1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৪১ অপরাহ্ন

ইতিহাসের পাতায় ২২ জানুয়ারি

  • সময় বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫
  • ৪৫ বার দেখা হয়েছে

গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ২২তম দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।

ঘটনাবলি
১৯২৭ : প্রথমবারের মতো বেতারে ফুটবল খেলার ধারাবিবরণী প্রচার।
১৯৭২ : বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় যুগোশ্লাভিয়া।

জন্ম
১৫৬১ : ফ্রান্সিস বেকন, ইংরেজ দার্শনিক।
১৫৯২ : পিয়ের গাসেঁদি, ফরাসি গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও দার্শনিক।
১৭৮৮ : লর্ড বায়রন, অ্যাংলো-স্কটিশ কবি।
১৮৯৭ : দিলীপকুমার রায়, কবি, গায়ক, সুরকার ও লেখক।
১৯০৮ : ল্যেভ দাভিদোভিচ লান্দাউ, নোবেলজয়ী রাশিয়ান পদার্থবিদ।
১৯০৯ : ইউ থান্ট, বার্মায় জন্মগ্রহণকারী জাতিসংঘের ৩য় মহাসচিব।

মৃত্যু
১৬৬৬ : পঞ্চম মোঘল সম্রাট সম্রাট শাহজাহান।
১৯০০ : অ্যাংলো-আমেরিকান উদ্ভাবক ডেভিট এডওয়ার্ড হিউজ।
১৯০১ : ভারত সম্রাজ্ঞী এবং ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের রানী ভিক্টোরিয়া।
১৯৭৩ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৬তম রাষ্ট্রপতি লিন্ডন বি. জনসন।

দিলীপকুমার রায়
দিলীপকুমার রায় ছিলেন বিখ্যাত বাঙালি সঙ্গীতজ্ঞ, সঙ্গীতালোচক, গীতরচয়িতা, সুরকার ও গায়ক। সাহিত্যের নানান শাখায় উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্যেও তিনি বিখ্যাত। সুর রচনা ও গায়কী উভয় ক্ষেত্রেই তিনি একেবারে নিজস্ব ও পৃথক একটি ঢঙ প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। সবাই সেটিকে ‘দিলীপী ঢঙ’ বলে অভিহিত করতেন।

জন্মগ্রহণ করেন ১৮৫৭ সালের ২২ জানুয়ারি নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর গ্রামে। বাবা ছিলেন বিখ্যাত নাট্যকার ও গীতিকার দ্বিজেন্দ্রলাল রায়। মায়ের নাম সুরবালা দেবী। দিলীপকুমার পরিণত সঙ্গীতশিক্ষা লাভ করেন সুরেন্দ্রনাথ মজুমদার, রাধিকাপ্রসাদ গোস্বামী ও অচ্ছন বাঈ-এর কাছে। পাশ্চাত্য সঙ্গীতেও তার বিশেষ অধিকার ছিল।

সঙ্গীত বিষয়ে বহু গ্রন্থ রচনা করে তিনি বাংলা সঙ্গীতালোচনা সাহিত্যে পথিকৃতের ভূমিকা পালন করেছেন। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে সঙ্গীত বিষয়ে তার মতবিনিময় ঐতিহাসিক খ্যাতি লাভ করেছে। অতুলপ্রসাদ সেন ও কাজী নজরুল ইসলামের সঙ্গে দিলীপকুমার রায়ের বিশেষ হৃদ্যতা ছিল। প্রথমদিকে নজরুলের সঙ্গীত রচনাকে কলকাতার সুধীমহলে জনপ্রিয় করে তোলার ক্ষেত্রে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। নজরুল সম্পর্কে তার স্মৃতিচারণ নজরুল সঙ্গীতালোচনার ভিত্তি নির্মাণ করে। নজরুলের গানের স্বরলিপি প্রকাশের ক্ষেত্রেও তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে গেছেন।আধুনিক সঙ্গীতের সমালোচনার অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন তিনি।

সঙ্গীত বিষয়ে অনেক মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেছেন তিনি। ১৯৩৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের পাঠ্যসূচির জন্যে সরকারের অনুরোধে তিনি গীতসাগর ও সাঙ্গীতিকী গ্রন্থ দুটি রচনা করেন। সঙ্গীতবিষয়ক তাঁর অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে সুরবিহার, হাসির গানের স্বরলিপি, গীতমঞ্জরী, দ্বিজেন্দ্রগীতি ইত্যাদি। সঙ্গীত ছাড়া তিনি অন্যান্য বিষয়েও তিনি বহু গ্রন্থ রচনা করেন। উপন্যাস মনের পরশ, দুধারা, দোলা, তরঙ্গ রোধিবে কে, বহুবল্লভ, দ্বিচারিণী ইত্যাদি। অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে নাটক, প্রবন্ধ, ভ্রমণকাহিনী, রম্যরচনা, স্মৃতিচারণ ইত্যাদি। ১৯৪৫ সালে তিনি Eyes of Light নামে একটি ইংরেজি কাব্যও রচনা করেন।

তিনি সঙ্গীত রত্নাকর উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি সঙ্গীত নাটক একাডেমীর সদস্য পদ লাভ করেন। তিনি ১৯২৮ সালে সন্ন্যাস গ্রহণ করেন এবং সারা জীবন সন্ন্যাসী থেকে সঙ্গীত ও সাহিত্য-সাধনায় নিয়োজিত ছিলেন।

দিলীপকুমার ১৯৮০ সালের ৬ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।

সূত্র: সংগৃহীত

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com