শয়তান কেন শয়তান হলো?
ভুল বুঝতে পারা- That’s very important.
এবং মানুষের মধ্যেই এই শক্তি আল্লাহতায়ালা দিয়ে দিয়েছেন যে, সে তার ভুলটাকে বুঝতে পারে। এবং সেজন্যেই মানুষ, মানুষ হয়েছে।
আর শয়তান কেন শয়তান হলো? সে তার ভুলটা বুঝতেই পারে নি।
শয়তান কিন্তু পরিশ্রম কম করে নি।
চিন্তা করেন, কী পরিমাণ মেহনত করলে পরিশ্রম করলে আল্লাহতায়ালা তাকে ফেরেশতাদের সর্দার মানে CEO বানিয়ে দিয়েছিলেন।
তো শয়তান কিন্তু আমাদের চেয়ে অনেক পরিশ্রমী অনেক মেহনত করে। কিন্তু সে তার ভুলটা বুঝতে পারে নি।
সে ভুল করার পরে আরো উল্টো! মানে ও আচ্ছা! তুমি এজন্যে আমাকে এ শাস্তি দিলে! তো ‘ঠিক আছে’ আমি তো এত বছর তোমার কাজ করেছি! আমি যে এতবছর তোমার সার্ভিস করলাম এটার পুরস্কার আমাকে দাও।
আমাকে ক্ষমতা দাও! তোমার এই আদম যার জন্য আমার এই দুরাবস্থা এদের বারোটা বাজানোর। এবং এদের বংশ পরম্পরায় এদের পেছনে লেগে থাকার ক্ষমতা দাও।
আল্লাহতায়ালার কত রহম দিল! কাজের পুরস্কার তিনি সবসময় দেন।
আল্লাহতায়ালা ক্ষমতা দিয়ে দিলেন। যেহেতু সে কাজ করেছে, পরিশ্রম করেছে।
তো এটা থেকে একটা বিষয় বোঝা যায়, আপনি যদি মেহনত করেন, পরিশ্রম করেন আপনি পুরস্কার পাবেন। যা চাবেন, তা পাবেন, চাওয়াটা যদি কল্যাণকর হয়।
শয়তানের এই চাওয়াটা কী কল্যাণকর হয়েছে? শয়তান যদি বলত, আল্লাহ! ঠিক আছে যা হয়েছে মাফ করে দাও। বুঝি নাই। তা
হলে আল্লাহতায়ালা এই CEO কে মাফ করে দিতেন।
আদম এবং শয়তানের মধ্যে তফাৎটা কোথায়?
আদম ভুল করে ভুল বুঝেছে এবং সে বলেছে যে, আল্লাহ আমি তো ভুল করে ফেলেছি। তুমি আমাকে ক্ষমা করো।
আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেছেন।
কিন্তু শয়তান কী করেছে? শয়তান তার ভুল বুঝতে পারে নি এবং ভুল স্বীকার করার মতো সাহসও তার নাই।
মানুষের ভুল স্বীকার করার মতো সাহস আছে।
অতএব আপনি যখনই ভুল করবেন, ভুলকে কখনো justify করার চেষ্টা করবেন না। ভুলটাকে ‘ভুল’ বলে স্বীকার করবেন যে, না এটা ভুল হয়েছে।
মানুষের কাছে ভুল করে থাকলে মানুষের কাছেই ক্ষমা চাইবেন। সে যদি ক্ষমা না করে এটা তার দায়িত্ব। ক্ষমা চাওয়াটা আপনার দায়িত্ব।
আল্লাহকেও বলতে পারেন, আল্লাহ! আমি তো মাফ চেয়েছিলাম তার কাছে। সে মাফ করে নাই। এখন আমি আর কী করব?
কারণ আল্লাহর কাছেও তখন আপনার কী থাকবে? স্ট্রং ground থাকছে।
Say থাকছে যে, আমি তো মাফ চেয়েছি তার কাছে, সে মাফ করে নি। এখন আর কী করব? ভুল তো আমি করেছি। এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন। আল্লাহ ক্ষমা করে দেবেন।
তো মানুষের বিশেষত্ব হচ্ছে এটা।
অতএব আপনি একধাপ এগিয়ে আছেন যে, আপনি আপনার ভুল বুঝতে পারেন এবং ভুল শোধরানোর জন্য কী কী করণীয় এটাও বুঝতে পারেন। এরপরে কষ্ট পাওয়ার কিছু নাই তো।
এরপরে কী করবেন? আনন্দ পাবেন।
যখনই ভুল বুঝতে পেরে কষ্ট আসবে আপনি বলবেন যে, গুরুজী তো আনন্দ পেতে বলেছেন আমি আনন্দ পেলাম। এবং এই আনন্দে আমি দুটো খেজুর খাই আর কি।
দুটো খেজুর খাবেন। একটা নিজের তরফ থেকে আরেকটা আমার তরফ থেকে।
এই ভেবে যে, হ্যাঁ, ঠিক আছে। এটা গুরুজী তরফ থেকে খাচ্ছি, আমি যেহেতু ভুল বুঝতে পেরেছি।
আমরা অধিকাংশ মানুষ এখানেই ভুলটা করি যে, আমরা ভুলটাকে স্বীকার করতে চাই না। ভুলটাকে বুঝতে চাই না বরং ভুলটা যে justified, ঐ সময় এটা করা ছাড়া যে, আর আমার কোনো পথ ছিল না এবং এটা এ কারণে করেছি এবং এটা justified এটা আমরা বোঝানোর চেষ্টা করি। এবং সেখানে আমরা দ্বিতীয় বার ভুল করি।
অর্থাৎ ভুলটাকে যিনি justify করার চেষ্টা করেন he made the second mistake।
অতএব কী করবেন? ভুল শোধরাবেন এবং হতাশ হবেন না।