1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
  2. [email protected] : adminbackup :
রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন

ইতিহাসের পাতায় ৯ মার্চ

  • সময় মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫
  • ৫০ বার দেখা হয়েছে

গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ৬৮তম (অধিবর্ষে ৬৯তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।

ঘটনাবলি
১৭৭৬ : আধুনিক অর্থশাস্ত্রের জনক অ্যাডাম স্মিথ রচিত ‘দ্য ওয়েল্থ অব নেশন্স’ প্রকাশিত হয়।
২০১৫ : বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ নকআউট পর্বে উন্নীত হয়।

জন্ম
১৯৩৪ : কাইয়ুম চৌধুরী, বাংলাদেশের স্বনামধন্য চিত্রশিল্পী।
১৯৩৪ : ইউরি গ্যাগারিন, রাশিয়ান কর্নেল, পাইলট ও মহাকাশচারী।
১৯৫৯ : তাকাআকি কাজিটা, নোবেলজয়ী জাপান পদার্থবিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ

মৃত্যু
১৮৫৮ : কবি, পণ্ডিত ও নাট্যকার মদনমোহন তর্কালঙ্কার।
১৯৭৪ : নোবেলজয়ী আমেরিকান শারীরবিজ্ঞানী আর্ল উইলবার সাদারল্যান্ড জুনিয়র।
১৯৮১ : নোবেলজয়ী চিকিৎসাবিজ্ঞানী ম্যাক্স ডেলবুর্ক।
১৯৯৪ : ভারতের ফার্স্ট লেডি অফ ইন্ডিয়ান স্কিন’খ্যাত অভিনেত্রী দেবিকা রানী।

কাইয়ুম চৌধুরী
কাইয়ুম চৌধুরী ছিলেন দেশের অন্যতম চিত্রশিল্পী। তিনি এ দেশের প্রথম প্রজন্মের চিত্রশিল্পী। প্রচ্ছদশিল্পী হিসেবে তিনি সবার পরিচিত। বই বা পত্র-পত্রিকার অবয়বকে যিনি দৃষ্টিনন্দন করেছেন। শিল্পের নানা শাখায় তার হাত ধরেই এসেছে আন্তর্জাতিক মান।

জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩২ সালের ৯ মার্চ ফেনীর এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে। বাবা আবদুল কুদ্দুস চৌধুরী ছিলেন সমবায় ব্যাংকের কর্মকর্তা। বাবার চাকরিসূত্রে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় পড়েছেন বিভিন্ন বিদ্যালয়ে। নানা জায়গায় ঘুরে ঘুরে বাংলার প্রকৃতি ও এর বৈচিত্র্যের সঙ্গে পরিচয় ঘটে কাইয়ুমের।

তিনি ১৯৪৯ সালে ময়মনসিংহ সিটি কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। ১৯৪৯ সালে ঢাকার সরকারি আর্ট কলেজে ভর্তি হয়ে শিক্ষা সমাপন করেন ১৯৫৪ সালে। অধ্যক্ষ জয়নুল আবেদিন, শিক্ষক আনোয়ারুল হক ও কামরুল হাসানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে শুরু হয় তার শিল্পের অনুশীলন। ছাত্রজীবনেই বইয়ের প্রচ্ছদ ও ইলাস্ট্রেশনের কাজ করে সুনাম অর্জন করেন।

কাইয়ুম চৌধুরী ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে সম্পৃক্ত ছিলেন। কর্মজীবনের শুরুতে তিনি বিজ্ঞাপনী সংস্থা, বইয়ের প্রচ্ছদ ও সচিত্রকরণের কাজে মনোনিবেশ করেছেন। এ সময়ে ‘ছায়াছবি’ নামে একটি চলচ্চিত্র সাময়িকী যুগ্মভাবে সম্পাদনা করেছিলেন। ১৯৫৭ সালে ঢাকার আর্ট কলেজে শিক্ষকতায় যোগ দেন। ১৯৬০ সালে তাহেরা খানমের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তাহেরা ছিলেন আর্ট কলেজে ভর্তি হওয়া প্রথম চার ছাত্রীর একজন। প্রচ্ছদ-পোস্টার-নকশা-সচিত্রকরণের মতোই চিত্রকর কাইয়ুম চৌধুরীর শিল্পভাষা ছিল অত্যন্ত মনোগ্রাহী এবং স্বতন্ত্র ভাষা-বৈশিষ্ট্যে ভাস্বর। তেলরঙ, জলরঙ, কালি-কলম, মোমরঙ, রেশম ছাপ ইত্যাদি নানা মাধ্যমে তিনি কাজ করেছেন। কাইয়ুম চৌধুরীর চিত্রাবলি বর্ণোজ্জ্বল; লাল, নীল, সবুজ এই তিনটি রঙ তিনি প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করেছেন। তার চিত্রাবলিতে লোকশিল্পসুলভ পুতুল, পাখা, হাঁড়ি, শীতলপাটি, কাঁথা ইত্যাদির পৌনঃপুনিকভাবে এসেছে। শিল্পকলায় অনন্য অবদানের জন্যে ১৯৮৬ সালে তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন। গুণী এই শিল্পী ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।

সূত্র: সংগৃহীত

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com