1. [email protected] : আরএমজি বিডি নিউজ ডেস্ক :
মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন

ইতিহাসে আগস্ট ২৭ – ক্যাথলিক সন্ন্যাসিনী ও ধর্মপ্রচারক মাদার তেরেসার জন্মদিন

  • সময় শুক্রবার, ২৭ আগস্ট, ২০২১
  • ৯৬২ বার দেখা হয়েছে

আলবেনীয়-বংশোদ্ভুত ভারতীয় ক্যাথলিক সন্ন্যাসিনী ও ধর্মপ্রচারক মাদার তেরেসার জন্মদিন

গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ২৩৯তম (অধিবর্ষে ২৪০তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।

ঘটনাবলি

১৮৭০ : শশীপদ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম শ্রমজীবী সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন।

জন্ম

১৯০৮ : স্যার ডোনাল্ড জর্জ ব্র্যাডম্যান, ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত অস্ট্রেলীয় ক্রিকেট তারকা।
১৯০৮ : লিন্ডন বি. জনসন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৬তম রাষ্ট্রপতি।
১৯১০ : মাদার তেরেসা, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ভারতীয় ক্যাথলিক সন্ন্যাসিনী ও ধর্মপ্রচারক দা মিশনারিজ অব চ্যারিটির প্রতিষ্ঠাত্রী।
১৯৩১ : শ্রী চিন্ময়, বাঙালি মহাত্মা ও হিন্দুধর্মের সংস্কারক, লেখক, শিল্পী, কবি ও সঙ্গীতজ্ঞ।

মৃত্যু

১৯৭৬ : ভারতীয় হিন্দি চলচ্চিত্রের সঙ্গীতশিল্পী মুকেশ চন্দ মাথুর
১৯৮২ : ভারতের বাঙালি হিন্দু আধ্যাত্মিক সাধিকা শ্রী আনন্দময়ী মা
১৯৯০ : বিশিষ্ট বাঙালি সাহিত্যিক তপোবিজয় ঘোষ
২০০৬ : হিন্দি চলচ্চিত্রের প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি পরিচালক হৃষিকেশ মুখার্জী

মাদার তেরেসা

মাদার তেরেসা ছিলেন একজন আলবেনীয়-বংশোদ্ভুত ভারতীয় ক্যাথলিক সন্ন্যাসিনী ও ধর্মপ্রচারক। তার পারিবারিক নাম অ্যাগনেস গনজা বয়াজু। সন্ন্যাস জীবনে তেরেসা নামটি নেওয়া হয়। আলবেনিয়া রাজ্যের স্কপিয়ে তার জন্মস্থান। আঠারো বছর বয়স পর্যন্ত তিনি সেখানেই কাটান।

১৯২৮ সালে তিনি আয়ারল্যান্ড হয়ে তৎকালীন ব্রিটিশ উপনিবেশ ভারতে খ্রিস্টধর্ম প্রচার অভিযানে আসেন। জীবনের বাকি অংশ তিনি ভারতেই থেকে যান। সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে যারা অবহেলিত অনাথ, মাদার তেরেসা তাদেরই বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন, সাধারণ থেকে অসাধারণ হয়ে উঠেছেন।

জন্মগ্রহণ করেন ১৯১০ সালে বর্তমান মেসিডোনিয়ার রাজধানী স্কোপিয়েতে। তিনি সন্ন্যাস জীবন গ্রহণের তারিখ ২৭ আগস্টকেই জন্মদিন মানতেন। তিনি ছিলেন নিকোলা ও দ্রানা বয়াজু দম্পতির কনিষ্ঠ সন্তান। তাকে ডাকা হতো অ্যাগনেস নামে। বাবা ছিলেন আলবেনীয় রাজনীতির একজন সক্রিয় কর্মী। মাত্র আট বছর বয়সে তিনি তার বাবাকে হারান।

বাবার মৃত্যুর পর মা বয়াজু তাকে ক্যাথলিক আদর্শে লালন-পালন করেন। ছোট্ট অ্যাগনেস মিশনারিদের জীবন ও কাজকর্মের গল্প শুনতে ভীষণ ভালোবাসতেন। ১২ বছর বয়সেই তিনি ধর্মীয় জীবনযাপনের সিদ্ধান্ত নেন। ১৮ বছর বয়সে তিনি গৃহত্যাগ করে একজন মিশনারি হিসেবে যোগ দেন সিস্টার্স অব লোরেটোতে।

