এ সবকিছুর মধ্য দিয়েই চলছিল সুরসৃষ্টির কাজ। কিন্তু বিটোভেনের জীবনে সবচেয়ে বড় ট্রাজেডির সূচনা হয় যখন মাত্র ২৬ বছর বয়সে তিনি হারাতে শুরু করেন তার শ্রবণশক্তি। মৃত্যুর আগে ১৫টি বছর তিনি পুরোপুরি বধির ছিলেন। ভাবা যায় একজন মানুষ সঙ্গীত সৃষ্টি করে চলেছেন, অথচ শুনছেন না কিছুই! তার অমর সৃষ্টি নাইনথ্ সিমফোনির প্রথম প্রর্দশনীর দিন বাজনা শেষে মন্ত্রমুগ্ধ দর্শকরা যখন তুমুল হৈচৈ করছে, তখন বিটোভেন শুনছিলেন না কিছুই। মনে করলেন শ্রোতারা বোধ হয় তার বাজনা পছন্দ করে নি। ডুকরে কেঁদে উঠলেন। বাজানোর সময় বিটোভেন একটা লম্বা লোহার রড কামড়ে থাকতেন যার আরেকমাথা লাগানো থাকতে পিয়ানোর সাউন্ডবোর্ডে। লোহার রডের মধ্য দিয়ে বাজনার কম্পন নিজের চোয়ালে অনুভব করে তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন সুরের বৈচিত্র্যকে।
নিজেকে কিছুক্ষণের জন্যে বিটোভেনের জায়গায় বসিয়ে কল্পনা করুন। শুকরিয়া আদায় না করে আপনি পারবেন না।