ঘটনাবলি
১২৬৫ : ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়।
১৮১৭ : কলকাতায় হিন্দু কলেজ স্থাপিত হয়।
১৯৩৪ : আলোকচিত্র এবং ইলেকট্রনিকস্ কোম্পানি হিসেবে ফুজিফিল্ম কোম্পানির যাত্রা শুরু।
১৯৬৯ : তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানে পুলিশ কর্তৃক আমানুল্লাহ আসাদুজ্জামান নিহত হন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্যে এ ঘটনাটি বেশ প্রভাব বিস্তার করেছিল বলে ইতিহাসবেত্তাদের ধারণা। শহীদ আসাদকে ঘিরেই বাংলাদেশের আধুনিক কবি শামসুর রাহমান রচনা করেছেন ‘আসাদের শার্ট’ কবিতাটি।
১৯৭২ : বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় বার্বাডোস।
১৯৯৩ : বিল ক্লিনটনের যুক্তরাষ্ট্রের ৪২ তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ গ্রহণ।
১৯৯৭ : ক্লিনটনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু হয়।
২০০৯ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম এবং প্রথম আফ্রো-আমেরিকান রাষ্ট্রপতি হিসেবে বারাক হোসেন
ওবামার শপথ গ্রহণ।
জন্ম
১৫৭৩ : সাইমন মারিউস, জার্মান জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও অধ্যাপক।
১৯২০ : ফেডেরিকো ফেনিনি, ইতালির প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক।
১৯৩১ : ডেভিড মরিস লী, নোবেলজয়ী আমেরিকান পদার্থবিদ।
মৃত্যু
১৯০০ : ব্রিটেনের বিখ্যাত লেখক, কবি, সাহিত্য সমালোচক ও শিল্পী জন রাসকিন।
১৯৮৪ : বিশ্বের সেরা সাঁতারু ও টারজান চরিত্রাভিনেতা জনি ওয়েসমুলার মৃত্যুবরণ করেন।
১৯৮৮ : ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রবাদপুরুষ সীমান্ত গান্ধী (খান আবদুর গাফফার)।
১৯৮৯ : ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিপ্লবী অনুশীলন সমিতির সভ্য, ‘অনুশীলন সমিতির ইতিহাস’ রচয়িতা জীবনতারা হালদার।
১৯৯৩ : খ্যাতিমান মার্কিন অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্ন।
শহীদ আসাদ দিবস
আজ ২০ জানুয়ারি। শহীদ আসাদ দিবস। ১৯৬৯ সালের এই দিনে স্বৈরাচার আইয়ুব সরকারের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক ১১ দফা আন্দোলনের হরতাল চলাকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে পুলিশের গুলিতে প্রথম শহীদ হন মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এটি তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। শহীদ আসাদের পুরো নাম আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪২ সালের ১০ জুন নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার ধানুয়া গ্রামে। বাবা মাওলানা মোহাম্মদ আবু তাহের বিএবিটি হাতিরদিয়া সাদত আলী হাইস্কুলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ছিলেন। মা মতি জাহান খাদিজা খাতুনও শিক্ষিকা ছিলেন।
ঊনসত্তরের ওই আন্দোলনের সময় আসাদুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
আসাদ একজন কৃষক সংগঠকও ছিলেন। শিবপুর, মনোহরদী, রায়পুরাসহ নরসিংদীর বিভিন্ন এলাকায় কৃষকদের নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। ছাত্র ইউনিয়নের কর্মীদের নিয়ে তিনি শিবপুরে একটি নৈশ বিদ্যালয়ও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
ঊনসত্তরের ২০ জানুয়ারি ঢাকা শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ১১ দফা দাবিতে ছাত্ররা বিশাল মিছিল বের করে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। আসাদসহ কিছু ছাত্র ছত্রভঙ্গ মিছিলটি আবার সংগঠিত করে ঢাকা হলের (বর্তমান শহীদুল্লাহ হল) পাশ দিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময়ই পুলিশের গুলিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের সড়কে আসাদ শহীদ হন। ওই সময় আসাদের শার্ট হাতে নিয়ে জনতার দীর্ঘ মিছিল দেখে কবি শামসুর রাহমান লিখেছেন তাঁর বিখ্যাত কবিতা ‘আসাদের শার্ট’। ‘গুচ্ছ গুচ্ছ রক্ত কবরীর মতো কিংবা সূর্যোস্তের জ্বলন্ত মেঘের মতো আসাদের শার্ট উড়ছে হাওয়ায়-নীলিমায়।
আসাদের মৃত্যুতে ঊনসত্তরের গণ-আন্দোলনে রূপ নিয়েছিল গণ-অভ্যুত্থানে। ‘আইয়ুব গেট’ হয়ে যায় ‘আসাদ গেট’, ‘আইয়ুব এভিনিউ’ থেকে ‘আসাদ এভিনিউ’। নিপীড়নের বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রতীকে পরিণত হন শহীদ আসাদ।
সূত্র: সংগৃহীত