অহংকার হলো আত্মগর্বের কারণে সত্যকে অস্বীকার করা, অন্যকে হেয় মনে করা। কারো অন্তরে অণু পরিমাণ অহংকার থাকলেও সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
—আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা); মুসলিম
মূর্খ উদ্ধত অবাধ্য অহংকারী সীমালঙ্ঘনকারী জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
—হারিসা ইবনে ওয়াহাব (রা); বোখারী, মুসলিম
তিনটি দোষ তোমার বিনাশ ঘটাবে। এই তিনটি সর্ববিনাশী দোষ হচ্ছে :
১. প্রবৃত্তির অনুসরণ করা। ২. কৃপণতায় অভ্যস্ত হওয়া। ৩. অহংকারে আক্রান্ত হওয়া। শেষটি সর্বগুণবিনাশী।
—আবু হুরায়রা (রা); বায়হাকি, মেশকাত
একরোখা ও বিতর্কে লিপ্ত মানুষকে আল্লাহ অত্যন্ত অপছন্দ করেন।
—আয়েশা (রা); মুসলিম, আশকালানী
একজন প্রশ্ন করলেন, সুন্দর পোশাক ও সুন্দর জুতো পরা কি অহংকার? নবীজী (স) বলেন, আল্লাহ নিজে সুন্দর এবং তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন। (অর্থাৎ সুন্দর পোশাক বা জুতো পরা অহংকার নয়। অহংকার হচ্ছে অন্যকে হেয় করা ও নিজেকে বড় মনে করার এক ভ্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি।)
—আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা); মুসলিম
আল্লাহ মহাবিচার দিবসে তিন ধরনের মানুষের প্রতি সদয় হবেন না—
১. যারা অহংকার করে কাপড় ঝুলিয়ে মাটিতে লাগিয়ে চলে।
২. যারা উপকার করে খোঁটা দেয় বা বলে বেড়ায়।
৩. যারা মিথ্যা শপথ করে নিম্নমানের পণ্য বিক্রি করে।
—আবু যর গিফারী (রা); মুসলিম
আল্লাহর দৃষ্টিতে সবচেয়ে নিকৃষ্ট হচ্ছে সেই ব্যক্তি, যে নিজেকে শাহেনশাহ বা রাজাধিরাজ উপাধিতে ভূষিত করে।
—আবু হুরায়রা (রা); বোখারী, মুসলিম
কেউ যদি চায় যে, অন্যেরা দাঁড়িয়ে তাকে সম্মান করুক, তাহলে সে যেন জাহান্নামে তার নিবাস অনুসন্ধান করে।
—মোয়াবিয়া (রা); তিরমিজী, আবু দাউদ
একজন মানুষ যদি ক্রমাগত সাধারণ মানুষ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখে ও সাধারণের সাথে অপমানজনক আচরণ করে, তাহলে সে ধীরে ধীরে উদ্ধত অহংকারী মানুষে রূপান্তরিত হয়। ফলে তার পরিণতিও হয় করুণ।
—সালামা ইবনে আকওয়াহ (রা); তিরমিজী