ঘটনাবলি
১৯২০ : ভারতীয় উপমহাদেশের বিমানে মাল পরিবহন ও ডাক যোগাযোগ শুরু হয়।
২০০১ : বাংলাদেশে চতুর্থ আদমশুমারি শুরু হয়।
জন্ম
১৭৮৩ : স্তাঁদাল, ফরাসি ঔপন্যাসিক।
১৮২৩ : প্যারীচরণ সরকার, শিক্ষাবিদ, সমাজসংস্কারক ও ঊনিশ শতকের বাঙলার পাঠ্যপুস্তক রচয়িতা।
১৮৬২ : ডেভিড হিলবার্ট, জার্মান গণিতবিদ।
১৮৭৬ : অটো ডিলস, নোবেলবিজয়ী জার্মান রসায়নবিদ।
১৮৯৭ : নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও আজাদ হিন্দ ফৌজের সর্বাধিনায়ক।
১৯০৭ : হিদেকি ইউকাওয়া, নোবেলবিজয়ী জাপানি পদার্থবিজ্ঞানী।
১৯১৫ : উইলিয়াম আর্থার লিউইস, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ।
১৯১৮ : গারট্রুড বি. এলিওন, নোবেলবিজয়ী আমেরিকান প্রাণরসায়নী ও ফার্মাকোলজিস্ট।
১৯২৯ : জন সি পোলানি, নোবেলজয়ী হাঙ্গেরিয়ান বংশোদ্ভূত কানাডিয়ান রসায়নবিজ্ঞানী।
১৯৩০ : ডেরেক এলটন ওয়ালকট, নোবেলবিজয়ী বিখ্যাত কবি ও বিশিষ্ট নাট্যকার।
১৯৩৪ : বরুণ সেনগুপ্ত, প্রখ্যাত বাঙালি সাংবাদিক ও কলকাতার বাংলা দৈনিক ‘বর্তমান’ এর প্রতিষ্ঠাতা।
১৯৪২ : রাজ্জাক, বাংলাদেশের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র অভিনেতা ও পরিচালক।
১৯৪৭ : মেঘবতী সুকর্ণপুত্রী, ইন্দোনেশিয়ার পঞ্চম প্রেসিডেন্ট।
মৃত্যু
১৮৫৯ : কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত।
১৯০৯ : বাংলা সাহিত্যের একজন কবি নবীনচন্দ্র সেন।
১৯৮৮ : ভিটামিন ‘সি’ এর আবিষ্কারক প্রাণরসায়নবিদ চার্লস গ্লিন কিং।
১৯৮৯ : স্পেনীয় চিত্রকর সালভাদর দালি।
২০১৫ : সৌদি আরবের বাদশাহ আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ।
নবীনচন্দ্র সেন
নবীনচন্দ্র সেন ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন উল্লেখযোগ্য কবি। নবীনচন্দ্র উল্লেখযোগ্য বহু গীতিকবিতা ও আখ্যানকাব্য রচনা করেছেন। স্বাজাত্যবোধ ও স্বদেশানুরাগ তাঁর কাব্যের মৌলিক আবেদন।
জন্মগ্রহণ করেন ১৮৪৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের নোয়াপাড়া গ্রামে সুপ্রসিদ্ধ প্রাচীন জমিদার পরিবারে। বাবা গোপীমোহন রায় এবং মায়ের নাম রাজরাজেশ্বরী। নবীনচন্দ্র চট্টগ্রাম স্কুল থেকে এন্ট্রান্স, কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এফএ এবং জেনারেল অ্যাসেমবিজ ইনস্টিটিউশন থেকে বিএ পাস করেন। ওই বছরই তিনি কলকাতার হেয়ার স্কুলে কিছুদিন শিক্ষকতা করার পর ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদে নিয়োগ লাভ করেন। ১৯০৪ সালে তিনি অবসরে যান।
ছাত্রজীবন থেকেই কবিতা রচনা শুরু করেন। প্যারীচরণ সরকার সম্পাদিত এডুকেশন গেজেটে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হতো। তাঁর প্রথম কাব্যসংকলন অবকাশরঞ্জিনী প্রকাশিত হয় ১৮৭১ সালে। ১৮৭৫ সালে তাঁর পলাশীর যুদ্ধ মহাকাব্য প্রকাশিত হলে তিনি ব্রিটিশ সরকারের রোষানলে পড়েন।
রৈবতক, কুরুক্ষেত্র ও প্রভাস কাব্যত্রয়ী নবীনচন্দ্রের কবিপ্রতিভার শ্রেষ্ঠ প্রকাশ। এগুলোর নায়ক কৃষ্ণ এবং এতে যথাক্রমে কৃষ্ণের আদি, মধ্য ও অন্তলীলা বর্ণিত হয়েছে। নবীনচন্দ্রের এই তিনটি কাব্যও মহাকাব্যের লক্ষণাক্রান্ত। কাহিনীর বিশালতা এবং বহুমুখী বৈচিত্র্যের কারণে গ্রন্থত্রয়ের কাব্যবন্ধন অনেকটা শিথিল ও দুর্বল।
উল্লেখযোগ্য অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে আমার জীবন, খৃস্ট, ক্লিওপেট্রা, ভানুমতী, প্রবাসের পত্র ইত্যাদি। তিনি ভগবদ্গীতা ও চন্ডীর কাব্যানুবাদ করেন। আত্মজীবনী ‘আমার জীবন’ গ্রন্থটি উপন্যাসের মতো সুখপাঠ্য এবং সমকালীন সমাজ, রাজনীতি ও প্রশাসন সম্পর্কিত একটি প্রামাণ্য দলিল।
নবীনচন্দ্র সেন ১৯০৯ সালের ২৩ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র: সংগৃহীত