মা-দিদিদের সঙ্গে আর কোনো দিন দেখা হয়নি তার। পরের বছর সংগঠন তাকে ধর্মসেবার কাজে ভারতে পাঠায়। ১৯৩১ সালে প্রথম, তারপর ১৯৩৭ সালে কলকাতায় কনভেন্ট স্কুলে পড়ানোর সময় চূড়ান্তভাবে তিনি সন্ন্যাসব্রত গ্রহণ করেন।

উপমহাদেশে মন্বন্তর ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় অসংখ্য মানুষের মৃত্যু তাকে বিচলিত করেছিল। ১৯৪৮ সালের ১৭ আগস্ট কনভেন্ট ছেড়ে তিনি বেরিয়ে পড়েন, ক্ষুধার্ত মানুষের জন্যে হাত পাতেন দ্বারে দ্বারে।

স্কুলে পড়াতে তার ভালো লাগলেও কলকাতার দারিদ্র্যে তিনি উত্তরোত্তর উদ্বিগ্ন হয়ে উঠতে লাগলেন। পঞ্চাশের মন্বন্তরে শহরে নেমে আসে অবর্ণনীয় দুঃখ আর মৃত্যু। ১৯৪৬ সালে হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গাতেও বহু মানুষ মারা যায়। এই সব ঘটনা তেরেসার মনে গভীর প্রভাব বিস্তার করে।

১৯৪৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ধর্মীয় নির্জনবাসের জন্যে দার্জিলিং যাওয়ার সময় তার মধ্যে এক গভীর উপলব্ধি আসে। এই অভিজ্ঞতাকে পরবর্তীতে ‘আহ্বানের ভিতরে আরেক আহ্বান’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন।

 

এ নিয়ে তিনি আরও বলেছিলেন, ‘কনভেন্ট ত্যাগ করে দরিদ্রদের মাঝে বাস করা এবং তাদের সহায়তা করা আমার জন্যে আবশ্যক ছিল। এটা ছিল এক সরাসরি আদেশ। এই আদেশ পালনে ব্যর্থ হওয়ার অর্থ ছিল বিশ্বাস ভেঙে ফেলা।’

১৯৪৮ সালে এই মোতাবেক দরিদ্রের মাঝে ধর্মপ্রচার কাজ শুরু করেন। প্রথাগত লোরেটো অভ্যাস ত্যাগ করেন। পোশাক হিসেবে পরিধান করেন নীল পারের একটি সাধারণ সাদা সুতির বস্ত্র। এ সময়ই ভারতীয় নাগরিকত্ব গ্রহণ করে বস্তি এলাকায় কাজ শুরু করেন। প্রথমে একটি ছোট স্কুল স্থাপনের মাধ্যমে শুরু করেছিলেন।

পরবর্তীতে ক্ষুধার্ত ও নিঃস্বদের ডাকে সাড়া দিতে শুরু করেন। তাদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করতে থাকেন। তার এই কার্যক্রম অচিরেই ভারতীয় কর্মকর্তাদের নজরে আসে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীও তার কাজের স্বীকৃতি দিয়েছিলেন।

প্রথম দিকের এই দিনগুলো তার জন্যে বেশ কষ্টকর ছিল। এ নিয়ে ডায়রিতে অনেক কিছুই লিখে গেছেন তিনি। সে সময় তার হাতে কোনো অর্থ ছিল না। গরিব এবং অনাহারীদের খাবার ও আবাসনের অর্থ জোগাড়ের জন্যে তাকে দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হতো। ধনী ব্যক্তিদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করতে হতো।

এসব কাজ করতে গিয়ে অনেক সময়ই হতাশা, সন্দেহ ও একাকিত্ব বোধ করেছেন। মাঝে মাঝে মনে হয়েছে, কনভেন্টের শান্তির জীবনে ফিরে গেলেই বোধহয় ভালো হবে। ডায়রিতে লিখেছিলেন, ‘ঈশ্বর চান যে, আমি এক বন্ধনমুক্ত সন্ন্যাসিনীই থাকি, ক্রুশ চিহ্নের দীনতা আমাকে আবৃত করে থাক। আজ একটা ভালো শিক্ষা পেলাম।

গরিব লোকদের দারিদ্র্য কত কষ্টকর। যখন বাড়ি খুঁজে বেড়াচ্ছি, হেঁটে হেঁটে আমার গা-হাত-পা ব্যথা হয়ে যেত। আমি ভেবে দেখলাম, বাসস্থান, খাদ্য, সাহায্য কোথায় পাবে, তার চেষ্টাতেই গরিব মানুষদের দেহ এবং আত্মা কী যন্ত্রণা ভোগ করে। তখন প্রবল হয়ে উঠলো লোভ। লরেটোর প্রাসাদোপম গৃহগুলোর কথা মনে উদয় হলো।

