০৭ জানুয়ারি বছরের প্রথম শুক্রবার বান্দরবান লামার কোয়ান্টামম সেন্টারে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় কোয়ান্টাম বর্ষায়ন। এদিন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন ২৯ বছর পেরিয়ে প্রবেশ করে ৩০ তম বছরে। ১৯৯৩ সালরে ১ জানুয়ারিতে শুরু হয় কোয়ান্টামের পথ চলা।
সূর্যোদয়ের পর কোয়ান্টামমের প্রশান্তিময় পাহাড়ি পরিবেশে মেডিটেশন কেন্দ্র আরোগ্যশালার ধ্যানমঞ্চ ও সংলগ্ন স্থানে সমবেত হন কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা; সকল কর্মী ও তাদের পরিবারবর্গ; স্থানীয় অধিবাসী ও দেশের নানাপ্রান্ত থেকে আসা অতিথিসহ সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ। বর্ষায়নের প্রথম অংশে ছিল তরুণদের প্রতি সমমর্মিতা প্রকাশের প্রত্যয় বাণী নিয়ে গুরুজী শহীদ আল বোখারী মহাজাতকের কণ্ঠে বিশেষ অডিও আলোচনা—‘ইনশাল্লাহ! সব সম্ভব!’। এরপর ‘হৃদয়ের টান’ মেডিটেশনে নিমগ্ন হন অংশগ্রহণকারীরা। স্থানীয় অধিবাসী ও সবাই যেন শারীরিক-মানসিকভাবে আরো সুস্থ, কর্মক্ষম ও শোকরগোজার হতে পারেন, এ লক্ষ্যে বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন ফাউন্ডেশনের অর্গানিয়ার এম. মাকসুদ হোসাইন।
কোয়ান্টামের ৩০তম বছরটিকে ঘোষণা করা হয়েছে ‘তারুণ্যের প্রতি সমমর্মিতার বছর’ হিসেবে। কারণ এখনকার কিশোর-তরুণরাই আগামীর ভবিষ্যৎ রচনা করবে। তারা যেন আত্মবশ্বিাস ও নৈতিক শক্তিতে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে এজন্যে দোয়া করা হয়। দোয়া শেষে নতুন প্রত্যয় বাণী ‘ইনশাল্লাহ! সব সম্ভব!’ উচ্চারিত হয় উপস্থিত সবার কণ্ঠে।
সকালে বর্ষবরণ ও দোয়ার অনুষ্ঠানের পরপর কোয়ান্টামমের সালাম চত্বর মাঠে ছিল মেলার আয়োজন। যেখানে ছিল দেশি পিঠা-পুলি ও হরেক প্রকার দেশজ সামগ্রীর স্টল। আরো অনুষ্ঠিত হয় বিভিন্ন দেশীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা। এতে বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যে একাত্ম হয় কোয়ান্টাম লামা সেন্টারের সাত শতাধিক কর্মী ও তাদের পরিজন এবং এলাকাবাসী। সবশেষে সন্ধ্যায় আয়োজিত এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন অতিথিরা।