1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ১২:৪৫ পূর্বাহ্ন

আমি আমারই মতো সুন্দর! আমি অনন্য!

  • সময় শুক্রবার, ২০ আগস্ট, ২০২১
  • ১৪৪৫ বার দেখা হয়েছে

 আপনি যদি আপনার কী নেই সেটা নিয়ে চিন্তা করতে শুরু করেন তাহলে দেখবেন আপনার ‘নেই‘ এর কোনো শেষ নেই। কারণ বিশাল এই পৃথিবীর কতটুকুই বা আপনি অর্জন করতে পারছেন?

একটা পাওয়ার পর মনে হবে আরো অনেককিছুই তো পাওয়ার বাকি থেকে গেল এবং আপনি হীনম্মন্যতার এক অন্তহীন চক্রে আবর্তিত হবেন।

হীনম্মন্যতার বাস মনের গভীরে। এটির জন্ম হয় ক্রমাগত নেতিচিন্তা করতে করতে। হীনম্মন্যতা মনোদৈহিক জটিলতা সৃষ্টি করে এবং সাফল্য ও প্রাচুর্যের পথে অলঙ্ঘনীয় প্রতিবন্ধকতার কারণ হয়।

হীনম্মন্যতা কাটানোর উপায়ই হচ্ছে-সবসময় ‘শোকর আলহামদুলিল্লাহ/ হরি ওম/ থ্যাংকস গড/ প্রভু তোমাকে ধন্যবাদ!

বেশ ভালো আছি‘ বলা। যত ‘বেশ ভালো আছি‘ বলতে পারবেন, হীনম্মন্যতা তত কাটতে থাকবে। এই তৃপ্তি আপনার জন্যে আরো প্রাপ্তির দ্বার খুলে দেবে। এজন্যে নিজের গুণের দিকে তাকান। গুণগুলোকে বিকশিত করুন। যখন আপনার গুণগুলো সমাদৃত হতে থাকবে আপনার তৃপ্তি বাড়তে থাকবে।

আর সাময়িক ব্যর্থতা যদি কাউকে হীনম্মন্য করে ফেলতে চেষ্টা করে তবে তাদের জন্যে ইতিহাসে উদাহরণ আছে ভুরি ভুরি। যাদের জীবনেও ব্যর্থতা এসেছিল, জীবনে হোঁচট খেয়েছিলেন, কিন্তু সেটাই তাদের জীবনে নতুন বাঁক এনে দিয়েছে, বদলে দিয়েছে জীবন।

বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু মেডিসিন নিয়ে পড়তে যান বিলেতে। অসুস্থতার কারণে এক বছর পড়েও ছেড়ে দিতে বাধ্য হন। পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে পড়তে শুরু করলেন। বেতার যন্ত্র আবিষ্কারসহ আধুনিক সভ্যতায় তার অবদান অনেক। মেডিকেল স্কুল থেকে ঝরে না পড়লে আজ আমরা বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসুকে না পেয়ে পেতাম জনৈক ডাক্তার জগদীশ চন্দ্র বসুকে!

কাজেই সাময়িক ব্যর্থতা কখনোই সাফল্যের পথে অন্তরায় নয়। লক্ষ্যে যদি অবিচল থাকেন তো লক্ষ্যে আপনি পৌঁছবেনই। এটাই হওয়া উচিত সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি। তারপরও কেউ কেউ আমরা এই সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে জানার পরও হীনম্মন্যতায় ভুগি। সাধারণত কারা হীনম্মন্যতায় আক্রান্ত হয়? যাদের মনের ওপর দখল কম। যারা অন্যদের কথায় প্রভাবিত হন সহজেই।

অন্যের মতামতের মুখাপেক্ষী হলে আপনি কখনো আপনার জীবনের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করতে পারবেন না এবং প্রশান্তিতে থাকতে পারবেন না।

অমুকে কী বলবে সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আপনি যে কাজটা করছেন সেই কাজটা নৈতিক কিনা, সেই কাজটা আপনার জন্যে কল্যাণকর কিনা, সেই কাজটা মানুষের জন্যে কল্যাণকর কিনা। ব্যস। আর কিছু আমলে নেয়ার দরকার নেই। জীবনে এই ‘পাছে লোকে কিছু বলে‘ শোনা থেকে আপনি যত বিরত থাকতে পারবেন তত আপনি সফল হবেন, তত আপনি এই শেকল থেকে নিজেকে ছিন্ন করতে পারবেন।

সহবত গড়তে হবে ইতিবাচক মানুষদের সঙ্গে।   আমরা নিজেকে নতুন করে ফিরে পাব। আমি কে, আমার কী কী আছে, আমাকে আরো কী কী করতে হবে-এ হিসাবনিকাশ করতে পারি খুব সহজেই। নিজের জীবনের জন্যে সঠিক সিদ্ধান্ত বেছে নিতে পারি।

বিশ্বাসের সাথে বলতে পারি-আমি আমারই মতো সুন্দর! আমি অনন্য! আমি আমার অনন্য মেধাকে শত ধারায় বিকশিত করব। অর্পিত মহান দায়িত্ব পালন করব।

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com