সুন্দরী, কী আরামদায়ক! আর কী চাই? কে যেন আমায় লোভ দেখাতে লাগল, একবার মুখ ফুটে চাইলেই, সে-সবই আবার ফিরে পাব। আমার প্রভু, নিজের ইচ্ছায়, তোমার প্রতি প্রেমে, আমি তাই করতে চাই, যা আমাকে দিয়ে তুমি করাতে চাও। এক বিন্দু অশ্রুও আমার চোখ থেকে আমি পড়তে দিলাম না।’

দুঃস্থ মানুষকে সহায়তা করার কাজটি তার কাছে নেশার মতো হয়ে গেল। আর্তমানবতার সেবা করার জন্যেই যেন তার জন্ম হয়েছে। আজীবন এটাই তিনি করতে চান। এরপর সত্যি সত্যি তিনি সম্পূর্ণভাবে মানবসেবায় আত্মনিয়োগ করার সংকল্পে লোরেটো স্কুলের চাকরি ছেড়ে দিলেন।

তিনি যখন লোরেটো স্কুলের চাকরি ছেড়ে দেন, তখন তার হাতে ছিল মাত্র পাঁচ টাকা। এ রকম নিঃস্ব অবস্থাতেই তিনি স্কুলের সাজানো ফুলের বাগান, স্নিগ্ধ পরিবেশ, সুখময় নিশ্চিন্ত জীবন ফেলে এসে আশ্রয় নিলেন শিয়ালদহ রেলস্টেশন-সংলগ্ন এক পুরনো ভাঙা বাড়িতে।

১৯৫০ সালের ৭ অক্টোবর তেরেসা ‘ডায়োসিসান ধর্মপ্রচারকদের সংঘ’ করার জন্যে ভ্যাটিকানের অনুমতি লাভ করেন। এ সমাবেশই পরবর্তীতে মিশনারিস অফ চ্যারিটি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। কলকাতায় মাত্র ১৩ জন সদস্যের ছোট্ট অর্ডার হিসেবে চ্যারিটির যাত্রা শুরু হয়েছিল। বর্তমানে এর অধীনে কয়েক হাজার সন্ন্যাসিনী কাজ করছেন।

চ্যারিটির অধীনে এতিমখানা ও এইড্‌স আক্রান্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্র পরিচালিত হয়। বিশ্বব্যাপী শরণার্থী, অন্ধ, পক্ষাঘাতগ্রস্ত, বয়স্ক, মাদকাসক্ত, দরিদ্র্য, বসতিহীন এবং বন্যা, দুর্ভিক্ষ বা মহামারিতে আক্রান্ত মানুষের সেবায় চ্যারিটির সবাই অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

১৯৫২ সালে মাদার তেরেসা কলকাতা নগর কর্তৃপক্ষের দেয়া জমিতে মুমূর্ষুদের জন্যে প্রথম আশ্রয় ও সেবা কেন্দ্র গড়ে তোলেন। পরবর্তীতে এই কেন্দ্রের নাম পরিবর্তন করে রাখেন ‘নির্মল হৃদয়’। এই কেন্দ্রে যারা আশ্রয়ের জন্যে আসতেন তাদেরকে চিকিৎসা সুবিধা দেয়া হতো এবং সম্মানের সাথে মৃত্যুবরণের সুযোগ করে দেয়া হয়।

কিছু দিনের মধ্যেই তেরেসা হ্যানসেন রোগে (সাধারণ্যে কুষ্ঠরোগ নামে পরিচিত) আক্রান্তদের জন্যে একটি সেবা কেন্দ্র খোলেন যার নাম দেয়া হয় ‘শান্তি নগর’। এক সময় শিশুর সংখ্যা অনেক বেড়ে যাওয়ায় তেরেসা তাদের জন্যে একটি আলাদা হোম তৈরির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। এই অনুভূতি থেকেই ১৯৫৫ সালে ‘নির্মল শিশু ভবন’ স্থাপন করেন। এই ভবন ছিল এতিম ও বসতিহীন শিশুদের জন্যে এক ধরনের স্বর্গ।

অচিরেই মিশনারিস অফ চ্যারিটি দেশ-বিদেশের বহু দাতা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির দৃষ্টি আকর্ষণে সমর্থ হয়। এর ফলে অনেক অর্থ সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। ১৯৬০’র দশকের মধ্যে ভারতের সর্বত্র চ্যারিটির অর্থায়ন ও পরিচালনায় প্রচুর দাতব্য চিকিৎসা কেন্দ্র, এতিমখানা ও আশ্রয় কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়।

