হৃৎপিণ্ডের ধমনীতে কোলেস্টেরল বা চর্বি জমে যখন স্বাভাবিক রক্ত চলাচল ব্যাহত হয়, হার্টে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়, তখনই দেখা দেয় বুকে ব্যথাসহ করোনারি হৃদরোগের নানা উপসর্গ এবং তা থেকে একসময় হার্ট-অ্যাটাক।
করোনারি হার্ট ডিজিজ (সিএইচডি) একটি রোগ যেখানে প্লেক নামের মোমজাতীয় একটি পদার্থ কোনারনারি ধমনীর ভিতরে তৈরি হয়। এই ধমনীগুলি হৃৎপিণ্ডের পেশীতে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত সরবরাহ করে থাকে।
প্লেকের এই জমে ওঠাকে এথেরোস্ক্লেরোসিস বলে। এ ঘটনাটি বহু বছর ধরে ধীরে ধীরে ঘটে।
বড় কারণ ধূমপান
২য় কারণ উচ্চ রক্তচাপ
৩য় কারণ ডায়াবেটিস
৪র্থ কারণ রক্তের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল
৫ম কারণ অতিরিক্ত ওজন
তবে হৃদরোগের প্রধার কারণ মানসিক।
মার্কিন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ক্রিচটন দীর্ঘ গবেষণার পর দেখিয়েছেন যে, হৃদরোগের কারণ প্রধানত মানসিক। তিনি বলেছেন, কোলেস্টেরল বা চর্বিজাতীয় পদার্থ জমে করোনারি আর্টারিকে প্রায় ব্লক করে ফেললেই যে হার্ট এটাক হবে এমন কোনো কথা নেই।
করোনারি হৃদরোগের একটি সাধারণ উপসর্গ (সিএইচডি) এঞ্জিনা। এঞ্জিনা বুকের ব্যথা বা অস্বস্তি যা আপনার হৃৎপিণ্ডের পেশিতে যথেষ্ট পরিমাণে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত সরবরাহের অভাবে ঘটে ।
আপনার বুকে চাপ বা সংকোচন মত মনে হতে পারে। এটি কাঁধ, হাত, ঘাড়, চোয়াল বা পিঠেও অনুভূত হতে পারে। এঞ্জিনার ব্যথা এমনকি বদহজমের মত মনে হতে পারে। ব্যথা কর্মব্যস্ততার কারণে বাড়তে এবং বিশ্রামের সময় কমে যেতে পারে । মানসিক চাপেও ব্যথা বাড়তে পারে।
এর আরেকটি সাধারণ লক্ষণ শ্বাসকষ্ট। হার্ট ফেইলিউর হলে হৃৎপিণ্ড শরীরের চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট রক্ত পাম্প করতে পারে না। ফলে ফুসফুসের মধ্যে পানি তৈরি করে যা শ্বাস ফেলা কঠিন করে তোলে।
এই লক্ষণগুলির তীব্রতা পরিবর্তিত হয়। প্লেক গঠনের ফলে করণীয় ধমনীগুলি সংকীর্ণ হতে পারে বলে তারা আরও গুরুতর হতে পারে।