1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন

ইতিহাসের পাতায় ১২ মার্চ

  • সময় বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ, ২০২৫
  • ৬৩ বার দেখা হয়েছে

গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ৭১তম (অধিবর্ষে ৭২তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।

ঘটনাবলি
১৯৩০ : ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর নেতৃত্বে উপনিবেশিক শক্তি বৃটেনের বিরুদ্ধে সত্যাগ্রহ বা অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়।
১৯৭২ : ঢাকা স্টেডিয়ামে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিদায়ী কুচকাওয়াজ।
১৯৮৯ : আজকের দিনে স্যার টিম বার্নার্স লি CERN-এর ল্যাবে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব তথা World Wide Web (www) বৈশ্বিক তথ্য আদান-প্রদানের আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমের অবতারণা করেন।

জন্ম
১৬৮৫ : জর্জ বার্কলি, আইরিশ বিজ্ঞানী।
১৯১১ : আবু জাফর শামসুদ্দীন, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক।
১৯২৮ : ফজলে লোহানী, বাংলাদেশের টিভিব্যক্তিত্ব।

মৃত্যু
১৯৬০ : পণ্ডিত ও প্রাবন্ধিক ক্ষিতিমোহন সেন।
১৯৮৮ : কথাশিল্পী সমরেশ বসু (কালকূট)।
২০০৩ : স্পার্টাকাসের লেখক, বিশ্বখ্যাত ঔপন্যাসিক হাওয়ার্ড ফাস্ট।

সমরেশ বসু
সমরেশ বসু ছিলেন একজন প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি লেখক। ১৯৮০ সালে তিনি সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। সমরেশ চার নাম নিয়ে সাহিত্যের ক্ষেত্রে পদচারণা করেছেন। কালকূট নামেই তিনি বেশ পরিচিত।

জন্মগ্রহণ করেন ১১ ডিসেম্বর ১৯২৪ সালে ঢাকা জেলার মুন্সিগঞ্জ মহকুমার অন্তর্গত রাজনগর গ্রামে পৈতৃক বাস্তুভিটায়। বাবার দেওয়া নাম ‘সুরথনাথ’। বাবার নাম মোহিনীমোহন বসু। মায়ের নাম শৈবলিনী বসু।

বিচিত্র বিষয় এবং আঙ্গিকে নিত্য ও আমৃত্যু ক্রিয়াশীল লেখক ছিলেন সমরেশ। প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস ‘উত্তরঙ্গ’। তবে ‘নয়নপুরের মাটি’ তার প্রথম লেখা উপন্যাস। ১৯৮০ সালে সমরেশ বসুকে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার দেওয়া হয় ‘শাম্ব’ উপন্যাসের জন্যে।

হিংসা, মারামারি আর লোলুপতার বেড়াজালে আবদ্ধ থেকে যে জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল, সেখান থেকে বেরিয়ে এসে তিনি অমৃতের সন্ধান করেছেন। তাই কালকূট নাম ধারণ করে হৃদয়ের তীব্র বিষকে সরিয়ে রেখে অমৃত মন্থন করেছেন উপন্যাসের মধ্য দিয়ে৷ অমৃত বিষের পাত্রে, মন মেরামতের আশায়, হারায়ে সেই মানুষে, তুষার শৃঙ্গের পদতলে ইত্যাদি এই ধারার উপন্যাস।

লেখক হিসেবে সমরেশ আমৃত্যু যে লড়াই করেছেন, তার কোনো তুলনা নেই। তার নিজের জীবনই আরেক মহাকাব্যিক উপন্যাস। ‘চিরসখা’ নামের প্রায় ৫ লাখ শব্দের বিশাল উপন্যাসে সেই লড়াইকে স্মরণীয় করে রেখেছেন তারই পুত্র নবকুমার বসু।

সমরেশ বসু প্রণীত উপন্যাসের সংখ্যা ১০০। এর মধ্যে রয়েছে উত্তরঙ্গ, গঙ্গা, বিবর, প্রজাপতি, সওদাগর, কোথায় পাবো তারে, মহাকালের রথের ঘোড়া, শেকল ছেঁড়া হাতের খোঁজে, স্বর্ণচঞ্চু, হৃদয়ের মুখ ইত্যাদি। সমরেশ বসু ১৯৮২ সালে কিছুদিন ‘মহানগর’ মাসিক পত্রিকার সম্পাদনা করেন।

নিজ কর্মে ব্যস্ত ছিলেন জীবনের শেষ পর্যন্ত। মৃত্যুকালেও তার লেখার টেবিলে ছিল দশ বছরের অমানুষিক শ্রমের অসমাপ্ত ফসল শিল্পী রামকিংকর বেইজের জীবনী অবলম্বনে উপন্যাস ‘দেখি নাই ফিরে’।

সমরেশ বসু ১৯৮৮ সালের ১২ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন।

সূত্র: সংগৃহীত

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com