1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৮:১০ পূর্বাহ্ন

ইতিহাসের পাতায় ৮ ফেব্রুয়ারি

  • সময় শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
  • ৭৩ বার দেখা হয়েছে

গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ৩৯তম দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা,বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।

ঘটনাবলি
১৬৭২ : স্যার আইজাক নিউটন লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটিতে তার আলোকবিদ্যার উপর গবেষণাপত্রটি উপস্থাপন করেন।
১৯৪১ : ৩০ বছর প্রবাসে থাকার পর হো চি মিন গোপনে ভিয়েতনামে আসেন।
১৯৭২ : বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় অস্ট্রিয়া এবং সামোয়া।
২০০৫ : গুগল ম্যাপের যাত্রা শুরু।

জন্ম
১৮২৮ : জুল ভার্ন, ফরাসি লেখক।
১৮৮৩ : জোসেফ শুম্পটার, প্রভাবশালী অস্ট্রীয় অর্থনীতিবিদ এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞানী।
১৮৮৬ : উস্তাদ ফৈয়াজ খান, ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী।
১৯৩৪ : আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, বাংলাদেশের প্রখ্যাত কবি।
১৯৪১ : জগজিৎ সিং, ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যতম গজল গায়ক।
১৯৭৬ : খালেদ মাসুদ, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক উইকেটকিপার ও অধিনায়ক।

মৃত্যু
১৯১২ : ভারতের প্রখ্যাত বাঙালি নট ও নাট্যকার ও নাট্য পরিচালক গিরিশচন্দ্র ঘোষ।
১৯৫৭ : হাঙ্গেরীয় বংশোদ্ভুত মার্কিন গণিতবিদ জন ভন নিউম্যান।
১৯৬০ : ইংরেজ দার্শনিক (ভাষা) জন ল্যাংশ অস্টিন।
১৯৯৫ : ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিপ্লবী ও মাস্টারদা সূর্য সেনের সহযোগী অগ্নিকন্যা কল্পনা দত্ত।

আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ
আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ বাংলাদেশের গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকের একজন মৌলিক কবি। তার পুরো নাম আবু জাফর মুহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ খান। তার দুটি দীর্ঘ কবিতা ‘আমি কিংবদন্তির কথা বলছি’এবং ‘বৃষ্টি ও সাহসী পুরুষের জন্য প্রার্থনা’ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের ভাণ্ডারে অভূতপূর্ব সংযোজন।

জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বরিশাল বাবুগঞ্জের বাহেরচরের ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামে। বাবা আব্দুল জব্বার খান পাকিস্তানের আইন পরিষদের স্পিকার ছিলেন। ময়মনসিংহ জিলা স্কুল থেকে ১৯৪৮ সালে মাধ্যমিক,১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে তিনি এম.এ পাস করেন।

১৯৫৪ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। ১৯৫৪ সালে তিনি ইংরেজিতে মাস্টার্স করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একই বিভাগে প্রভাষক পদে যোগ দেন। ১৯৫৭ সালে অধ্যাপনা পেশা ছেড়ে তিনি যোগ দেন পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে। ১৯৮২ সালে তিনি সচিব হিসেবে অবসর নেন এবং মন্ত্রীসভায় যোগ দেন। কৃষি ও পানিসম্পদ মন্ত্রী হিসেবে দুই বছর দায়িত্ব পালন করে ১৯৮৪ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে যোগ দেন বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থায়। ১৯৯৭ সালে তিনি একই সংস্থা থেকে পরিচালক হিসেবে অবসর নেন। অবসর গ্রহণের পর তিনি ঢাকায় ফিরে একটি বেসরকারি সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবেও বেশ কয়েকদিন দায়িত্ব পালন করেছেন।

কাব্যের আঙ্গিক গঠন এবং শব্দ যোজনার বিশিষ্ট কৌশল তার স্বাতন্ত্র্য চিহ্নিত করে। তিনি লোকজ ঐতিহ্যের ব্যবহার করে ছড়ার আঙ্গিকে কবিতা লিখেছেন। প্রকৃতির রূপ ও রঙের বিচিত্রিত ছবিগুলো তার কবিতাকে মাধুর্যমণ্ডিত করেছে।।

আবু জাফরের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে: সাত নরীর হার, কখনো রং কখনো সুর, কমলের চোখ, আমি কিংবদন্তির কথা বলছি, সহিষ্ণু প্রতীক্ষা, প্রেমের কবিতা, বৃষ্টি ও সাহসী পুরুষের জন্য প্রার্থনা, আমার সময়, নির্বাচিত কবিতা, আমার সকল কথা, মসৃণ কৃষ্ণ গোলাপ ইত্যাদি। তিনি ১৯৭৯ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং ১৯৮৫ সালে একুশে পদক লাভ করেন।

আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ ২০০১ সালের ১৯ মার্চ ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।

সূত্র: সংগৃহীত

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com