হালাল শব্দের আভিধানিক অর্থ সিদ্ধ। আর শরীয়তের ভাষায় যা করার অনুমতি দিয়েছে বা করতে নিষেধ করেনি এমন বস্তু বা কাজকে হালাল বলে।
হারাম শব্দের আবিধানিক অর্থ নিষিদ্ধ। আর শরীয়তের ভাষায় যা স্পষ্ট ভাষায় নিষেধ করেছেন, যা করার পরিণামে পরকালে শাস্তি অনিবার্য এরূপ বস্তু ও কাজকে হারাম রূপে আখ্যায়িত করা হয়।
হালাল-হারাম নির্ধারণ করার অধিকার শুধুমাত্র মহান আল্লাহরই আছে সুতরাং জীবনে হালাল-হারামের বিধান অনুসারে চলে জীবন পরিচালনা করাই হচ্ছে ইবাদত।
আমার কাছে ইবাদতের চেয়েও প্রিয় হচ্ছে সত্যজ্ঞান। আর তোমাদের জন্যে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হারাম কাজ থেকে বেঁচে থাকা।
—সাদ ইবনে আবু ওয়াক্কাস (রা); হাকেম
হারাম খাদ্যপুষ্ট দেহ জান্নাতে প্রবেশ করবে না। হারাম খাদ্যে গঠিত দেহ জাহান্নামের আগুনের জন্যে উত্তম।
—জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা); আহমদ, বায়হাকি
কারো আয়ের বা উপার্জনের একটা অংশও অবৈধ হলে তার নামাজ কবুল হবে না।
—আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা); আহমদ
অবৈধ আয় থেকে যদি কেউ দান করে, আল্লাহ সেই দান কবুল করেন না। এই আয়ে কোনো বরকতও দেন না। যার উপার্জন পুরোটাই হারাম, তার নিবাস হবে জাহান্নাম।
—আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা); আহমদ
নবীজী (স) ডান হাতে এক টুকরা সিল্ক ও বাম হাতে এক টুকরা সোনা নিয়ে বললেন, আমার পুরুষ উম্মতের জন্যে এ দুটি জিনিস হারাম। তবে মহিলাদের জন্যে হালাল।
—আলী ইবনে আবু তালিব (রা); আবু দাউদ, তিরমিজী
কোনো পশু জবেহ করার সময় যদি আল্লাহর নাম নিতে ভুলে যাও, তবে (খাওয়ার আগে) আল্লাহর নাম নাও এবং খাও।
—আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা); দারাকুতনি, আশকালানী
কিছু কিছু মানুষ আমাদের নিকট মাংস নিয়ে আসে। কিন্তু আমরা জানি না ওরা এই প্রাণী জবেহ করার সময় আল্লাহর নাম নিয়েছিল কিনা। আমরা কী করব? নবীজী (স) বললেন, ‘তোমরা বিসমিল্লাহ বলে নাও এবং খাও।’
—আয়েশা (রা); বোখারী, আশকালানী
কুকুর বিক্রিলব্ধ টাকা থেকে খাওয়া তোমাদের জন্যে হারাম।
—আবু মাসউদ (রা); বোখারী, মুসলিম
পতিতার উপার্জন থেকে খাওয়া তোমাদের জন্যে হারাম।
—আবু মাসউদ (রা); বোখারী, মুসলিম