1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২৯ অপরাহ্ন

শোকরগোজার হোন

  • সময় বৃহস্পতিবার, ১৭ জুন, ২০২১
  • ১০৯৬ বার দেখা হয়েছে

অমর সুরস্রষ্টা বিটোভেন। ১৭৭০ সালে জার্মানিতে জন্ম। শিশুবয়স থেকেই মদ্যপ আর বদমেজাজী বাবার অত্যাচারের শিকার হয়েছেন। সঙ্গীতে জন্মগত প্রতিভা নিয়ে জন্মেছে যে ছেলে তাকে ‘বিস্ময়বালক’ হিসেবে উপস্থাপন করে অর্থ উপার্জনের জন্যে পিয়ানো-বাদক বাবা ছোট্ট বিটোভেনের ওপর চালাতেন শেখানোর অত্যাচার। একটু বড় হতেই বুঝলেন দায়িত্বজ্ঞানহীন বাবার কাছ থেকে মা আর ছোট দুটি ভাইয়ের অভিভাবকত্বটা তাকেই নিতে হবে। এজন্যে অনেক সুযোগও হাতছাড়া করেছেন। সঙ্গীতে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্যে অস্ট্রিয়ার যুবরাজ প্রদত্ত বৃত্তি নিয়ে ভিয়েনায় গেলেও মাত্র ২ সপ্তাহের মাথায় ফিরে আসেন মায়ের অসুস্থতার কথা শুনে। অল্পদিন পরই অবশ্য মা মারা যান। এদিকে ভাই দু’টোকে রেখে বিটোভেনেরও আর যাওয়া হলো না।

এ সবকিছুর মধ্য দিয়েই চলছিল সুরসৃষ্টির কাজ। কিন্তু বিটোভেনের জীবনে সবচেয়ে বড় ট্রাজেডির সূচনা হয় যখন মাত্র ২৬ বছর বয়সে তিনি হারাতে শুরু করেন তার শ্রবণশক্তি। মৃত্যুর আগে ১৫টি বছর তিনি পুরোপুরি বধির ছিলেন। ভাবা যায় একজন মানুষ সঙ্গীত সৃষ্টি করে চলেছেন, অথচ শুনছেন না কিছুই! তার অমর সৃষ্টি নাইনথ্‌ সিমফোনির প্রথম প্রর্দশনীর দিন বাজনা শেষে মন্ত্রমুগ্ধ দর্শকরা যখন তুমুল হৈচৈ করছে, তখন বিটোভেন শুনছিলেন না কিছুই। মনে করলেন শ্রোতারা বোধ হয় তার বাজনা পছন্দ করে নি। ডুকরে কেঁদে উঠলেন। বাজানোর সময় বিটোভেন একটা লম্বা লোহার রড কামড়ে থাকতেন যার আরেকমাথা লাগানো থাকতে পিয়ানোর সাউন্ডবোর্ডে। লোহার রডের মধ্য দিয়ে বাজনার কম্পন নিজের চোয়ালে অনুভব করে তিনি নিয়ন্ত্রণ করতেন সুরের বৈচিত্র্যকে।

নিজেকে কিছুক্ষণের জন্যে বিটোভেনের জায়গায় বসিয়ে কল্পনা করুন। শুকরিয়া আদায় না করে আপনি পারবেন না।

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com