1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২১ পূর্বাহ্ন

আত্মরক্ষায় শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর

  • সময় বুধবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২০
  • ১০৪৩ বার দেখা হয়েছে

বাংলাদেশ যুদ্ধ নয়, বরং শান্তি চায় এবং সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রেখেই এগিয়ে যেতে চায় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহিঃশক্রর আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষায় শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বারোপ করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বুধবার সকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আটটি ইউনিট/সংস্থার পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সপ্তম পদাতিক ডিভিশনের সদর দপ্তর পটুয়াখালীর লেবুখালীতে অবস্থিত শেখ হাসিনা সেনানিবাসের অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যদি কখনো আমরা আক্রান্ত হই, সেটা মোকাবিলা করার মতো শক্তি যেন আমরা অর্জন করতে পারি, সেভাবেই আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে চাই। সেভাবেই আমরা তৈরি থাকতে চাই।’

প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়কণ্ঠে বলেন, ‘আবারও বলব, আমরা শান্তি চাই। বন্ধুত্ব চাই। বৈরিতা চাই না, যুদ্ধ চাই না।’

যুদ্ধের ভয়াবহ রূপ নিজ চোখে প্রত্যক্ষ করেছেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরাও সেই ভুক্তভোগী। কাজেই আর সেই ধ্বংসযজ্ঞে আমরা যুক্ত হতে চাই না। কিন্তু শান্তির পথ বেয়ে আমরা প্রগতির পথে এগিয়ে যেতে চাই।’

যখনই আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছে, তখনই সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে তাঁর সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা চেয়েছি সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্যের জীবনমান উন্নত হোক এবং সমগ্র বাংলাদেশের মানুষেরই জীবনমান উন্নত হোক। আমরা সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি।’

যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনকালে মাত্র নয় মাসের মধ্যে জাতির পিতার দিয়ে যাওয়া সংবিধানে দেশের পররাষ্ট্রনীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি অত্যন্ত স্পষ্ট। আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে নিয়ে আমরা বাংলাদেশকে আর্থসামাজিকভাবে উন্নত করতে চাই।’

সেনাসদস্যদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘পবিত্র সংবিধান এবং দেশমাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য আপনাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে অভ্যন্তরীণ কিংবা বাহ্যিক যেকোনো হুমকি মোকাবিলায় সদা প্রস্তুত থাকতে হবে।’

শৃঙ্খলা ও চেইন অব কমান্ড বজায় রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা সেনাবাহিনীর ভেতরের মূল চালিকা শক্তিগুলো, অর্থাৎ ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের প্রতি আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস, সহমর্মিতা, ভ্রাতৃত্ববোধ, কর্তব্যপরায়ণতা, দায়িত্ববোধ এবং সর্বোপরি শৃঙ্খলা বজায় রেখে আপনাদের স্বীয় কর্তব্য যথাযথভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে যাবেন, সেটাই আমি আশা করি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশের মানুষের ভরসা ও বিশ্বাসের প্রতীক। সেভাবেই মানুষের আস্থা অর্জন করেই আপনাদের এগিয়ে যেতে হবে।’

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com