আমেরিকার অবস্থা! আমেরিকার নিউইয়র্ক পোস্টের সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৯ সালের রিপোর্ট হচ্ছে যে, ৩৪ শতাংশ পিতামাতা তাদের নিজের সন্তানের চেয়ে কুকুরকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।
কুকুর-বেড়ালের খাবার খেলনা পোশাক চিকিৎসাক্ষেত্রে ২০২০ সালে আমেরিকান পরিবারগুলোর খরচের পরিমাণ হচ্ছে ১০৪ বিলিয়ন ডলার।
৪৫ শতাংশ আমেরিকান কুকুর বেড়াল পালকরা তাদের নিজেদের চিকিৎসার জন্যে যে পরিমাণ অর্থ খরচ করে সমপরিমাণ অর্থ খরচ করে এই কুকুর বেড়ালের চিকিৎসার জন্যে।
এবং আরো দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এসব দেশে ছেলেমেয়ের বয়স ১৮ বছর হলেই তাদেরকে ঘর থেকে বের করে দেয়া হয়। কিক আউট করা হয়। এবার যাও তোমরা নিজেরা উপার্জন করো এবং চলো।
এবং সেই অর্থ যে অর্থ সন্তানের পেছনে ব্যয় করা হতো সেই অর্থ ব্যয় করে কুকুর বেড়ালের পেছনে।
এবং তরুণ আমেরিকান যাদের বয়স ৩০-র কোঠায় তারা সন্তান গ্রহণের পরিবর্তে কুকুর পালাটাকে অগ্রাধিকার দিতে শুরু করেছে।
কারণ হয়তো বা তারা দেখেছে তাদের মা-বাবা তাদেরকে ১৮ বছর বয়সে বাড়ি থেকে কিক আউট করেছে। বের করে দিয়েছে। নিজেরা উপার্জন করে চলার জন্যে। হয়তো ভেবেছে আমাদের সন্তান হলেও তো ১৮ বছর বয়সে বাড়ি থেকে কিক আউট করে দিতে হবে। তার চেয়ে সন্তানের পরিবর্তে কুকুর বেড়াল পালাটাই শ্রেয়। আমাদের দেশেও এই হাওয়া।
আসলে যে মানুষগুলো স্বভাবেই মধ্যেই সুপ্ত আছে বিদেশী প্রভুর দাসত্ব করার, আমাদের দেশেও হয়তো তাদের মধ্যেই এই কুকুর বেড়াল পালার রোগ সঞ্চারিত হয়েছে।
কারণ এরা হয়তো মনে করে যা কিছু বিলাতি সেটা শ্রেয়। যা কিছু দেশি এটা নিম্নস্তরের বিষয়। এবং স্বদেশি ঠাকুরের চেয়ে বিদেশি কুকুর এদের কাছে অনেক প্রিয়।
তো আসলে যে রোগ ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতন সুপার পাওয়ারকে এখন নিমজ্জমান করে দিয়েছে অর্থাৎ তরুণ প্রজন্ম মমতা না পেয়ে সন্তানবিমুখ কর্মবিমুখ মানুষ বিমুখ হয়েছে, যে রোগ তাদেরকে অধঃপতিত করেছে অর্থনৈতিক প্রতিপত্তি এবং শক্তির প্রতিপত্তি থেকে।
তারা স্বাভাবিকভাবেই চাইবে আমাদের মধ্যেও আমরা যেহেতু উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি আমাদের মধ্যেও এই রোগ সংক্রমিত হোক এবং আমরা যেন আমাদের সন্তানদের প্রতি সমমর্মী না হয়ে মানুষের প্রতি সমমর্মী না হয়ে হয় অলীক জগৎ অথবা পশুর জগতে ডুবে যাই।
তো আমরা সেখান থেকে আমাদেরকে অবশ্যই বেরিয়ে আসতে হবে। এবং পাশ্চাত্যে যুদ্ধের কারণে হোক মহামারির কারণে হোক যে ট্রমা কাটতে তাদের ৩০ বছর প্রয়োজন তা আমরা আমাদের বিশ্বাস এবং আশাবাদ দিয়ে ৩০ মাসেই কাটিয়ে উঠতে পারি।