1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন

ইতিহাসের পাতায় ২০ ফেব্রুয়ারি

  • সময় শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ১০১ বার দেখা হয়েছে

গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ৫১তম দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।

ঘটনাবলি
১৯৭২ : বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় মরিশাস।
১৯৮৪ : সিলেটে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল ওসমানীর দাফন সম্পন্ন হয়।

জন্ম
১৯৩৭ : রবার্ট হুবার, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান রসায়নবিদ।
১৯৫১ : গর্ডন ব্রাউন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী।

মৃত্যু
১৯৭২ : নোবেলবিজয়ী জার্মান বংশোদ্ভূত আমেরিকান পদার্থবিদ মারিয়া গ্যোপের্ট মায়ার।
১৯৮৬ : বাংলা সাহিত্যে গোয়েন্দা চরিত্র কিরীটি রায়ের স্রষ্টা ভারতীয় বাঙালি সাহিত্যিক নীহাররঞ্জন গুপ্ত।
২০০৩ : বাংলাদেশি অভিনেতা ও আবৃত্তিকার গোলাম মুস্তাফা।
২০১২ : বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সাহিত্যিক ফয়েজ আহমেদ।

নীহাররঞ্জন গুপ্ত
নীহাররঞ্জন গুপ্ত ছিলেন জনপ্রিয় রহস্য কাহিনীকার এবং চিকিৎসক। বিখ্যাত গোয়েন্দা চরিত্র কিরীটি রায়ের স্রষ্টা হিসেবে তিনি উপমহাদেশে স্মরণীয় হয়ে আছেন।

জন্মগ্রহণ করেন ১৯১১ সালের ৬ জুন তৎকালীন যশোরের (বর্তমান নড়াইল জেলার) লোহাগড়া উপজেলার ইটনায়। বাবা সত্যরঞ্জন গুপ্ত এবং মায়ের নাম লবঙ্গলতা দেবী। বাবার চাকরির কারণে তিনি নানান সময়ে নানা বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। কৃষ্ণনগর সরকারি কলেজ থেকে আইএসসি ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি কলকাতায় কারমাইকেল মেডিকেল কলেজ থেকে চিকিৎসাবিদ্যায় উত্তীর্ণ হন। এরপর লন্ডন থেকে চর্মরোগ বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।

দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন ও বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় স্থানান্তরিত হন। এরপর তিনি মেজর পদে উন্নীত হন। চাকরি সূত্রে তিনি চট্টগ্রাম, বার্মা (বর্তমান মায়ানমার) থেকে মিশর পর্যন্ত বিভিন্ন রণাঙ্গনে ঘুরে বহু বিচিত্র অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন। যুক্তরাজ্য থেকে বিশেষ ডিগ্রি অর্জন শেষে কলকাতা মেডিকেল কলেজে যোগ দেন। এরপর তিনি ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে কাজ করেছেন।

শৈশবকাল থেকেই স্বপ্ন ছিল লেখক হবেন। আঠারো বছর বয়সে নীহাররঞ্জন তার প্রথম উপন্যাস ‘রাজকুমার’ রচনা করেন। ইংল্যান্ডে অবস্থানকালীন সময়ে তিনি আগাথা ক্রিস্টির সাথে সাক্ষাৎ করেন। ভারতে ফিরে এসে রচনা করেন প্রথম গোয়েন্দা উপন্যাস কালো ভ্রমর। এতে তিনি গোয়েন্দা চরিত্র হিসেবে কিরীটি রায়কে সংযোজন করেন; যা বাংলা গোয়েন্দা সাহিত্যে এক অনবদ্য সৃষ্টি।

উল্লেখযোগ্য রচনাগুলোর মধ্যে কালো ভ্রমর, মৃত্যুবাণ, কালনাগ, উল্কা, উত্তরফাল্গুনী, হাসপাতাল, কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী, লালুভুলু, রাতের রজনীগন্ধা, কিরীটি অমনিবাস, অপারেশন ইত্যাদি।

তাঁর বহু উপন্যাস বাংলা ও হিন্দি ভাষায় চলচ্চিত্রায়ন করা হয়েছে। তিনি শিশু উপযোগী সাহিত্য পত্রিকা সবুজ সাহিত্যের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

বিখ্যাত এই সাহিত্যিক ৭৪ বছর বয়সে ১৯৮৬ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।

সূত্র: সংগৃহীত

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com