1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : ivenyyqszj66 :
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৬:০৭ পূর্বাহ্ন

অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে গতি

  • সময় সোমবার, ১১ অক্টোবর, ২০২১
  • ১১৯৯ বার দেখা হয়েছে

করোনা সংক্রমণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি আসবে ৬.৪ শতাংশ এবং আগামী অর্থবছরে আরো বেড়ে হবে ৬.৯ শতাংশ। গত বুধবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বাংলাদেশের পরিমিত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়। কালের কণ্ঠ ৮ অক্টোবর ২০২১।

দক্ষিণ এশিয়াকে ফোকাস করে ‘শিফটিং গিয়ার্স : ডিজিটাইজেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস-লেড ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে সংস্থা জানায়, বাংলাদেশের রপ্তানি আয় আগের অবস্থায় ফিরছে। ভোক্তা ব্যয়ও বাড়ছে। ফলে এই দুয়ের সমন্বয়ে প্রবৃদ্ধিও পরিমিত হবে। গত জুনে করা পূর্বাভাসে সংস্থা জানিয়েছিল, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি আসবে ৫.১ শতাংশ। কিন্তু সর্বশেষ এই পূর্বাভাসে তা ১.৩ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়ে ৬.৪ শতাংশ করা হলো, যদিও সরকারের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা ৭.২ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংক বলছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যাবে। এ জন্যে দেশজুড়ে কভিড-১৯ টিকা সরবরাহ বৃদ্ধির পাশাপাশি করোনায় অর্থনৈতিক যে ক্ষতি হয়েছে, তা প্রশমন করতে হবে। বিশেষ করে সরকারের দেওয়া প্রণোদনায় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো নতুন করে কার্যক্রম শুরুর জন্যে পুঁজি সহায়তা পেয়েছে।

স্বল্প সুদের ঋণ তাদের অর্থের জোগানে সহায়ক হয়েছে, যদিও ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠান ও অনানুষ্ঠানিক খাতে এই ঋণের প্রাপ্যতা ছিল সীমিত। তবে বিশ্বব্যাংক বেশ কিছু দুর্বলতাও চিহ্নিত করেছে, যা বাংলাদেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে সংস্থা। এগুলো হচ্ছে—কাঠামোগত দুর্বলতা, কম প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, অত্যন্ত কেন্দ্রীভূত রপ্তানি, আর্থিক খাতের ক্রমবর্ধমান দুর্বলতা, ভারসাম্যহীন নগরায়ণ এবং ব্যাবসায়িক পরিবেশের ধীর উন্নতি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বাড়ায় এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণের সর্বশেষ ঢেউয়ের মধ্যে বিস্তৃত পরিসরে না করে এলাকাভিত্তিক বিধি-নিষেধ আরোপ করায় দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াও অব্যাহত রয়েছে। তবে ঘুরে দাঁড়ানোর এই গতি সব দেশে সমান বা টেকসই নয়। দক্ষিণ এশিয়ার বেশির ভাগ দেশেরই মহামারিপূর্ব অর্থনৈতিক অবস্থায় ফিরে যেতে আরো অনেক সময় লাগবে।

বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাসে বলা হয়, ২০২১ ও ২০২২ সালে এ অঞ্চলের অর্থনীতি ৭.১ শতাংশ বাড়তে পারে। তবে দেশভেদে এই প্রবৃদ্ধি সমান হবে না। এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ ভারত ২০২০-২১ অর্থবছরে মহামারির ধাক্কায় ৭.৩ শতাংশ সংকুচিত হয়। সরকারি বিনিয়োগ ও প্রণোদনার সুবিধা নিয়ে সেই অবস্থান থেকে এবার ৮.৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে আশা করছে বিশ্বব্যাংক।

মহামারিতে মালদ্বীপও বড় ধরনের দুর্বিপাকে পড়েছিল। গত বছর তাদের অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছিল ৩৩.৩ শতাংশ। সংক্রমণ কমে পর্যটনে গতি আসায় মালদ্বীপ ২০২১ সালে ২২.৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। এর পাশাপাশি ভুটান ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩.৬ শতাংশ, নেপাল ৩.৯ শতাংশ এবং পাকিস্তান ৩.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে। ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কার প্রবৃদ্ধি আসবে ৩.৩ শতাংশ।

দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টভিগ শেফার বলেন, ‘মহামারি এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে। পুনরুদ্ধারপ্রক্রিয়া চলছে, তবে এর সাফল্য অনেকাংশে নির্ভর করছে টিকাদানের গতি, করোনাভাইরাসের নতুন ধরনের আবির্ভাব হলে তা সামাল দেওয়া এবং বিশ্ব অর্থনীতির গতিধারার ওপর।’

সূত্র : কালের কণ্ঠ (৮ অক্টোবর, ২০২১)

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com