জন্ম
১৯৮৯ : তামিম ইকবাল, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ব্যাটসম্যান।
মৃত্যু
১৯২৬ : ব্রিটিশ ভারতের বাঙালি কবি কাজী ইমদাদুল হক।
১৯৬২ : ভারতের প্রখ্যাত প্রাণরসায়ণ বিজ্ঞানী বীরেশচন্দ্র গুহ।
১৯৮৮ : বিশিষ্ট বাঙালি সঙ্গীত শিল্পী অখিলবন্ধু ঘোষ।
১৯৯৩ : প্রখ্যাত বাঙালি সাংবাদিক বিবেকানন্দ মুখোপাধ্যায়।
২০১৪ : ভারতের বিখ্যাত লেখক ও সাংবাদিক খুশবন্ত সিং।
খুশবন্ত সিং
খুশবন্ত সিং ছিলেন ভারতের খ্যাতিমান লেখক, সাংবাদিক-কলামিস্ট। তিনি ছিলেন একজন সহজাত গুণসম্পন্ন লেখক। সত্যিকারের সৃজনশীল জীবনই যাপন করে গেছেন তিনি। বিশ্রাম ভুলে অবিরাম লিখতে পারতেন খুশবন্ত সিং। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি জানি না, লেখা ছাড়া আর কী করতে পারি। বিশ্রামের শিল্প হারিয়েছি আমি।’
জন্মগ্রহণ করেন ১৯১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি অবিভক্ত ভারতের পাঞ্জাবের হাদালিতে। পড়াশুনা করেন প্রথমে দিল্লিতে, তারপরে লাহোর। এরপর কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর দিল্লি চলে আসেন। তার অন্যতম সেরা সৃষ্টিকর্ম ‘ট্রেন টু পাকিস্তান’ ১৯৪৭ সালের ভারত ও পাকিস্তান বিভাজনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে লেখা এক কালজয়ী উপন্যাস। এ ছাড়া তিনি আই শ্যাল নট হিয়ার দ্য নাইটিঙ্গেল ও দিল্লির মতো সাহিত্যকর্মের জন্যেও চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
খুশবন্ত সিং ৯৫ বছর বয়সে ‘দ্য সানসেট ক্লাব’ উপন্যাসটি লেখেন।
খুশবন্ত সিং সংবাদপত্র যোজনার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। এ ছাড়া তিনি সত্তর ও আশির দশকে দ্য হিন্দুস্তান টাইমস ও দ্য ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বেশ কিছু সাহিত্য সাময়িকী এবং পত্রিকাও সম্পাদনা করেন। এগুলোর মধ্যে বিখ্যাত ছিল ইলাস্ট্রেটেড উইকলি অব ইন্ডিয়া।
১৯৭৪ সালে তিনি ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় বেসামরিক পদক ‘পদ্মভূষণ’ অর্জন করেন। কিন্তু অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অভিযানের প্রতিবাদে ১৯৮৪ সালে তিনি পদ্মভূষণ ফিরিয়ে দেন। ২০০৭ সালে দেশটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় বেসামরিক পদক ‘পদ্মবিভূষণ’-এ সম্মানিত হন তিনি।
আমৃত্যু লেখালেখি করেছেন তিনি। ভোর সাড়ে চারটায় উঠে নিজের হাতে লিখতে বসে যেতেন। ঘড়ির কাঁটা ধরে জীবন চলত তার।
খুশবন্ত সিং ২০১৪ সালের ২০ মার্চ ভারতে মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র: সংগৃহীত