ভারতের বাইরে এর প্রথম কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৫ সালে ভেনিজুয়েলায়। মাত্র ৫ জন সন্ন্যাসিনীকে নিয়ে সে কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর ক্রমান্বয়ে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৬৮ সালে রোম, তানজানিয়া এবং অস্ট্রিয়াতে শাখা খোলা হয়। ১৯৭০’র দশকে এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ ও আমেরিকার কয়েক ডজন দেশে শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়।

১৯৭৯ সালের ১৭ অক্টোবর তিনি তার সেবাকর্মের স্বীকৃতি হিসেবে নোবেল শান্তি পুরস্কার ও ১৯৮০ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান ‘ভারতরত্ন’ লাভ করেন। বিভিন্ন ব্যক্তি, সংস্থা ও একাধিক রাষ্ট্রের সরকার তার কাজের ভূয়সী প্রশংসা করে।

বাংলাদেশে আর্তমানবতার সেবায় তিনি বারবার পাশে দাঁড়িয়েছেন। একাত্তর সালে বাংলাদেশে এসে তিনি নির্যাতিত নারী ও অনাথ শিশুদের জন্যে গড়ে তোলেন চ্যারিটি মিশন। এসেছিলেন ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ের পরও। নোবেল পুরস্কারের অর্থ পেয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘ভালোই হলো, এই টাকায় ফুটপাতের মানুষগুলোর জন্যে কিছু করা যাবে।’ তিনি প্রায় ৮০০টি পুরস্কার পেয়েছিলেন।

১৯৮৩ সালে রোম সফরের সময় মাদার তেরেসার প্রথম হার্ট অ্যাটাক হয়। ১৯৮৯ সালে আবার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর তার দেহে কৃত্রিম পেসমেকার স্থাপন করা হয়। ১৯৯১ সালে মেক্সিকোতে থাকার সময় নিউমোনিয়া হওয়ায় হৃদরোগের আরও অবনতি ঘটে।

এই পরিস্থিতিতে তিনি মিশনারিস অফ চ্যারিটির প্রধানের পদ ছেড়ে দেয়ার প্রস্তাব করেন। কিন্তু চ্যারিটির নানরা গোপন ভোটগ্রহণের পর তেরেসাকে প্রধান থাকার অনুরোধ করে। অগত্যা তেরেসা চ্যারিটির প্রধান হিসেবে কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন।

১৯৯৬ সালের এপ্রিলে পড়ে গিয়ে তিনি কলার বোন ভেঙে ফেলেন। আগস্টে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হন। এর পাশাপাশি তার বাম হৃৎপিণ্ডের নিলয়, রক্ত পরিবহনে অক্ষম হয়ে পড়ে। ১৯৯৭ সালে মিশনারিস অফ চ্যারিটির প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। একই বছর ৫ সেপ্টেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

মাদার তেরেসার কয়েকটি বাণী:

# ভালোবাসার কথাগুলো হয়তো খুব সংক্ষিপ্ত ও সহজ হতে পারে কিন্তু এর প্রতিধ্বনি কখনো শেষ হয় না।
# যদি তুমি মানুষকে বিচার করতে যাও তাহলে ভালোবাসার সময় পাবে না।
# ‘আনন্দ’ ভালোবাসার একটি জাল; যা দ্বারা আপনি আত্মার বন্ধন গড়তে পারেন।
# তুমি যখন কারো সঙ্গে দেখা করো তখন হাসিমুখ নিয়েই তার সামনে যাও। কেননা হাস্যোজ্জ্বল মুখ হলো ভালোবাসার শুরু।
# আপনি যদি ১০০ জন লোককে খাওয়াতে না পারেন, তাহলে মাত্র একজনকে খেতে দিন।
# ছোট বিষয়ে বিশ্বস্ত হও, কারণ এর উপরেই তোমার শক্তি নির্ভর করে।
# কেবল সেবা নয়, মানুষকে দাও তোমার হৃদয়। হৃদয়হীন সেবা নয়, তারা চায় তোমার অন্তরের স্পর্শ।
# আমাদের মধ্যে সবাই সব বড় কাজগুলো করতে পারবে তা নয়, কিন্তু আমরা অনেক ছোট কাজ করতে পারি আমাদের অনেক বেশি ভালোবাসা দিয়ে।
# হৃদয়কে স্পর্শ করতে চায় নীরবতা। কলরবের আড়ালে নীরবেই পৌঁছাতে হয় আর্তের কাছে।
# আমি ঈশ্বরের হাতের একটি ছোট পেন্সিল; যা দ্বারা ঈশ্বর পৃথিবীতে ভালোবাসার চিঠি লিখছেন।

 

সূত্র: সংগৃহীত

শেয়ার করুন

এই শাখার আরো সংবাদ পড়ুন
All Rights Reserved © rmgbdnews24.com