‘বিশ্ব সর্বোচ্চ সংক্রমণের দিকে এগোচ্ছে’ বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) প্রধান ডা. তেদ্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস মন্তব্য করার একদিন পর এ তথ্য জানা গেল। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও ব্রাজিলে আক্রান্তের হার সর্বাধিক। বিশ্বজুড়ে গত সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে ১২ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। বিবিসির খবরে বলা হয়, ভারতের পরিস্থিতি বর্তমানে এই তিন দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ। দেশটিতে দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ চলছে। শনিবার দুই লাখ ৩৪ হাজার মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ১৪ কোটির ও বেশি মানুষ। কয়েক সপ্তাহ আগেও ভারতের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে ছিল। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা গড়ে ২০ হাজারের নিচে ছিল। ১৩০ কোটি মানুষের দেশে এই সংখ্যাকে খুব ভয়ঙ্কর ভাবা চলে না। কিন্তু এরপর থেকেই সংক্রমণ তীব্র গতিতে বাড়তে শুরু করে। হাসপাতালগুলোতে শয্যাসংখ্যা কমে আসার পাশাপাশি ঘাটতি তৈরি হয়েছে অক্সিজেন ও ওষুধ সরবরাহের ব্যাপারগুলোতেও। রাজধানী নয়াদিল্লিতে শনিবার থেকে আবার লকডাউন শুরু হয়েছে। কঠোর বিধিনিধের আওতায় এসেছে আরও কয়েকটি রাজ্য।
ভারতের পরই সংক্রমণ বাড়ছে ব্রাজিলে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না তারা। শুক্রবারও ৮৫ হাজারের বেশি সংক্রমণের কথা জানিয়েছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ। এর মাত্র একদিন আগে শুক্রবার ডাব্লিউএইচও প্রধান গেব্রিয়েসুস বলেন, ‘উদ্বেগজনক হারে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। গত দুই মাসে প্রতি সপ্তাহে দ্বিগুণেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘টিকা আমাদের সময়ের বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা সময়ের সঙ্গে পেরে উঠছি না।’ তিনি জানান, এ পর্যন্ত বিশ্বের ১৬৫টি দেশে ৮৬ কোটি ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। যুক্তরাজ্য ও ইসরায়েল এরই মধ্যে তাদের অন্তত অর্ধেক মানুষকে টিকা দিতে পেরেছে। এর সুফলও তারা পাচ্ছে। নতুন সংক্রমণের মাত্রা কমে এসেছে। তবে এমন বহু দেশ আছে যারা এখনও টিকার প্রথম চালানটিই তারা পায়নি।