1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
রবিবার, ২৫ মে ২০২৫, ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন

ইতিহাসের পাতায় ৬ নভেম্বর

  • সময় বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৬২ বার দেখা হয়েছে

গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ৩১০তম (অধিবর্ষে ৩১১তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।

ঘটনাবলি
১৮১৩ : মেক্সিকোর স্বাধীনতা ঘোষিত হয়।
১৮৬০ : আব্রাহাম লিংকন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
১৯৭৫ : আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, বাংলাদেশের প্রথম প্রধান বিচারপতি, দেশটির ষষ্ঠ রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
১৯৯৬ : বিল ক্লিনটন পুনরায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

জন্ম
১৮১৪ : অ্যাডলফে সাক্স, বেলজীয় বংশোদ্ভূত ফরাসি যন্ত্রপ্রকৌশলী ও স্যাক্সোফোনের উদ্ভাবক।
১৮৫১ : চার্লস ডও, মার্কিন সাংবাদিক ও অর্থনীতিবিদ।
১৯২৬ : হারাধন বন্দ্যোপাধ্যায়, ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন অভিনেতা।
১৯৪৪ : আলী যাকের, বাংলাদেশি টেলিভিশন ও মঞ্চ অভিনেতা।

মৃত্যু
১৯৪১ : ফরাসি লেখক মরিস লি ব্লাঞ্চ।
১৯৬৪ : নোবেল পুরস্কার বিজয়ী জার্মান সুইস প্রাণরসায়ন বিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ হান্স ভন ইউলার-ছেলপিন।
১৯৭০ : প্রাবন্ধিক ও সাহিত্যিক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়।

নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়
নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন প্রাবন্ধিক ও সাহিত্যিক। তিন খণ্ডে প্রকাশিত তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘উপনিবেশ’ পাঠকসমাজে ব্যাপক সমাদৃত হয়। ইতিহাসবোধ ও স্বাদেশিকতা তাঁর রচনার উপজীব্য। তাঁর ছোটগল্পগুলো নাটকীয় ব্যঞ্জনায় সমৃদ্ধ। শিশু-কিশোর সাহিত্য রচনায়ও তাঁর খ্যাতি বড়দের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। টেনিদা তার অনন্য সৃষ্টি।

জন্মগ্রহণ করেন ১৯১৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন দিনাজপুর জেলার ঠাকুরগাঁও মহকুমার (বর্তমান ঠাকুরগাঁও জেলা) বালিয়াডাঙ্গি উপজেলায়। বাবা প্রমথনাথ গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা। তাঁর পৈতৃক নিবাস বরিশালের বাসুদেব পাড়া গ্রামে।

পড়াশুনার শুরু দিনাজপুরে। এরপর ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজ, বরিশালের বিএম কলেজ এবং ১৯৪১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ পরীক্ষায় অসাধারণ ফলাফল অর্জন করায় তিনি ‘ব্রহ্মময়ী স্বর্ণপদক’ লাভ করেন। ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ১৯৬০ সালে তিনি ডি’ফিল ডিগ্রি অর্জন করেন। কর্মজীবনে তিনি জলপাইগুড়ি কলেজ, সিটি কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন।

ছেলেবেলা থেকেই লেখালেখির শুরু। সাহিত্যচর্চা শুরু হয় কাব্য রচনার মধ্য দিয়ে। এরপর তিনি গল্প, উপন্যাস, নাটক প্রভৃতি রচনা করে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। উল্লেখযোগ্য রচনার মধ্যে উপন্যাস: উপনিবেশ, সম্রাট ও শ্রেষ্ঠী, মন্দ্রমুখর, শিলালিপি, লালমাটি, কৃষ্ণপক্ষ, বৈতালিক, অসিধারা; গল্পগ্রন্থ ট্রফি, প্রবন্ধগ্রন্থ: সাহিত্য ও সাহিত্যিক, সাহিত্যে ছোটগল্প, ছোটগল্পের সীমারেখা; রম্যরচনা: সুনন্দর জার্নাল; কিশোরগ্রন্থ: সপ্তকান্ড, অন্ধকারের আগন্তুক, ছোটদের শ্রেষ্ঠ গল্প, ছুটির আকাশ, খুশির হাওয়া, ঝাউ বাংলোর রহস্য, পঞ্চাননের হাতি, পটলডাঙ্গার টেনিদা, টেনিদার অভিযান ইত্যাদি। তাঁর রচিত নাটক ভাড়াটে চাই এবং আগন্তুক সে সময় বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তিনি কয়েকটি চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যও রচনা করেন। তাঁর রচিত বহু গান, চলচ্চিত্র ও রেকর্ডে গৃহীত হয়েছে।

নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় শনিবারের চিঠির নিয়মিত লেখক ছিলেন। জীবনের শেষ সময়ে তিনি সাপ্তাহিক দেশ পত্রিকায় ‘সুনন্দ’ ছদ্মনামে লিখতেন। বাংলার নিসর্গ ও নদনদীর তরঙ্গমালা, বাঙালির আদিম ও আরণ্যক জীবন তাঁর উপন্যাসে রোমান্টিকতার নিরিখে মনোজ্ঞভাবে চিত্রিত হয়েছে। বাংলা সাহিত্যে অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৪৬ সালে তাঁকে আনন্দ পুরস্কার ও সাপ্তাহিক বসুমতীর পক্ষ থেকে ১৯৬৮ সালে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়।

নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ১৯৭০ সালের ৬ নভেম্বর কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন।

সূত্র: সংগৃহীত

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com