1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৫ পূর্বাহ্ন

যাকাত দিতে হবে সংঘবদ্ধভাবে

  • সময় সোমবার, ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
  • ৫২০ বার দেখা হয়েছে

হযরত উসমান (রা) এর খেলাফতকালে আরবে

যাকাত গ্রহণ করার কোনো মানুষ ছিল না। কারণ
সমাজের প্রতিটি মানুষকে সচ্ছল করে তোলাটাই
যাকাতের মূল লক্ষ্য – ইসলামের এ বিধান বাস্তবায়নে
তারা সচেতন ছিলেন। আর এটা সম্ভব তখনই যখন
ব্যক্তিগত যাকাতের অর্থ একসঙ্গে জমা করে
পরিকল্পিতভাবে ব্যয় করা হবে।

যাকাত অর্থব্যয়ের শরীয়ত নির্ধারিত ৮ খাত

“যাকাত তো শুধু (এক) দরিদ্র, (দুই) অক্ষম, (তিন) যাকাত ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত কর্মচারী, (চার) যাদের মন জয় করা প্রয়োজন, (পাঁচ) মানুষকে দাসত্ব থেকে মুক্তির জন্যে, (ছয়) ঋণজর্জরিত অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্যে, (সাত) আল্লাহর পথে (জনকল্যাণমূলক কাজ, ধর্মপ্রচার ও প্রতিষ্ঠার কাজে) এবং (আট) মুসাফিরদের জন্যে ব্যয় করা যাবে। (যাকাতের অর্থ ব্যয়ে) এটাই আল্লাহর বিধান। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।” [সূরা তওবা : ৬০]

এমন মজুর ও শ্রমজীবী, যে শারীরিক ও মানসিকভাবে কর্মক্ষম হওয়া সত্ত্বেও প্রতিকূল অবস্থার কারণে বেকার ও উপার্জনহীন হয়ে পড়েছে। ছিন্নমূল মানুষ এবং শরণার্থীরাও এর মধ্যে পড়েন।

বার্ধক্য, রোগ বা পঙ্গুত্ব যাকে উপার্জনের সুযোগ হতে বঞ্চিত করেছে অথবা যে ব্যক্তি উপার্জন দ্বারা তার প্রকৃত প্রয়োজন পূরণ করতে অক্ষম এবং আশ্রয়হীন শিশু প্রমুখ।

যাকাত আদায় এবং তা বণ্টন করার কাজে যারা সার্বক্ষণিক নিযুক্ত থাকবে তাদের বেতন-ভাতা আদায়কৃত যাকাত থেকে দেয়া হবে।

ইসলাম প্রচার কাজ কোথাও প্রতিরোধের সম্মুখীন হলে সে-ক্ষেত্রে যাকাতের অর্থ ব্যয় করা যাবে। সংগতিহীন নও-মুসলিমকেও স্বনির্ভর করার কাজে যাকাতের অর্থ ব্যয় হতে পারে।

দাসমুক্তি বা বন্দিদের মুক্ত করতে যাকাতের সম্পদ ব্যয় করা যাবে। এখানে দাস বা বন্দি বলতে বিখ্যাত তাফসীরকার আল্লামা আসআদের তাফসীরে যারা পরিস্থিতি বা পরিবেশের বন্দি বা শিকার তাদের কথাও বলা হয়েছে। অর্থাৎ ভূ-লুণ্ঠিত, অপরিচিত, দুর্গম-দূরবর্তী অভাবগ্রস্ত এলাকার দুস্থ-অসহায়দেরও যাকাত দেয়া যাবে।

যারা নিজেদের দৈনন্দিন প্রয়োজন পূরণ করতে গিয়ে ঋণ করে এবং সে ঋণ পরিশোধে অক্ষম হয়ে পড়েছে, তাদেরকে যাকাতের সম্পদ হতে সাহায্য করা যাবে। যাদের বাড়ি-ঘর আগুনে পুড়ে গেছে, বন্যা-প্লাবনে মাল-আসবাব ভেসে গেছে, তাদের পরিবার-পরিজনের ভরণ-পোষণে যাকাতের সম্পদ দেয়া যাবে।

যাকাতের ৭ম খাত হলো ফি সাবী লিল্লাহ (আল্লাহর পথে)। ইসলামি চিন্তাবিদগণের সম্মিলিত মত হলো :আল্লাহ নির্দেশিত পথে প্রতিটি জনকল্যাণকর কাজে, দ্বীন ইসলামের প্রচার ও প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে যত কাজ করা সম্ভব সেসব ক্ষেত্রেই এ অর্থ ব্যয় করা যাবে। (ইসলামের অর্থনীতি- আল্লামা মুহাম্মদ আবদুর রহীম, পৃ-২৭৭)

যাকাতের ৮ম খাত হলো ইবনুস সাবীল (নিঃস্ব পথিকদের জন্যে)। যেসব পথিক বা মুসাফির যাত্রাপথে নিঃসম্বল হয়ে পড়েছে, তাদেরকে যাকাতের অর্থ দেয়া যাবে।

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com