প্রিয় সুহৃদ! ৭০ এবং ৮০’র দশকে রূপালি পর্দার নায়ক-নায়িকা ও কুশীলবদের খুব ঘনিষ্ঠভাবে দেখার সুযোগ হয়েছে। মেশার সুযোগ হয়েছে।
আসলে অধিকাংশেরই রূপালি পর্দার জীবন ও বাস্তব জীবনের মধ্যে ছিল এক কঠিন টানাপোড়েন। খুব মায়া হতো যে রূপালি পর্দায় তিনি নিজেকে যেভাবে উপস্থাপন করছেন তার জীবনের বাস্তবতা তার চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন।
এবং সেই সময়ে খুব গভীরভাবে উপলব্ধি করেছি, পর্দার ‘আমি’ আর বাস্তবের ‘আমি’- এই দুই আমি’র যে দ্বন্দ্ব সেই দ্বন্দ্ব শুধু ব্যক্তিজীবন নয় পারিবারিক জীবনকেও বিপর্যস্ত করে তোলে। এবং অধিকাংশেরই দেখেছি পারিবারিক জীবনে অশান্তি, বিপর্যয়।
পর্দার ‘আমি’ নিয়ে তো গল্প আছে যে, চার্লি চ্যাপলিন- হলিউডের হাসির রাজা।
তিনি বিষণ্ণতায় ভুগছেন। একজন সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে গিয়েছেন পরামর্শের জন্যে- ‘যে আমি তো হাসতে পারি না। আমি তো বিষণ্ণতায় ভুগছি। হাসতে পারি না।’
তিনি তার বিষণ্ণতার কারণ বলছেন দুঃখ বলছেন। সব শুনে টুনে সাইকিয়াট্রিস্ট বললেন আপনি চার্লি চ্যাপলিনের ছবি দেখেন। তাহলেই আপনি হাসতে পারবেন।
চার্লি চ্যাপলিন আরো বিষণ্ণ মুখ করে বললেন, আমিই তো চার্লি চ্যাপলিন।
তো আসলে পর্দার আমি আর বাস্তবের আমি, পর্দার জীবন আর বাস্তবের জীবন, স্ট্যাটাসের ছবি আর বাস্তব -ছবি- এর মধ্যে মিলের চেয়ে অমিল মিলের চেয়ে সংঘাত অনেক অনেক বেশি।