1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩০ অপরাহ্ন

যাকাত না দেয়ার জন্যে ফাঁক-ফোকর খুঁজবেন না!

  • সময় রবিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৩৪৭ বার দেখা হয়েছে

 রমজান দানের মাস। আসলে সবধরনের ভালো ব্যবহার ভালো আচরণ ভালো কথা ভালো পরামর্শ সবই হচ্ছে দান। অন্যের কল্যাণে করা প্রতিটি কাজ হচ্ছে দান।

রমজানে যে-কোনো দান শুরু হয় সাতশ গুণ ৭০!

দান বলেন সেবা বলেন সাদাকা বলেন একই জিনিস। আর রমজানে যে-কোনো দান বা সেবার নেকি শুরু হয় সাতশ গুণ ৭০।

আর যখন সঙ্ঘবদ্ধভাবে কোনো দান বা সাদাকা করা হয় তখন সাতশ গুণ ৭০ এর ওপর আবার গুণ হয় ৭০। অতএব সঙ্ঘবদ্ধ ভালো কাজ ভালো দানের গুরুত্ব এবং নেকির পরিমাণ আপনি নিজেই বুঝতে পারছেন।

যাকাত ঐচ্ছিক নয়, বরং ফরজ!

দানের মধ্যে যাকাত হচ্ছে ফরজ দান। তাই রমজানে যাকাত আদায় আরো সওয়াবের।
প্রিয় সুহৃদ! মনে রাখবেন যাকাত কিন্তু ঐচ্ছিক দান নয়। ফরজ দান। এটি ঈমান ও নামাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। যাকাত আদায় না করলে আপনার নামাজ নিষ্ফল। তাই প্রথম সুযোগেই যাকাত আদায় করুন। আল্লাহর কাছে দাতার তালিকায় নাম লেখান।

সব খরচের পর ৫৫ হাজার টাকা উদ্বৃত্ত থাকলেই যাকাত আদায় করুন!

যাকাত না দেয়ার জন্যে হিসাবের ফাঁক-ফোকর বের করবেন না। আপনার সব খরচের পরে ৫৫ হাজার টাকা উদ্বৃত্ত থাকলেই আনন্দিতচিত্তে আড়াই শতাংশ হারে যাকাত আদায় করুন। আর আপনার যাকাতের টাকা শরিয়ত সম্মতভাবে কাজে লাগানোর দায়িত্ব কোয়ান্টাম যাকাত ব্যবস্থাপনার ওপর অনায়াসে ছেড়ে দিতে পারেন। ইনশাআল্লাহ কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আপনার যাকাত সর্বোত্তম কাজে লাগাবে।

যার দ্বারা মানুষ সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয় সে-ই আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয়!

নবীজী (স) রমজান মাসে সবধরনের দান বাড়িয়ে দিতেন। তাই নবীজীর (স) সুন্নত হিসেবে এমাসে সবধরনের দানের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। এতিম দুস্থ বিধবা প্রবীণের সেবার জন্যে প্রয়োজনীয় দান সংগ্রহে বেরিয়ে পড়ুন।

নবীজী (স) দুর্গত মানুষের কল্যাণে বেরিয়ে পড়াকে একমাস এতেকাফের চেয়েও উত্তম মনে করতেন। এই প্রসঙ্গে তার বিখ্যাত হাদীস, তাবারানী শরীফে উদ্ধৃত ইবনে ওমর (রা) বর্ণিত হাদীস হচ্ছে,

একজন নবীজীকে জিজ্ঞেস করলেন হে আল্লাহর রসুল! আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় মানুষ কে? আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় কাজ কী? নবীজী জবাব দিলেন যার দ্বারা মানুষ সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয় সেই আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয়।

দুর্দশা মোচনের কাজে দুর্গতদের সাহায্যে রমজানের বাকি দিনগুলো কাজে লাগান…

আর আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় কাজ হচ্ছে কোনো দুর্দশাগ্রস্তের দুর্দশা দূর করা। ঋণগ্রস্তকে ঋণমুক্তির ব্যবস্থা করা ক্ষুধার্তের ক্ষুধা নিবারণ করা।

এরপর নবীজী (স) বলেন, আর আমার কাছে কাউকে সাহায্য করার জন্যে তার সাথে হেঁটে যাওয়া মদিনার মসজিদে একমাস এতেকাফ করার চেয়েও বেশি কাঙ্ক্ষিত।

নবীজীর (স) এই কাঙ্ক্ষিত কাজটি সম্পন্ন করার জন্যে অর্থাৎ দুর্দশাগ্রস্তের দুর্দশা মোচনের কাজে দুর্গতদের সাহায্যে রমজানের বাকি কয়টি দিন যখনই সময় পান ঝাঁপিয়ে পড়ুন। দুর্দশা মোচনে কাজ করুন। এবং নিঃসন্দেহে রমজানের সর্বোত্তম কাজের একটি এবং ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সৎসঙ্ঘ গঠিত হওয়ায় আমরা এই কাজের সুযোগ অনায়াসে লাভ করেছি। এজন্যে আমরা পরম করুণাময়ের কাছে আবারও আমাদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com