শিশুসাহিত্যিক হাবীবুর রহমান এর মৃত্যুদিন
গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে আজ বছরের ১৬৮তম (অধিবর্ষে ১৬৯তম) দিন। এক নজরে দেখে নিই ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম ও মৃত্যুদিনসহ আরও কিছু তথ্যাবলি।
১৯২৫ : জেনেভায় জীবাণু ও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার নিষিদ্ধকরণ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৯৬ : দক্ষিণ এশিয়া উন্নয়ন তহবিল প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৬৩১ : গওহর আরা বেগম, মোঘল রাজকন্যা এবং সম্রাট শাহজাহান ও তার স্ত্রী মুমতাজ মহলের চৌদ্দতম এবং সর্বকনিষ্ঠ সন্তান।
১৯২৪ : অধ্যাপক অম্লান দত্ত, প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও চিন্তাবিদ।
১৬৩১ : মোঘল সম্রাট শাহজাহানের স্ত্রী মুমতাজ মহল।
১৯২৮ : সমাজসেবক, সংস্কারক, সাংবাদিক, কবি ও প্রাবন্ধিক উৎকলমণি গোপবন্ধু দাস।
১৯৭৬ : বাঙালি কবি, শিশুসাহিত্যিক ও সাংবাদিক হাবীবুর রহমান।
২০০৬ : বাংলাদেশি সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক, ও সঙ্গীতজ্ঞ আনোয়ার পারভেজ।
২০০৯ : বাংলাদেশি লেখক, বুদ্ধিজীবী ও ভাষাসৈনিক গাজীউল হক।
২০১৩ : বাংলাদেশি নাট্যকার ও প্রযোজক আতিকুল হক চৌধুরী।
বিশ্ব মরুময়তা ও অনাবৃষ্টি প্রতিরোধ দিবস
হাবীবুর রহমান ছিলেন একজন বাংলাদেশি সাংবাদিক, কবি এবং শিশুসাহিত্যিক। তিনি একটি কাব্যগ্রন্থ, একটি সম্পাদনা, নয়টি শিশুসাহিত্য এবং চারটি অনুবাদ গ্রন্থ রচনা করেন। শিশুসাহিত্যে অবদানের জন্যে তিনি ১৯৬৪ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। হাবীবুর রহমান স্মৃতি পরিষদ থেকে তার স্মরণে ‘কবি হাবীবুর রহমান শিশুসাহিত্য পুরস্কার’ প্রদান করা হয়।
জন্মগ্রহণ করেন ১৯২৩ সালের ১ জুলাই তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট থানার পালিশ গ্রামে। কলকাতার হেয়ার স্কুল থেকে প্রবেশিকা পাস করেন। পরে ভর্তি হন প্রেসিডেন্সি কলেজে, কিন্তু আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে পড়াশুনা খুব এগোয়নি।
কর্মজীবনের শুরু ১৯৪৩ সালে। আসানসোলের এক কয়লাখনিতে শ্রমিক হিসেবে কিছিদিন কাজ করেন। এরপর কলকাতার মডেল হাই স্কুলে শিক্ষকতা করেন। ১৯৪৭ সালে তিনি দৈনিক আজাদ পত্রিকায় যোগ দেন। দেশ ভাগের পরে ১৯৪৮ সালে তিনি ঢাকায় চলে আসেন। এসময় দৈনিক আজাদ স্থানান্তরিত হয়ে ঢাকায় এলে তিনি এই পত্রিকার সহসম্পাদকের দ্বায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি দৈনিক সংবাদ, সাপ্তাহিক কাফেলা, মাসিক সওগাত, মহিলা সাপ্তাহিক বেগম পত্রিকায় গুরুত্বপূর্ণ পদে দ্বায়িত্ব পালন করেন।
পত্রিকা সম্পাদনা ছাড়াও তিনি কয়েকটি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। কিছুদিন দিন তিনি ফ্রাঙ্কলিন বুক প্রোগ্রামসের বাংলা বইয়ের অনুবাদ সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। পরে তিনি ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৬ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দৈনিক সংবাদের ছোটদের সাহিত্য পাতা খেলাঘর-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন এবং তিনি ‘ভাইয়া’ নামে এই পাতা পরিচালনা করতেন। এছাড়া ‘বাগবান’ নামে দৈনিক আজাদের ছোটদের পাতা ‘মুকুলের মাহফিল’ পরিচালনা করতেন।
পত্রিকায় সম্পাদনার পাশাপাশি রহমান সাহিত্যচর্চা শুরু করেন। লেখক হিসেবেও হাবীবুর রহমানের যথেষ্ট পরিচিতি আছে। তিনি তিনটি কিশোর উপন্যাস, পাঁচটি রূপকথা, একটি ছড়াগ্রন্থ এবং তিনটি জীবনী গ্রন্থ রচনা করেন। এছাড়া তার কাব্য, নাটক, বিজ্ঞানবিষয়ক রচনা, অনুবাদ ও রূপান্তর এবং সমাজবিজ্ঞান বিষয়ক রচনাও রয়েছে। আগডুম বাগডুম, লেজ দিয়ে যায় চেনা, বনে বাদাড়ে, পুতুলের মিউজিয়াম, সপ্তডিঙা, চীনা প্রেমের গল্প ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য রচনা। তিনি ১৯৭৬ সালের ১৭ জুন রাজধানী ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
সূত্র: সংগৃহীত