গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ২৫৩তম (অধিবর্ষে ২৫৪তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।
ঘটনাবলি
১৯৭৪ : পর্তুগালের কাছ থেকে আফ্রিকার দেশ গিনি-বিসাউ স্বাধীনতা লাভ করে।
২০০২ : সুইজারল্যান্ড জাতিসংঘের ১৯০তম সদস্য রাষ্ট্র হয়।
২০০৮ : বিজ্ঞানের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হিসেবে বিবেচিত লার্জ হ্যাড্রন কলাইডার চালু করা হয়।
জন্ম
১৮৮৭ : গোবিন্দ বল্লভ পন্থ, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী ও আধুনিক ভারতের রূপকার
১৮৮৯ : পুণ্যলতা চক্রবর্তী, বাঙালি শিশুসাহিত্যিক
১৮৯০ : অসিত কুমার হালদার, বাংলা স্কুলের ভারতীয় চিত্রশিল্পী এবং শান্তি নিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যতম সহকারী
১৮৯২ : আর্থার কম্পটন, ১৯২৭ নোবেলজয়ী মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী
১৯২২ : ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য, প্রখ্যাত বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার
১৯৪১ : একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান
মৃত্যু
১৮০৬ : জার্মান ভাষাবিজ্ঞানী ইয়োহান ক্রিস্টফ আডেলুং
১৯১৫ : একজন বাঙালি বিপ্লবী বাঘা যতীন
১৯৭৫ : নোবেলজয়ী ইংরেজ পদার্থবিদ জর্জ প্যাগেট থমসন
১৯৮৮ : ভারতীয় বাঙালি লেখক ও প্রাবন্ধিক অমিয়কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
দিবস
আন্তর্জাতিক আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস
দারিদ্রের বিরুদ্ধে সাদা ফিতা দিবস
আন্তর্জাতিক আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস
যে রহস্যগুলোর কোনো সমাধান মানুষ আজ পর্যন্ত করতে পারেনি তার মধ্যে মৃত্যু অন্যতম। তবে মৃত্যুর সঙ্গে চিরন্তনভাবে জড়িয়ে আছে অপার কোনো শূন্যতার বোধ, শূন্যস্থানের ক্ষত। মূলত ভুল দৃষ্টিভঙ্গির প্রভাবে জীবন যখন হয়ে ওঠে বিষময়, দুর্বহ- তখনই তা থেকে নিস্তারের খোঁজে স্বাভাবিক মৃত্যুকে পাশ কাটিয়ে আত্মহত্যার মতো চূড়ান্ত ভুল করে বসেন কেউ কেউ।
আত্মহত্যার এ প্রবণতাকে দূর করতে বিশ্বব্যাপী তাই প্রতিরোধের আহ্বান জানানো হচ্ছে সম্মিলিতভাবে। প্রতি বছর ১০ সেপ্টেম্বর পালিত হয় আন্তর্জাতিক আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস।
সচেতনতামূলক দিন হিসেবে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ২০০৩ সাল থেকে পালিত হয়ে আসছে দিবসটি। দিবস পালন করতে আন্তর্জাতিক আত্মহত্যা প্রতিরোধ সংস্থার সাথে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বৈশ্বিক মানসিক স্বাস্থ্য ফেডারেশন একসাথে কাজ করে আসছে।
অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা আয়োজনে দিবসটি পালন করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বাংলাদেশে লাখে ৮ জন আত্মহত্যা করছে বলে জানা যায়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, ২০২০ সালে ১১,২৫৯ জন আত্মহত্যা করে। তার আগের বছর যা ছিল ৯,৩১০ জন। অর্থাৎ এক বছরে আত্মহত্যা বাড়ে ১৭.৩১ শতাংশ। অন্যদিকে, গবেষকদের মতে প্রতিটি আত্মহত্যার বিপরীতে আত্মহত্যাচেষ্টা থাকে ২০-৩০ গুন!
কেন আত্মহত্যার মতো মারাত্মক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে মানুষ? এর প্রতিকারে করণীয় বিষয়ে আরো বিস্তারিত তথ্য রয়েছে কোয়ান্টাম ওয়েবসাইটের আর্টিকেল বিভাগে ‘মানুষ কেন আত্মহত্যা করে? প্রতিরোধে করণীয় কী?’ শিরোনামে।
দিবস পালনের পাশাপাশি আত্মহত্যা প্রতিরোধে ভিকটিম বাদেও অভিভাবক, পরিবার, সমাজ, সোশ্যাল মিডিয়ারও রয়েছে ব্যাপক দায়বদ্ধতা। সম্মিলিতভাবে জানতে হবে করণীয় সম্পর্কে। কেননা আত্মহত্যাকারীদের বেশিরভাগই নিজেদের নিঃসঙ্গ মনে করে। বেঁচে থাকাটা অপ্রয়োজনীয়- এমন ভ্রান্ত ধারণা পুষে রাখে মনে। আবার মনোবেদনার কারণ বিষণ্নতা বা অন্য কোনো মানসিক রোগ হলে চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে। আসলে মানসিক রোগ কোনো লোকলজ্জার বিষয় নয়; এটিও এক প্রকার অসুস্থতা, যার নিরাময় আছে এবং নিরাময় হওয়াটা জরুরি। মানসিক রোগভেদে প্রযোজ্য মেডিকেশন, কাউন্সেলিং বা সাইকোথেরাপি নিয়ে সুস্থ সফল সুখী জীবন যাপন করছেন, এমন উদাহরণও রয়েছে অনেক। তাই হতাশা নয়, হেরে যাওয়া নয়, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানো আত্মবিশ্বাসই বয়ে আনবে নতুন জীবন, নতুন সফলতা।
সূত্র: সংগৃহীত