1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন

সুসন্তান প্রসবের জন্যে গর্ভাবস্থায় মায়েদের কী করণীয়?

  • সময় শুক্রবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১
  • ১০৮১ বার দেখা হয়েছে

সাম্প্রতিক অনেক গবেষণায় চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা দেখেছেন যে, বাচ্চা যখন গর্ভে থাকে তখন সে সবকিছু শোনে, সবকিছু বোঝে। মায়ের মুড, চিন্তা চেতনা, দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে সে খুব প্রভাবিত হয়। মা যদি আনন্দে থাকেন, বাচ্চার মধ্যে সে আনন্দের অনুভূতি সঞ্চারিত হয়। মা যদি কষ্টে থাকেন, কষ্টের অনুভূতি সঞ্চারিত হয়।

মা যদি গীবত করেন, সেই গীবতের নেতিবাচক প্রভাব তার মধ্যে সঞ্চারিত হয়। অতএব এসময় মায়ের চিন্তা করা উচিত—একটি সৎ মেধাবী ভালো সন্তান, সে ছেলে হোক বা মেয়ে হোক। বুদ্ধিদীপ্ত, কষ্টসহিষ্ণু ও পরিশ্রমী সন্তান, অর্থাৎ ফার্মের মোরগ নয়।

আমাদের পরিবারগুলোতে যারা স্বামী-স্ত্রী কোয়ান্টাম গ্রাজুয়েট, তাদের বাচ্চারা জন্ম থেকেই কোয়ান্টা ভঙ্গি করে, চিৎকার দিলেও কোয়ান্টা ভঙ্গি করে চিৎকার দেয়। অতএব যত সৎ চিন্তা করবেন, সৎ কাজ করবেন, সন্তান তত ভালো হবে। আর এ সময়টা ভয়ের মুভি বা যে-সব মুভি এবং টিভি সিরিয়াল টেনশন সৃষ্টি করে, সেগুলো দেখবেন না।

এমন বই বা খবরও পড়বেন না। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো ফেসবুক-সহ সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পুরোপুরি বর্জন করবেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া স্মার্টফোন ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন না। অর্থাৎ ভার্চুয়াল ভাইরাস থেকে পুরোপুরি মুক্ত থাকবেন।

সবসময় ভালো কথা বলবেন, ভালো চিন্তা করবেন। যখনই সময় পান, আল কোরআন বাংলা মর্মবাণী পড়বেন বা শুনবেন। সনাতন ধর্মের যারা আছেন, বেদ বাণী পড়বেন। খ্রিষ্টান যারা রয়েছেন বাইবেল পড়বেন।

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী যারা রয়েছেন, ধম্মপদ পড়বেন। অর্থাৎ নৈতিক ও ধর্মীয় চেতনা, ধর্মীয় অনুভূতি বাচ্চার মধ্যে যেন গর্ভে থাকা অবস্থায় প্রবেশ করে। যতদিন পর্যন্ত সম্ভব, সাদাকায়নে অংশ নেবেন। এর পাশাপাশি চিকিৎসকদের পরামর্শ যথাযথভাবে অনুসরণ করবেন। প্রয়োজনমতো পুষ্টিকর খাবার খাবেন।

সুন্দর প্রকৃতি দেখবেন, সুন্দর ছবি দেখবেন। আর যে চেহারার যে ধরনের বাচ্চা আপনি চান, সে-রকম ছবি ঘরের মধ্যে রাখবেন। যেদিকে চোখ যায় সুন্দর স্বাস্থ্যবান সন্তানের ছবি যেন চারদিকে ভাসে, চোখ মেললেই যেন ছবিগুলো দেখতে পান। দেখবেন, ইনশাল্লাহ বাচ্চা ঠিক ওরকমই হবে।

আর আশেপাশে যারা থাকবেন—শ্বশুর-শাশুড়ি, স্বামী, ননদ, তাদের কর্তব্য হচ্ছে প্রসব হওয়া পর্যন্ত এবং এরপরও মাকে উৎফুল্ল রাখা। যত তাকে উৎফুল্ল রাখতে পারবেন, বাচ্চা তত বুদ্ধিমান হবে, খোশমেজাজী হবে এবং প্রজ্ঞাবান হবে।

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com