দৃষ্টিভঙ্গি দু’ধরণের-
১. ইতিবাচক বা প্রো-একটিভ
২. নেতিবাচক বা রি-একটিভ।
ইতিবাচকতা সম্ভাবনার কথা বলে, বিশ্বাসের কথা বলে। অন্যদিকে নেতিবাচকতা মানেই হলো আশঙ্কা আর প্রতিনিয়ত ব্যর্থতার স্মরণ। আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত যা ঘটছে তা অনেকসময়ই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। একই সাথে আমাদের দুঃখ দুর্দশার কারণও হলো ঘটনার প্রেক্ষিতে আমাদের প্রতিক্রিয়া।
একজন নেতিবাচক মানুষ খুব সহজেই অন্যের দ্বারা প্রভাবিত হয়। অন্যের কথায় কষ্ট পায়, আনন্দিত হয়, বিতর্কে লিপ্ত হয়, অভিমান করে এবং সেইসাথে নিজের নিয়ন্ত্রণ তুলে দেয় অন্যের হাতে। একজন নেতিবাচক মানুষ যাত্রা শুরু করে আশঙ্কা নিয়ে, ব্যর্থতার চিন্তা নিয়ে। আর তার পরিণতিও হয় সবসময় ব্যর্থতা।
জীবনে জয়ী হতে হলে ইতিবাচক হতে হবে এবং এটা সম্ভব সহজ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে :
১. অন্যের কথা বা পারিপার্শ্বিকতা দ্বারা প্রভাবিত না হওয়া
২. সমস্যা দেখলেই অস্থির না হয়ে ঠান্ডা মাথায় নিজের বিবেক-বুদ্ধি অনুসারে কাজ করা
৩. ভুল থেকে শিক্ষা নেয়া এবং পুনরায় না করা
৪. নিয়মিত মেডিটেশন করা
৫. সৎসঙ্ঘে একাত্ম থাকা ইতিবাচকতা এবং নেতিবাচকতা দুটোই শক্তি।
আমাদের জীবন জয়ের আনন্দে উদ্ভাসিত হবে, না হবে পরাজয়ের গ্লানিতে পূর্ণ তা নির্ভর করবে যে কোন একটি শক্তির প্রাবল্যের উপর।
সৎসঙ্ঘে একাত্মতাই পরিপুর্ণভাবে ঘটাতে পারে ইতিবাচক শক্তির জাগৃতি এবং জয়ের পথে নিরবধি অগ্রযাত্রা।