আমরা যদি বর্তমান চিত্র দেখি, তাহলে আমরা দেখব আমাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা, আমাদের উদ্যোগ, আমাদের বিশ্বাস, আমাদের ইতিবাচকতা পুরো চিত্র বদলে দিল। ধানের উৎপাদন বাড়িয়েও, ফল-শাকসবজির ফলনের রেকর্ড করেও, মিঠাপানির মাছের চাষে বিস্ময়কর সাফল্য লাভ করার পরও বাংলাদেশ নিজস্ব উৎপাদন থেকেই কোরবানির পশুর বিশাল চাহিদা মেটাতে পারছে।
আর দৈনন্দিন মাংসের বাজারও স্থিতিশীল। গরুর দুধের যোগানও বাড়ছে। আমাদের দেশে কয়েকটি কোম্পানি এখন তরল দুধের বাজারে সক্রিয়।
আসলে আমাদের ব্যাপারে নেতিবাচক কথা বলার মানুষের কোনো অভাব কোনোকালেই হয় নি।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে, শুধু বিদেশী পন্ডিতরাই আমাদের সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলেছেন তা না। যখনই সুযোগ এসছে বিদেশি সংবাদ মাধ্যমও নেতিবাচক মন্তব্য করতে কখনো পিছপা হয় নি।
১৯৯৮ সালের প্রবল বন্যার সময় বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, অন্তত দুই কোটি লোক মারা যাবে না খেয়ে ও চিকিৎসা সুবিধার অভাবে।
এবারে করোনার শুরুতে গত বছর বলা হলো, লাখ লাখ প্রবাসী ফিরে আসবে কাজ হারিয়ে। রপ্তানি বাণিজ্যে ধ্বস নামবে ডলার-ইউরো কম আসবে।
আর আল জাজিরা টিভি তো বলেই দিল অন্তত ২০ লাখ লোক মারা যাবে করোনায়। কিন্তু বাস্তবে এসব কিছুই ঘটে নি। বরং পরম করুণাময়ের অনুগ্রহে ভিন্ন চিত্র দেখি আমরা।
প্রবাস থেকে রেমিটেন্স বেড়ে গেল। রপ্তানি বেড়ে গেল। অর্থনীতি প্রবৃদ্ধি ঘটল। এবং যে পদ্মাসেতু নিয়ে বিশ্ব ব্যাংক বলেছিল তাদের ঋণ ছাড়া ৩০ হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। এই করোনার মধ্যেও সে পদ্মাসেতু মাথা তুলে দাঁড়িয়ে গেল।
আসলে আমরা সবসময়ই বলেছি পরম করুণাময় মহা-মহান স্রষ্টার বিশেষ অনুগ্রহভাজন জাতি আমরা। আল্লাহর বিশেষ রহমত রয়েছে আমাদের ওপর। এবং যে-কারণে যে-কোনো দুর্যোগ দুর্বিপাকে থেকে যে ঘুরে দাঁড়ানোর সহজাত ক্ষমতা, সহজাত শক্তি সঞ্চারিত হয়েছে আমাদের মাঝে।
এবং আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এটাও পাশ্চাত্যের বহু জাতির চেয়ে অনেক-অনেকগুণ বেশি। অতএব করোনা নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ার কোনো কারণ নাই।
আর বাস্তবতা হচ্ছে ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, প্লাবন এগুলো মতো করোনা নিয়েই আমাদের বসবাস করতে হবে। করোনা আসলে সিজনাল ফ্লু-র মতোই, কখনো সংক্রমণ বেশি, কখনো কম।