1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৮:২২ পূর্বাহ্ন

সমস্যার সাথে টেনশন নয়, মেডিটেশনকে যুক্ত করে সমাধান করব

  • সময় শুক্রবার, ২৭ মে, ২০২২
  • ৪৮২ বার দেখা হয়েছে

সমস্যায় পড়লে সাধারণত আমাদের মধ্যে কী হয়? অস্থিরতা, তাৎক্ষণিক সমাধান পেতে আমরা অস্থির হয়ে পড়ি। কখনো উত্তেজিত হয়ে পড়ি। উত্তেজনা, অস্থিরতা যত বাড়ে তত সমস্যা আরো প্রকট হতে শুরু করে। সুতা যখন জট পাকাতে শুরু করে মাত্র তখন যদি হুলুস্থুল করে এদিক-সেদিক টেনে জট ছাড়াতে যান, দেখবেন যে আরো বেশি জট পাকাচ্ছে। কী করলে জট ছাড়ানো যেত? জটের সৃষ্টি হয়েছে যেখানে, সেখানে মনোযোগ দিলে। সেখান থেকে খোলার চেষ্টা করলে। আর এজন্যে শান্ত হয়ে, মনোযোগ দিয়ে দৃষ্টি দিতে হবে সেই জটের মূলে। ঠিক তেমনি আমাদের জীবনে যত সমস্যা, প্রতিটি সমস্যার সমাধান তার গোড়াতেই থাকে। আমরা সমস্যার উৎপত্তিতে খোঁজ না করে ডালপালাতে খুঁজতে থাকি, তারপর কান-কথাকে পাত্তা দেই, যারা নেতিবাচক ও হতাশাব্যঞ্জক কথা বলে তাদের কথা শুনে আমরা আমাদের সমাধানের পথই হারিয়ে ফেলি। শুরু হয় টেনশন, একের পর এক বিপদের কল্পনা। মনটা ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ে। ভালো কিছু নিয়ে ভাববার আর উপায় থাকে না।

বিশিষ্ট গবেষক ডা. রিচার্ড ডেভিডসন গবেষণা করে দেখেছেন যে, যেসব মানুষ নেতিবাচক চিন্তা ও দুশ্চিন্তায় অভ্যস্ত তাদের ব্রেনের ডানদিকের প্রি-ফ্রন্টাল করটেক্স বেশি কাজ করে। যারা বেশি উদ্যমী, আগ্রহী, সুখী, আত্মতৃপ্ত তাদের বামদিকের  প্রি-ফ্রন্টাল করটেক্স বেশি কাজ করে। মেডিটেশন ব্রেনের কাজকে ডানদিকের এই দুঃখ, কষ্ট, হতাশা, নেতিচিন্তা থেকে সরিয়ে বামদিকের ইতিবাচক, সুখী, আত্মবিশ্বাস, উদ্যমী অংশে নিয়ে যায়। এ থেকে প্রমাণিত হয় মেডিটেশন মানুষকে দুশ্চিন্তার পরিবর্তে প্রশান্ত, আত্মতৃপ্ত, সুখী ও সুচিন্তায় অভ্যস্ত করে তোলে।

মেডিটেশন কী করে?

মনটাকে পরিষ্কার করে। নেতিচিন্তা থেকে, অহেতুক বিপদ কল্পনা থেকে। শুদ্ধ অন্তর, সুখী মন তখন সমাধানের সূত্রকে স্বাগত জানানোর জন্যে প্রস্তুত হয়। নতুন ধারণা, নতুন উপলব্ধি, নতুন সত্য, নতুন পথ সে খুঁজে পায়। মন তাকে বাতলে দেয় সমাধানের পথ।

মহামানব, মুনি, ঋষি, ওলী, বুজুর্গরা এ কারণে মেডিটেশন করতেন। হযরত মুসা (আ), হযরত ঈসা (আ) মেডিটেশন করতেন। রসুলুল্লাহ (স) হেরা গুহায় মেডিটেশন করতেন। মহামতি বুদ্ধ অশ্বত্থ গাছের নিচে ধ্যানস্থ থাকতেন। ধ্যানের গভীরে থাকাকালেই তারা সত্য উপলব্ধি করতে পেরেছেন।

আসলে কমিটি, কমিশন, মিটিং, মিছিল দিয়ে মানুষ আজ পর্যন্ত নতুন কিছু করতে পারেন নি। মানুষ যা আবিষ্কার করেছে তা করেছে এক নীরব মুহূর্তে। বিজ্ঞানী নিউটন আপেল গাছের নিচে বসে মেডিটেশন করেছেন বলেই তিনি ল অফ গ্র্যাভিটেশন আবিষ্কার করতে পেরেছেন। যত ধ্যানী হব, তত সমস্যার জট খুলতে পারব। যত অস্থির হব, তত সমস্যা তালগোল পাকিয়ে যাবে। টেনশন সৃষ্টি হবে। সমস্যা তখন সংকটে রূপ নেবে, তিল থেকে হবে তাল।

প্রত্যকেটা যুগের কিছু সমস্যা, নিজস্ব যন্ত্রণা রয়েছে, নিজস্ব কষ্ট রয়েছে। আধুনিক মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় সমস্যা টেনশন। টেনশনমুক্ত হয়ে জীবনের সত্যকে বোঝার জন্যে কোয়ান্টাম মেথড কোর্স করুন। সমস্যার জট নিজেই খুলতে পারবেন।  মেডিটেশন করুন। সমস্যার জট উপড়ে ফেলুন। আপনার জন্যে অপেক্ষা করছে টেনশনমুক্ত এক সফল জীবন।

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com