1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:৪৬ অপরাহ্ন

যে কারণে লকডাউন বাড়তে পারে আরও এক সপ্তাহ

  • সময় শনিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২১
  • ১০২৬ বার দেখা হয়েছে
 করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিলের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব না হওয়ায় চলমান ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ আরও এক দফা বাড়ছে। শনিবার লকডাউন বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সারা দেশে লকডাউন চলছে। সরকার সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে। এটা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট নয়। করোনা সংক্রমণ যে হারে বাড়ছে, তাতে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি লকডাউন আরও বাড়ানো উচিত।’ করোনা নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটিও সিটি করপোরেশন ও পৌর এলাকায় টানা দুই সপ্তাহের লকডাউন দেয়ার সুপারিশ করেছে। মন্ত্রী বলেন, ‘সরকারকে বলব এ বিষয়ে ভাবতে। কমপক্ষে তিন সপ্তাহের লকডাউন দিলে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।’ তবে সবাই যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে লকডাউনের মধ্য দিয়ে করোনা সংক্রমণ কমিয়ে আনা সম্ভব বলেও মনে করেন জাহিদ মালেক।
করোনভাইরাস পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সোমবার সভা ডেকেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে। সেই বৈঠক থেকে আসতে পারে, লকডাউন কমপক্ষে আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর ঘোষণা। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা নিজের পরিচয় প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন। দ্বিতীয় ঢেউয়ের করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল সাত দিন বিধিনিষেধ আরোপ করে লকডাউন বলবৎ করে সরকার। শুরুতে গণপরিবহন বন্ধ রাখা হলেও পরে মহানগরগুলিতে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়। শেষ দিকে এসে সময় বেঁধে দিয়ে দোকানপাট ও শপিং মল খোলা রাখারও সিদ্ধান্ত আসে। পরে সরকারের সেই সিদ্ধান্ত আরও দুদিনের জন্য বাড়ানো হয়। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় সংক্রমণ প্রতিরোধে ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল কঠোর বিধিনিষেধসহ লকডাউন আরোপ করা হয়। চলমান লকডাউনে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী বন্ধ রয়েছে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি অফিস। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত থাকলেও পরে সেখান থেকে সরে আসে সরকার।
সরকারি ছুটির দিন ছাড়া সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্ত দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সংক্রমণ ঠেকাতে মসজিদে মুসল্লির সংখ্যাও বেঁধে দেয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়, একটি মসজিদে জামায়েতে ২০ জনের বেশি নামাজ আদায় করতে পারবেন না। বুধবার থেকে সারা দেশে ‘সর্বাত্মক’ লকডাউন শুরুর আগে ১২ এপ্রিল সন্ধ্যায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ করা হয়। যেখানে বলা হয়েছে, মাহে রমজানে তারাবির নামাজের ক্ষেত্রেও এই বিধিনিষেধ প্রযোজ্য হবে। নামাজের খতিব, ইমাম, হাফেজ, মুয়াজ্জিন ও খাদেমরাও এই ২০ জনের মধ্যেই পড়বেন। ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। আর প্রথম মৃত্যুর খবর আসে ১৮ মার্চ। এরপর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটির ঘোষণা দেয়। কয়েক মেয়াদে সেই ছুটি বাড়ানো হয়। ৬৬ দিনের টানা ছুটিতে করোনার সংক্রমণও কমে আসে। কিন্তু এ বছরের মার্চ থেকে আবার বদলে যায় দৃশ্যপট। বাড়তে থাকে সংক্রমণ, বাড়ছে মৃত্যু। গত দুদিন ধরে করোনায় সংক্রমিত হয়ে ১০১ জন করে মারা যাওয়ার খবর জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।যেটা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড।
Seen by Azmul at Saturday 8:14pm

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com