ঘটনাবলি
১৯২২ : রাজদ্রোহের অভিযোগে কবি কাজী নজরুল ইসলাম গ্রেফতার হন এবং সরকার কর্তৃক তার বই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
১৯৩৬ : লাইফ ম্যাগাজিনের প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়।
জন্ম
১৭৬০ : ফ্রাঞ্চইস-নয়েল বাবেউফ, ফরাসি সাংবাদিক ও সমাজ কর্মী।
১৮০৪ : ফ্রাংক্লিন পিয়ের্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্দশ রাষ্ট্রপতি।
১৮৯৭ : অবিভক্ত বাংলা (বর্তমান বাংলাদেশের) কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদীতে খ্যাতনামা ও জনপ্রিয় বাঙালি লেখক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।
১৮৬০ : ইয়ালমার ব্রান্তিং, নোবেলজয়ী সুইডিশ সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ ও ১৬ তম প্রধানমন্ত্রী।
১৯৩০ : গীতা দত্ত, একজন বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী।
১৯৫০ : নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী, বাঙালি লেখক, ইতিহাসবেত্তা ও ভারততত্ববিদ।
মৃত্যু
১৮৮৩ : বাংলা সাহিত্যের প্রথম ঔপন্যাসিক প্যারীচাঁদ মিত্র (ছদ্মনাম: টেকচাঁদ ঠাকুর)।
১৯৩৭ : বাঙালি বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু।
২০০৩ : প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসের একজন দিকপাল ঐতিহাসিক দিলীপকুমার বিশ্বাস।
নীরদচন্দ্র চৌধুরী
নীরদচন্দ্র চৌধুরী ছিলেন খ্যাতনামা বাঙালি মননশীল লেখক ও বিশিষ্ট চিন্তাবিদ। তবে তিনি নীরদ সি চৌধুরী নামেই ছিলেন অধিক পরিচিত। অসামান্য প্রতিভাধর এই লেখক তার ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি ও তীর্যক প্রকাশভঙ্গির জন্যে বিশেষভাবে আলোচিত ছিলেন।
জন্মগ্রহণ করেন ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ নভেম্বর তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের অবিভক্ত বাংলা, বর্তমান বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জে। বাবা উপেন্দ্র নারায়ণ চৌধুরী ও সুশীলা সুন্দররানী চৌধুরানীর আট সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় সন্তান।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা সমাপনের পর তিনি সরকারি চাকুরে হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর বেতার ঘোষক এবং রাজনৈতিক ভাষ্যকার হিসেবে আকাশবাণীতে (All India Radio) কাজ করার জন্যে ১৯৪২ সালে দিল্লি যান। নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর ঘনিষ্ঠ সহচর নীরদচন্দ্র কলকাতায় থাকাকালে কিছুদিন শরৎচন্দ্র বসুর সচিব হিসেবেও কাজ করেন।
নীরদচন্দ্র চৌধুরী সাহিত্যজীবন শুরু করেছিলেন আলোচিত বিদ্রুপাত্মক পত্রিকা শনিবারের চিঠিতে ‘বলাহক নন্দী’ ছদ্মনামে লেখালেখির মধ্য দিয়ে। বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষাতেই তিনি লিখেছেন। কিছু লেখা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলেও গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয় নি। ইংরেজিতে তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১১টি এবং বাংলায় এ সংখ্যা ৫টি।, এছাড়া বিভিন্ন প্রবন্ধ-নিবন্ধ সংকলন হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর প্রথম বই ‘দি অটোবায়োাগ্রাফি অফ অ্যান আননোন ইন্ডিয়ান’ ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত হয়। বাংলা ভাষায় রচিত তাঁর প্রথম গ্রন্থ ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে ‘বাঙালী জীবনে রমনী’ । ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে দাই হ্যান্ড, গ্রেট আনার্ক শীর্ষক নিজের জীবনের শেষভাগ নিয়ে আত্মজীবনী প্রকাশ করেন।
নীরদচন্দ্র ডাফ কুপার মেমোরিয়াল পুরস্কার, আনন্দ পুরস্কার, ভারত সরকার প্রদত্ত সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ডি.লিট বা ডক্টর অব লিটারেচার ডিগ্রি অর্জনসহ কর্মের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। তিনি ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দে ইংল্যান্ডের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ কর্তৃক কমান্ডার অব দি অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার (সিবিই) উপাধি লাভ করেন। তাকে বিশ্ব-ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের সর্বোচ্চ সম্মানসূচক ডিগ্রি হিসেবে দেশিকোত্তম পুরস্কারে ভূষিত করে।
নীরদচন্দ্র চৌধুরী ১৯৯৯ সালের ১ আগস্ট অক্সফোর্ডে মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র: সংগৃহীত