দীর্ঘ চড়াই-উতরাই পেরিয়ে নিজস্ব উপার্জনের পথ তৈরি করেছে যেসব নারী, করোনা মহামারি তাঁদের সেই পথকে আবারও বন্ধুর করে তুলেছে। কাজের অনিশ্চয়তা, ব্যবসায় ক্ষতি, আয় কমে যাওয়া, পারিবারিক সহিংসতা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সুযোগে বাল্যবিবাহের পাশাপাশি এই সময়ে নানা সামাজিক অপরাধের শিকারও হয়েছেন নারী। আবার সামনে থেকে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কাজও করে যাচ্ছেন নারীরা। করোনার সময় ডিজিটাল পরিসরে সৃজনশীলতা নিয়ে উদ্যোক্তা হিসেবেও আবির্ভূত হয়েছেন অনেক নারী।
বিচ্ছিন্নভাবে এমন মিশ্র চিত্র দেখা গেলেও দেশে পরিচালিত একাধিক জরিপে করোনাকালে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নারীর পিছিয়ে পড়ার চিত্রই তুলে ধরছে। এমনকি অর্থনীতিতে টিকে থাকা ও পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া হিসেবে সরকার যে আর্থিক প্রণোদনা দিচ্ছে, তা পাওয়ার ক্ষেত্রেও নারীরা পিছিয়ে আছেন। ফলে অবস্থা পুনরুদ্ধারের যাত্রায় নারী পেছনে পড়ে যাচ্ছেন। সমতার লড়াইটা তো আরও কঠিন হয়ে পড়ছে নারীর জন্য।
এই অবস্থায় ‘নেতৃত্বে নারী: কোভিড-১৯ বিশ্বে সমতাপূর্ণ ভবিষ্যৎ গড়া’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ সোমবার ৮ মার্চ সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। যদিও নারীর সার্বিক ক্ষমতায়নে করোনা নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, তবু চাপিয়ে দেওয়া প্রচলিত ধ্যানধারণা এবং সহিংসতামুক্ত একটি সমতাপূর্ণ আগামীই নারীরা চান।