামত দিবসের প্রতি এবং সৎকাজ করেছে, তাদের জন্য রয়েছে তার সওয়াব তাদের পালনকর্তার কাছে। আর তাদের কোনই ভয়-ভীতি নেই, তারা দুঃখিতও হবে না।”
(সূরাঃ বাকারাহ, আয়াতঃ ৬২)

নবী রাসূলগনের অনুসারীদের জন্য এ সুসংবাদ কিয়ামাত পর্যন্ত রয়েছে যে, তারা ভবিষ্যতের ভয় হতে নির্ভয় এবং অতীতের হাতছাড়া হয়ে যাওয়া জিনিসের জন্য আফসোস করা হতে পবিত্র।
অতএব যে নবী ও রাসূল (সঃ) এর অনুসরণ করবে, সে পাবে অন্তহীন শান্তি এবং ভবিষ্যতের কোনো আশংকার জন্য সে ভীত হবেনা, আর অতীতে কোন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার জন্য সে দুঃখিত ও হবেনা।

আল্লাহ্‌ তা’আলার বন্ধু হচ্ছে ওই সকল লোক,
যারা ঈমান আনার পর পরহেজগারীও অবলম্বন করে।
সুতরাং যারা পরহেজগার ও আল্লাহ্‌ভীরু, তারাই আল্লাহ্‌র বন্ধু।

আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত।
রাসুল (সঃ) বলেছেনঃ
আল্লাহ্‌র বান্দাদের মধ্যে এমন কিছু লোকও আছে, যারা নবী ও নয়, শহীদ ও নয়। কিয়ামাতের দিন আল্লাহ্‌র কাছে তাদের মর্যাদা দেখে নবীগন ও শহীদগন ওই লোকেদের ভাগ্যবান মনে করবেন।
জিজ্ঞেস করা হলঃ
হে আল্লাহ্‌র রাসুল (সঃ)! তারা কারা, যাদেরকে আমরাও ভালবাসতে পারি।
উত্তরে তিনি বললেনঃ
তারা হচ্ছে ওইসব লোক যারা শুধু আল্লাহ্‌র মহব্বতে একে অপরকে মহব্বত করেছে (ভালবেসেছে)।
তাদের মধ্যে নেই কোন মালের সম্পর্ক এবং নেই কোন আত্মীয়তার সম্পর্ক। তাদের মুখমন্ডল হবে নূরানী, এবং তারা নূরের মিম্বরের উপর থাকবে। সেদিন যখন মানুষ ভীত- সন্ত্রস্ত থাকবে তখন তাদের কোনো ভয় থাকবেনা এবং
মানুষ যখন দুঃখে থাকবে, তখনও তাদের কোনো দুঃখ চিন্তা থাকবেনা।
তারপর তিনি পাঠ করলেনঃ
জেনে রেখো, নিশ্চই আল্লাহ্‌র বন্ধুদের জন্য কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তিত ও হবেনা।
(আবূ দাঊদ, ৩৫২৭, তাবারী ১৫/১২০)

“নিশ্চয় যারা বলে, আমাদের পালনকর্তা আল্লাহ, অতঃপর তাতেই অবিচল থাকে, তাদের কাছে ফেরেশতা অবতীর্ণ হয় এবং বলে, তোমরা ভয় করো না, চিন্তা করো না এবং তোমাদের প্রতিশ্রুত জান্নাতের সুসংবাদ শোন।”
(সুরাঃ হা-মীম সাজদাহ, আয়াতঃ ৩০)

 

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com