1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৮:০৭ পূর্বাহ্ন

ইতিহাসের পাতায় ১৭ ফেব্রুয়ারি

  • সময় সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ৫৮ বার দেখা হয়েছে

গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ৪৮তম দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।

ঘটনাবলি
১৮৫৯ : কবি বিহারীলাল চক্রবর্তীর মাসিক পত্রিকা পূণির্মা প্রথম প্রকাশিত হয়।
১৯৩৩ : নিউজউইক ম্যাগাজিন প্রথম প্রকাশিত।
১৯৪৪ : ব্রিটিশ জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত শ্বেতপত্র প্রকাশ।
২০০৮ : কসোভো স্বাধীনতা ঘোষণা করে।

জন্ম
১৭৭৫ : ডেভিড হেয়ার, বাংলায় ইংরেজি শিক্ষা প্রবর্তনের অন্যতম পথিকৃৎ।
১৮৯৯ : জীবনানন্দ দাশ, বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান আধুনিক বাংলা কবি।
১৯১৭ : আবদেল রহমান বাদাউয়ি, মিশরীয় দার্শনিক ও কবি।
১৯৩৬ : মাসুদ করিম, বাংলাদেশি একজন বিখ্যাত গীতিকার।

মৃত্যু
১৮৯০ : টাইপরাইটারের উদ্ভাবক ক্রিস্টোফার ল্যাথাম শোলস।
১৯১২ : ওয়েলশ নাবিক ও অভিযাত্রী এডগার ইভান্স।
১৯৭০ : নোবেলজয়ী হিব্রু কথাশিল্পী শামুয়েল আগনোন।
১৯৮৩ : খ্যাতনামা বাঙালি সাংবাদিক ও সম্পাদক অশোক কুমার সরকার।

জীবনানন্দ দাশ
জীবনানন্দ দাশ ছিলেন বিংশ শতাব্দীর প্রধান আধুনিক বাঙালি কবি, লেখক ও প্রাবন্ধিক। তিনি বাংলা কাব্যে আধুনিকতার পথিকৃতদের মধ্যে অন্যতম। তাকে বলা হয় রূপসী বাংলার কবি।

জন্মগ্রহণ করেন ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বরিশালে। বাবা সত্যানন্দ দাশ ছিলেন স্কুলশিক্ষক ও সমাজসেবক। মা কুসুমকুমারী দাশও কবি ছিলেন। মায়ের সুপরিচিত কবিতা আদর্শ ছেলে (আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে/কথায় না বড় হয়ে কাজে বড়ো হবে) আজও শিশুশ্রেণির পাঠ্য।

জীবনানন্দ দাশ বরিশাল ব্রজমোহন স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, বিএম কলেজ থেকে আইএ এবং কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্সসহ বিএ ও ইংরেজিতে এমএ পাস করেন। আইন কলেজে ভর্তি হলেও শেষ পর্যন্ত তিনি পরীক্ষা দেননি। কর্মজীবনে কলকাতা সিটি কলেজে ১৯২২ সালে ইংরেজি সাহিত্যে অধ্যাপনা শুরু করেন। ১৯২৯ সালে তিনি সদ্য প্রতিষ্ঠিত বাগেরহাট প্রফুল্লচন্দ্র কলেজে যোগ দেন কিন্তু কিছুদিন পর চাকরি ছেড়ে কলকাতায় চলে যান।

কাব্যচর্চার শুরু অল্পবয়স থেকেই। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘ঝরাপালক’ প্রকাশিত হয় ১৯২৭ সালে। জীবনানন্দ দাশের প্রথম কাব্যে নজরুল ইসলামের প্রভাব থাকলেও দ্বিতীয় কাব্য থেকেই তিনি হয়ে ওঠেন মৌলিক ও ভিন্ন পথের অনুসন্ধানী। রূপসী বাংলা কাব্যগ্রন্থে যেভাবে আবহমান বাংলার চিত্ররূপ সৌন্দর্য প্রকাশিত হয়েছে, তাতে তিনি ‘রূপসী বাংলার কবি’ হিসেবে খ্যাত হয়েছেন। বুদ্ধদেব বসু তাঁকে ‘নির্জনতম কবি’ এবং অন্নদাশঙ্কর রায় ‘শুদ্ধতম কবি’ অভিধায় আখ্যায়িত করেছেন। জীবনানন্দ দাশ ছিলেন একজন কালসচেতন ও ইতিহাসচেতন কবি।

উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে ঝরা পালক, ধূসর পাণ্ডুলিপি, বনলতা সেন, মহাপৃথিবী, সাতটি তারার তিমির, জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা, রূপসী বাংলা, বেলা অবেলা কালবেলা ইত্যাদি। তিনি ২১টি উপন্যাস এবং ১২৬টি ছোটগল্প রচনা করেছিলেন।

জীবনানন্দ দাশ ১৯৫৫ সালে কলকাতায় এক ট্রাম দুর্ঘটনায় আহত হন পরে ২২ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন।

সূত্র: সংগৃহীত

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com