‘কোয়ান্টাম মেথড’ এটা হচ্ছে পুরোপুরি দেহমনের যত্নায়নের ম্যানুয়াল।
পরম প্রভু যুগে যুগে যে বাণীবাহকদের পাঠিয়েছেন তাদের মাধ্যমে মানুষের জীবনকে সুন্দর করার যে নির্দেশনাগুলো দিয়েছেন কোয়ান্টাম মেথড আধুনিক বিজ্ঞানের আলোকে, আধুনিক জীবনের প্রয়োজনের আলোকে সেই ম্যানুয়ালটাকে ব্যবহারোপযোগী করে সহজ করে সব মানুষের কাছে উপস্থাপন করেছে।
যাতে আপনি দৈহিক শক্তি এবং মানসিক শক্তিকে পরিপূর্ণরূপে বিকশিত করতে পারেন, কাজে লাগাতে পারেন।
এই যে করোনাকালে যখন মানুষ আতঙ্কিত, যখন আপনজন আপনজনকে ছেড়ে পালিয়েছে, যখন ইটালি থেকে স্বামী আসছে শুনে স্ত্রী ঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছে, যখন সন্তানরা মাকে জঙ্গলে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে, যখন বাবার লাশ পড়ে আছে, ছেলে ঘর থেকে পালিয়ে গেছে সেই সময় আমরা কোয়ান্টামের মানুষেরা কী করেছি?
আমরা মানুষের পাশে ছিলাম।
কেন থাকতে পেরেছি? কারণ আমরা ঐ ম্যানুয়াল অনুসরণ করেছি।
আমরা যদি সুস্থ না থাকতাম, আমরা যদি ভালো না থাকতাম, আমরা যদি ভীত থাকতাম আমরা কি মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারতাম?
কেন আমরা ভালো থেকেছি? কেন আল্লাহ ভালো রেখেছেন আমাদেরকে? কারণ আল্লাহ যে নিয়ম বলে দিয়েছেন যেম তুমি তোমার ভালো থাকার জন্যে এই এই কাজগুলো করো, আমরা সেই কাজগুলো করেছি।
কারণ আল্লাহ সবাইকে ভালো রাখেন যদি তিনি যে নিয়ম বলে দিয়েছেন তিনি যে ম্যানুয়াল দিয়ে দিয়েছেন সেই ম্যানুয়ালকে যদি কেউ অনুসারে কাজ করে।
এই করোনাকালে সমস্ত বিশেষজ্ঞরা বলছেন- হার্ভার্ডের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অমুক প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডব্লিউএইচও’র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কী করো? প্রাণায়াম করো, ব্রিদিং করো, ইয়োগা করো, মেডিটেশন করো।
আরে! আমরা তো ৩০ বছর ধরে এই একই কথা বলছি যে, নিজের দেহের যত্ন নাও। নিয়মমতো নাও, সুন্দরভাবে নাও। তুমি ভালো থাকবে এবং আরেকজনকে ভালো রাখতে পারবে।
এবং আমরা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি এই করোনাকালে আমাদের ব্যয় সবচেয়ে কম ছিল।
আমরা স্যানিটাইজার ব্যবহার করি নাই। কারণ আমাদের বাংলা সাবান স্যানিটাইজারের চেয়ে অনেক অনেক উত্তম।
স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে গিয়ে আগুন লেগে গেছে। আগুন লেগে ডাক্তার মারা গেছেন।
তো এখন স্যানিটাইজারের কী ফজিলত? কারণ দ্যাট কনটেইন্স কী? দাহ্য পদার্থ। যে কারণে এটা হাতে দেয়ার পরে এটা উবে যায় আরকি পরে। অর্থাৎ যেটাতে আগুন লাগা খুব সহজ।
এবং এর চেয়ে ভালো হচ্ছে বাংলা সাবানে। বাংলা সাবান হাতে ঘষে কেউ মারা গেছেন আজ পর্যন্ত এরকম কেউ কোনো খবর আমরা পাই নাই।
কারণ প্রত্যেকটা সমস্যার সময় কিছু মানুষ থাকে যারা ব্যবসা করতে চায় আরকি।
এবং করোনাকালেও তার কোনো ব্যতিক্রম নাই। তারা একটা আতঙ্ক প্রচার করে এবং আতঙ্ক প্রচার করে তাদের স্বার্থসিদ্ধি করে।
তো আমরা যেটা সবসময়ই বলেছি কোয়ান্টাম মেথডের শুরু থেকে ২৮ বছর ধরে, যে কী করতে হবে? যত্ন নিতে হবে। নিয়মিত যত্ন নিতে হবে।
[কোয়ান্টামম সাদাকায়ন, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০]