এই প্রশান্তির খোঁজ শুধু আমাদের সমাজেই নয়, সারা পৃথিবীতে এর প্রয়োজন আজ খুব বেশিরকম অনুভূত হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে এ নিয়ে তাই সমাজবিজ্ঞানী, চিকিৎসাবিজ্ঞানী আর গবেষকদের অনুসন্ধান চলছেই। সম্প্রতি (নভেম্বর ২০১৪) বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞান-সাময়িকী সায়েন্টিফিক আমেরিকান-এ প্রকাশিত হয়েছে একটি প্রচ্ছদ প্রতিবেদন-দ্য নিউরোসায়েন্স অব মেডিটেশন।
এ প্রতিবেদনের মাইন্ড অব দ্য মেডিটেটর শীর্ষক নিবন্ধে মেডিটেশনকালে একজন মানুষের মন ও মস্তিষ্কের ইতিবাচক গতিপ্রকৃতি তুলে ধরা হয়েছ। একাধিক গবেষণায় নিউরোসায়েন্টিস্টরা দেখেছেন, নিয়মিত মেডিটেশন মানুষের মন ও মস্তিষ্ককে সতেজ ও সুতীক্ষ করে। মনোযোগকে করে গভীর ও কেন্দ্রীভূত। নিয়মিত মেডিটেশনকারীদের ওপর দীর্ঘ গবেষণা আর নানা তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে বিজ্ঞানীদের অভিমত হলো-মনোদৈহিক সুস্থতাসহ মমতা ও সমমর্মিতাপূর্ণ সুখী জীবনের পথে এগিয়ে যাওয়ার সহজ ও কার্যকর উপায় হতে পারে মেডিটেশন।
আর এ কথাগুলোই কোয়ান্টাম বলছে প্রায় দুই যুগ আগে থেকেই। অর্থাৎ এ শতাব্দীর এ সময়ের মানুষের সার্বিক প্রয়োজন পূরণের বিষয়টি কোয়ান্টাম মানুষকে দিতে পেরেছে সার্থকভাবে। তাই আমরা নিঃসংকোচে বলতে পারি, সর্বস্তরের মানুষের আস্থা এখন মেডিটেশনে।