1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন

ইতিহাসের পাতায় ১৯ ফেব্রুয়ারি

  • সময় বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ১০২ বার দেখা হয়েছে

গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ৫০তম দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।

ঘটনাবলি
১৮৭৮ : টমাস আলভা এডিসন ফোনোগ্রাফ পেটেন্ট করেন।
১৯০৪ : ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জন ঢাকাতে কার্জন হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
১৯৭৪ : বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার রমনা থানার সেগুনবাগিচায় প্রতিষ্ঠিত হয়।
২০১৮ : বাংলাদেশে ফোর জি সেবা চালু হয়।

জন্ম
১৪৭৩ : নিকলাস কপারনিকাস, বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী।
১৬২৭ : রাজা ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ, ভারতের মারাঠা সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা যোদ্ধা।
১৭৩২ : রিচার্ড কাম্বারল্যান্ড, ইংরেজ নাট্যকার।

মৃত্যু
১৯৫১ : বিখ্যাত ফরাসি লেখক, নৈতিকতাবাদী, দার্শনিক আন্দ্রে জিঁদ।
১৯৭৮ : ভারতীয় বাঙালি শিল্পী, সঙ্গীত পরিচালক ও অভিনেতা পঙ্কজ কুমার মল্লিক।
১৯৯০ : ইংরেজ চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও চিত্রনাট্যকার মাইকেল পাওয়েল।
১৯৯৭ : চীনের শীর্ষ নেতা দেন শিয়াও পিং।
২০১৯ : বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ মুহম্মদ খসরু।

কার্জন হল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থিত লাল রঙের দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্য ভবন কার্জন হল। ভিক্টোরীয় স্থাপত্যরীতি, মোগল স্থাপত্যশৈলী ও বাংলার স্বতন্ত্র সংবেদনশীল বৈশিষ্ট্য নিয়ে ভবনটি তৈরি। ১৯০৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ভারতবর্ষে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের প্রতিনিধি ভাইসরয় লর্ড কার্জন ন্যাথনিয়েল কার্জন ঢাকায় এসে কার্জন হলের উদ্বোধন করেন। ১৯০৮ সালে এর নির্মাণকাজ শেষ হয়।

ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে কার্জন হল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। ১৯৪৮ সালে এখানেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রগণ তদানীন্তন পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু এতদসংক্রান্ত জিন্নাহর ঘোষণার প্রতি প্রথম প্রতিবাদ জানিয়েছিল।

ইতিহাসবিদ আহমদ হাসান দানীসহ কারও কারও মতে, উনিশ শতকের শেষভাগ থেকেই ঢাকা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে মুখরিত হয়ে ওঠে। সভা, আলোচনা, বিতর্ক, সংবর্ধনাসহ নানা অনুষ্ঠানের জন্যে একটি টাউন হল নির্মাণের দাবি ওঠে। সেজন্যেই এটি নির্মাণ করা হয়েছিল। জাতীয় জ্ঞানকোষ বাংলাপিডিয়াতেও বলা হয়েছে, ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জনের নামানুসারে এ ভবন টাউন হল হিসেবে নির্মিত হয়েছিল। ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ হলে এটি ঢাকা কলেজ ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে।

১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে ভবনটি বিজ্ঞান বিভাগের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হতে শুরু করে। পরবর্তী সময়ে বিজ্ঞান অনুষদের বিভাগের সংখ্যা বাড়ায় কার্জন হলের অবয়বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অন্য ভবনগুলো নির্মাণ করা হয়।

অত্যন্ত যত্ন সহকারে গড়ে তোলা প্রশস্ত বাগানে নির্মিত ইটের এ দ্বিতল ভবনে রয়েছে একটি বিশাল কেন্দ্রীয় হল। সেই সাথে পূর্ব ও পশ্চিম উভয় পার্শ্বে রয়েছে সংযোজিত কাঠামো যা অসংখ্য কক্ষ সমৃদ্ধ এবং চারপাশ দিয়ে বারান্দা ঘেরা।

ঢাকার অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্থাপত্য হিসেবে বিবেচিত এ ভবনটিতে সংযোজিত হয়েছে ইউরোপ ও মুগল স্থাপত্য রীতির দৃষ্টিনন্দন সংমিশ্রণ। এটি বিশেষ করে পরিলক্ষিত হয় অভিক্ষিপ্ত উত্তর দিকের সম্মুখভাগের অশ্বখুরাকৃতি ও খাঁজকাটা খিলানের মাঝে। ঐতিহ্যিক শিল্পের সাথে আধুনিক কারিগরিবিদ্যার মিশ্রিত রীতি এবং মুগল কাঠামোর আনুকূল্য যা খিলান ও গম্বুজে বিধৃত, সম্ভবত পাশ্চাত্য থেকে ইসলামিক স্থাপত্য জগতে প্রবেশ করেছে। ঢাকার অন্যতম শ্রেষ্ঠ এ স্থাপত্য আজও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

সূত্র: সংগৃহীত

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com