নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় টিকাদান কর্মসূচি ত্বরান্বিত করছে যুক্তরাজ্য। এরই অংশ হিসেবে আজ সোমবার থেকে দেশটি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা টিকাদান শুরু করছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
যুক্তরাজ্যে আজ টিকার পাঁচ লাখের বেশি ডোজ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অক্সফোর্ডের টিকাদান কর্মসূচি শুরুকে ‘গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত’ বলে বর্ণনা করেছেন ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক। তিনি বলেন, ‘আশা করি এর (টিকাদান) মাধ্যমে সবার মধ্যে মহামারির সমাপ্তি দেখার আশা পুনর্জাগ্রত হবে।’
যুক্তরাজ্যে এই টিকাদান কর্মসূচি করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এনে বিধিনিষেধ তুলে নিতে সহায়ক হবে বলে বিবিসির খবরে বলা হয়।
তবে করোনা মোকাবিলায় অল্প কিছুদিনের জন্য কঠোরতর নিয়ম-কানুন মানার প্রয়োজন হতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
নভেল করোনাভাইরাসের একটি অতিসংক্রামক ধরন বা ভ্যারিঅ্যান্টের কারণে বেশ ভুগতে হচ্ছে যুক্তরাজ্যকে। এমন পরিস্থিতিতে বরিস জনসন জানিয়েছেন, ইংল্যান্ডে আঞ্চলিক বিধিনিষেধের মাত্রা ‘সম্ভবত আরো কঠোর হতে যাচ্ছে’।
যুক্তরাজ্যে সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ওপরও ক্রমাগত চাপ বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে করোনার টিকাদান কর্মসূচি ত্বরান্বিত করেছে। আগে সিদ্ধান্ত হয়েছিল করোনার টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার ২১ দিনের মাথায় দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। সেই সময়সীমা বাড়িয়ে এখন ১২ সপ্তাহ করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের শীর্ষ স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগে এমন বিলম্বের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছিলেন, বেশি সংখ্যক মানুষকে প্রথম ডোজের আওতায় আনাটা ‘অনেক বেশি গুরুত্ববহ’।
যুক্তরাজ্যে গতকাল রোববার ৫০ হাজারের বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে টানা ছয়দিন ৫০ হাজারের বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হলো।